<p>গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সড়াবাড়ি বিলের ভুটির খাল প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ী আহাদ আলী দুই বছর আগে দখল করেন। দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালের তারাইল ও বাঘিয়ারকুল গ্রামের মাথায় অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে সেখানে মাছ চাষ শুরু করেন। এতে সড়াবাড়ি বিল ও ভুটির খালের মুক্ত জলাশয়ে শতাধিক মৎস্যজীবীর মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যায় এবং শতাধিক পরিবার জীবিকা হারায়।</p> <p>এ ছাড়া বিলের ঘাস, শাপলা এবং কৃষিপণ্য নৌকায় করে পরিবহন করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়ে বিলবাসী।</p> <p>স্থানীয় বাসিন্দারা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হকের কাছে সাত দিন আগে মৌখিক অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ভুটির খালের দুই প্রান্তের অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেন ইউএনও। সেই সঙ্গে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় আহাদ আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই বিলের মৎস্যজীবীরা।</p> <p>সড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক ভিপি বিশ্বাস বলেন, দুই বছর আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ী আহাদ আলী খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। এতে খালে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কেউ শাপলা বা ঘাস কাটতে গেলে হুমকি দিতেন। ফলে জীবন-জীবিকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আজ বাঁধ অপসারণ হওয়ায় আমরা সহজেই মাছ ধরতে, শাপলা তুলতে এবং ঘাস কাটতে পারব। সহজেই পণ্য পরিবহনও করতে পারব। এজন্য ইউএনও স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।</p> <p>তারাইল গ্রামের বাসিন্দা জিয়া শেখ বলেন, মৎস্য ব্যবসায়ী আহাদ আলী এলাকার অনেকের জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। পরে প্রভাব খাটিয়ে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ভুটির খাল দখল করে সেখানে মাছ চাষ করতেন। খাল দখল করে তিনি আমাদের ওপর নির্যাতন করতেন। অতিষ্ঠ হয়ে আমরা ইউএনওর কাছে অভিযোগ করতে বাধ্য হই।</p> <p>উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকালে সড়াবাড়ি বিলের ভুটির খালের দেড় কিলোমিটার বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। সরকারি খালে বাঁধ দেওয়ার অপরাধে আহাদ আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।</p> <p>অভিযুক্ত আহাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনে রিং হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।</p>