<p>স্ত্রীর করা যৌতুক ও নির্যাতন মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।</p> <p>মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আট বছর আগে সঞ্জয় ও জয়ার বিয়ে হয়। এ সময় বাদীর পরিবারের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ লাখ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ফার্নিচার দেয়। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে জয়া সাহা বিভিন্ন সময় তার স্বামী সঞ্জয় সরকার দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। একই সঙ্গে জয়াকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করতেন। গত বছরের জুনে আবারও ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন সঞ্জয়। পরে জয়া টাকা আনতে অপারগতা জানালে তাকে ও তার সাড়ে চার বছরের শিশুসন্তানকে জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ি রেখে আসেন তিনি। তার পর থেকে উভয়েই এক বছরের বেশি সময় আলাদা থাকছেন।</p> <p>মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আলেক শেখ বলেন, সঞ্জয় কুমারকে আটকের পর পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি অস্থায়ী জামিন নেন। কিন্তু পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধান না করতে পারায় তার স্থায়ী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।</p> <p>সঞ্জয় কুমারের আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, ‘আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আশা করি, তিনি জামিন পাবেন। আগামী রবিবার জামিনের জন্য আবারও চেষ্টা করব।’</p> <p>সঞ্জয় কুমারের উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে তার স্ত্রী জয়া সাহা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার নতুন করে কিছু বলার নেই। আমার ও আমার সন্তানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অমানবিক নির্যাতনের ফলেই তার এই পরিণতি হয়েছে।’</p>