শাশুড়িকে হত্যার পর ৬ খণ্ড করে মাটিচাপা, পুত্রবধূ আটক

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
শাশুড়িকে হত্যার পর ৬ খণ্ড করে মাটিচাপা, পুত্রবধূ আটক
নিহত শাশুড়ি মমতাজ বেগম (বাঁয়ে) এবং আটক পুত্রবধূ রাশেদা বেগম।

কক্সবাজারের রামুতে এক পুত্রবধূ তার শাশুড়িকে হত্যার পর টুকরা টুকরা করে বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার এক দিন পর ছেলে বাড়ির পাশে মাটি খুঁড়ে মায়ের মৃতদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন।

আজ রবিবার সন্ধ্যায় রামু থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে আটক করেছে।

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম উমখালী হাজিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের শিকার মমতাজ বেগম (৬০) ওই এলাকার মৃত আবদুল কাদেরের স্ত্রী। 

নিহত মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীর বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তার স্ত্রী রাশেদা বেগমের সাথে মায়ের মনোমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে রাশেদা তার শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন এবং মাথা, হাত, পাসহ মৃতদেহ ছয় টুকরা করে বাড়ির আঙিনায় টিউবওয়েলের পাশে গর্ত করে পুঁতে ফেলেন।

 

তিনি আরো জানান, আগের দিন শনিবার থেকে বাড়িতে মাকে না দেখে  স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে মা বাড়ি থেকে চলে গেছেন বলে তিনি জানান। এর পর থেকে ফেসবুকে মায়ের ছবি দিয়ে সন্ধান চাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু রবিবার বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে মাটি উঁচু দেখতে পান। পরে ওই স্থানে মাটি খুঁড়তেই মায়ের শাড়ি ও মৃতদেহ দেখতে পান।

এরপর পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। 

রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে শাশুড়িকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন আটক অভিযুক্ত রাশেদা বেগম। মৃতদেহ টুকরা করা হয়েছে। এর মধ্যে মাথা, দুই হাত এবং দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। 

এদিকে অভিযুক্ত রাশেদা বেগম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে নিহত মমতাজ বেগমের সঙ্গে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

এরপর টুকরা টুকরা করে বস্তাবন্দি করেন লাশ। পরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাশের টিউবওয়েলের পাশে বস্তাবন্দি করে লাশ মাটিচাপা দেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কুষ্টিয়ায় স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
শেয়ার
কুষ্টিয়ায় স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ২০
সংগৃহীত ছবি

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা নিয়ে মিটিং চলছিল। কমিটির আহ্বায়ক প্রার্থী ছিলেন আমলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর নাসিম হোসেন মুকুল ও স্থানীয় বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন।

জামায়াতের নেতা মুকুল প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতা নাসির ও তার লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছিলেন। এই অবস্থায় মিটিং চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার বলেন, সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুকুল হোসেনকে বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রার্থী করা হয়। সে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতা ও স্কুলের সভাপতি প্রার্থী নাসির তাকে হুমকি-ধমকি দেন।

এর প্রতিবাদে স্কুল মাঠে বিকেলে একটি সমাবেশের আয়োজন করেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী। সেসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা নাসিরের নেতৃত্বে সেখানে হামলা করেন। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। 

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও স্কুলের আরেক সভাপতি প্রার্থী নাসির উদ্দিনসহ বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

মন্তব্য

ধান কাটা নিয়ে দিশেহারা কৃষক, টাকায়ও মিলছে না শ্রমিক!

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ধান কাটা নিয়ে দিশেহারা কৃষক, টাকায়ও মিলছে না শ্রমিক!
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ জমিতে ধান কাটছেন কৃষক মিঠু গাইন। ছবি: কালের কণ্ঠ

উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে মাঠে মাঠে এখনো পাকা ধান । তবে মাঠে ধান থাকলেও শ্রমিক সংকটে সময়মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষকরা। আর এক সপ্তাহের মধ্যে আমন ধান ঘরে তুলতে না পারলে বিনষ্ট হয়ে যাবে এমনটাই জানিয়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।

হেক্টরপ্রতি গড়ে ৬ থেকে ৮ মেট্রিক টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে।

শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতিমণ ধানের জন্য খরচ পড়ছে দেড় হাজার টাকার মতো।

এদিকে বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯২০-৯৫০ টাকা। উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কম-বেশি আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে এবং ইতিমধ্যে দুই তৃতীয়াংশ ধান কাটা সম্পন্ন করেছে কৃষকরা।

কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের কৃষক বাবুল বিশ্বাস (৪৮) বলেন, আমন মৌসুমে পোকামাকড়, রোগ-বালাই নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই, বরং ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজারমূল্য অনেক কম থাকায় লোকসান গুণতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, বোরো ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ভালোভাবে ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কয়েকদিন পরে সরকারি উদ্যোগে ধান ক্রয় শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাবে। তাই যেহেতু ঝড় বৃষ্টি নেই, কৃষকরা ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখলে পরে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধান ভালো হয়েছে।

মন্তব্য

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যেন হোটেলপাড়া

ময়মনসিংহ (আঞ্চলিক) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ (আঞ্চলিক) প্রতিনিধি
শেয়ার
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যেন হোটেলপাড়া
ছবি : কালের কণ্ঠ

সৌন্দর্যমণ্ডিত বিশাল ফটকে লেখা রয়েছে ‘দেশ ও জনগণের অতন্ত্র প্রহরী’ বাংলাদেশ মুক্তিযেদ্ধা সংসদ, আঠারবাড়ী ইউনিয়ন কমান্ড কার্যালয়। ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী-কেন্দুয়া সড়কের পাশে অবস্থিত এই মুক্তিযোদ্ধা সংসদে এখন আর প্রবেশ করা যায় না। সব জায়গা দখল করে খাবার হোটেল তৈরি করা হয়েছে। আর ভিতরে রয়েছে ফাস্টফুডের দোকান।

এ যেন হোটেলপাড়া। এ নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ লোকজনের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ। প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

আঠাবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী রায়ের বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কেন্দুয়া সড়ক।

এই সড়ক ঘেঁষেই অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়। প্রায় ১০ শতাংশ জমির ওপর টিনশেড এই কার্যালয়টি এখন আর দেখা যায় না। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চারপাশেই গড়ে উঠেছে খাবার হোটেল ও বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। ভিতরে পুরাতন সংসদ কার্যালয়ের পাশেই যে খালি জায়গা ছিল তাতেও তৈরি হয়েছে ‘চন্দ্রবিন্দু’ নামের একটি ফাস্টফুডের দোকান।

এখন শুধুই বাকী রয়েছে প্রায় আট হাত লম্বা মূল ঘরটি। যেখানে সব সময় তালা ঝুলে।

মূল ফটকের সামনের দুই পাশেই রয়েছে পানের দোকান। ভিতরে দুই পাশের বাম দিকে ‘বিসমিল্লাহ’ ও ডান পাশে ‘আল হেরা’ নামের দুইটি খাবার হোটেল। এর পাশেই আরেকটি।

আর ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে ‘চন্দ্রবিন্দু’ নামের একটি ফাস্টফুডের দোকান। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্রাট নামের এক ব্যক্তি এই জায়গা ভাড়া নিয়ে নিজেই ঘর তৈরি করে ফাস্টফুডের দোকান দিয়েছেন। একইভাবে খালি জায়গা দখলে নিয়ে অন্য তিনজন বিশাল আকৃতির ঘর নির্মাণ করে বসিয়েছেন হোটেল। যেখানে দিনরাত সারক্ষণই হোটেল ব্যবসা চলছে।

ভিতরে একটি শহীদ মিনার থাকলেও তার বেহাল অবস্থা। যে যার মতো এই শহীদ মিনারের ওপরেই আড্ডা এবং হোটেল থেকে খাবার এনে খাচ্ছে। আশেপাশে ময়লা আর্বজনায় ভরপুর। ভিতরে ও চারপাশেই আগত লোকজন।

এক হোটেল মালিক মঞ্জিল জানান, এখানে মুক্তিযোদ্ধারা আসেন না। তাই পুরাতন টিনসেড ঘরটিতে তালা মারা থাকে। ব্যবহার হয় না। এই জন্য কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা খালি জায়গা প্রতি বছরের জন্য ১২ লাখ টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। এই টাকা প্রতিমাসে ভাড়ায় কাটা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, প্রায় ৫ বছর ধরে সংসদের জায়গা দখল নিয়ে ঘর করে নিয়েছেন দোকান মালিকরা। আর এই দখলের সুযোগ বা অনুমতি দিয়েছেন আঠারবাড়ি ইউনিয়ন সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জন কুমার ঘোস ওরফে রানা এবং ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডর ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের বেয়াই মো. তফাজ্জল হোসেন। তারাই ভাড়া টাকা আদায় করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রানা বলেন, 'সারা দেশেই তো খালি জায়গায় দোকান করে ভাড়া দেওয়া হয়। এখানে দিতে কোনো অসুবিধা দেখছি না।' উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ছাড়া কোথাও দোকান ভাড়ায় চলে না এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'তাহলে দোকান উঠাই দিব।'

বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন জানান, দোকান ভাড়ার টাকা জমানো হচ্ছে। জমানো টাকা দিয়ে জায়গার বাউন্ডারী এবং জায়গা উচু করে নতুন একটি ঘর করা হবে। প্রায় ৫ বছর ধরেই তো ভাড়া চলছে কবে ঘর বা বাউন্ডারী দিবেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘অচিরেই করব। তবে নিউজ টিউজ কইরেন না।'

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহম্মেদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য
কক্সবাজারে টিপু হত্যা

লোভেই ফেঁসে গেলেন পতিত কাউন্সিলর চালু

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
লোভেই ফেঁসে গেলেন পতিত কাউন্সিলর চালু
সংগৃহীত ছবি

লোভেই ফেঁসে গেলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইফতেখার চালু। তার কক্ষে যে তরুণী ছিলেন বলে পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তার খোঁজ মেলেনি। তবে চালুর আত্মীয়-স্বজনের কাছে বলা হয়েছে, ওই তরুণী চালুর কক্ষে নয় বরং নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুর কক্ষেই অবস্থান করছিলেন। 

আরো পড়ুন
লন্ডনে চিকিৎসাধীন বেগম জিয়াকে নিয়ে ফেসবুক-ইউটিউবে গুজব

লন্ডনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুক-ইউটিউবে গুজব

 

একই কথা রবিবার (১২ জানুয়ারি) চালুর স্ত্রী রোজীনা পারভীন ইরানীও বলেছেন।

এমনকি যে হোটেলে চালু অবস্থান করছিলেন, মাস্টার কি দিয়ে ওই কক্ষ খুলে তাকে ঘুম থেকে তুলে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান চালুর স্ত্রী ইরানী।

গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে গুলিতে নিহত হন খুলনার কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু। হত্যার পরপরই হোটেল থেকে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও কেসিসির অন্য কাউন্সিলর হাসান ইফতেখার চালু। এ ঘটনায় পরদিন একটি মামলাও হয় কক্সবাজার সদর মডেল থানায়, যেটি তদন্ত করছে পুলিশ।

আরো পড়ুন
ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল

ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল

 

এদিকে চালু গ্রেপ্তার হলেও টিপু হত্যার সঙ্গে জড়িত কি না সেটি এখনো নিশ্চিত না হলেও তিনি যে লোভে পড়ে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন এবং সেখানে বড় ধরনের কোনো স্বপ্ন ছিল, তেমনটি আঁচ করছেন অনেকে। খুলনার বেসরকারি সংস্থা সেফ গ্রুপের কাছ থেকে দলিল করে বেশ কিছু সম্পত্তি নিয়ে চালু নিজেই তা বিক্রি করে অর্থের পাহাড় গড়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। যদিও এ প্রসঙ্গে চালুর স্ত্রী ইরানী বলেন, সেফ গ্রুপের কাছ থেকে তার স্বামী জমি কিনে নিয়েছেন। এখানে কোনো অন্যায় করেননি তিনি (চালু)।

চালুর নিকটজনের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি কক্সবাজারে যাওয়ার আগে কয়েক দিন স্ত্রী-পুত্র নিয়ে ঢাকায় ছিলেন। সেখান থেকে তাদের সবারই কক্সবাজারে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শীতের কারণে বৃহস্পতিবার চালু ও টিপু একই গাড়িতে কক্সবাজারে চলে গেলেও স্ত্রী ও পুত্র চলে আসেন খুলনায়। 

চালুর স্ত্রী ইরানী বলেন, যেদিন টিপু নিহত হন সেদিন রাত ৮টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত তার সঙ্গে চালুর কথা হয়। এরপর তিনি ঘুমিয়ে যান।

পরে দুটি নম্বরে কয়েকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। সুতরাং টিপু হত্যার সঙ্গে যেমন চালু জড়িত নন, তেমনি ওই তরুণীর সঙ্গেও কোনো সম্পর্ক চালুর নেই বলে দাবি তার স্ত্রীর।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর অন্য কাউন্সিলরদের পাশাপাশি চালুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। এর পর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। সর্বশেষ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় অবস্থানকালে কক্সবাজারে ছেলের জন্মদিন পালনের কথা ছিল। কিন্তু ছেলে রাজি না হওয়ায় তাকে নিয়ে চালুর স্ত্রী খুলনায় চলে আসেন। চালুর আসার কথা ২২ জানুয়ারি। এরই মধ্যে তাকে যেতে হলো কারাগারে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ