<p>গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে এই অভিযানের সময় সার্টিফিকেট বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।</p> <p>দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়, মো. সোহরাব হোসেন (সোহেল), উপসহকারী পরিচালক আফছার উদ্দিন ও মো. আল-আমিন হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একট টিম এই অভিযান চালায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নির্বাচন কমিশনে দুদকের অভিযান, আটক ২" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/19/1734608555-75f65f236a823e153c5ef76c9d45441e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নির্বাচন কমিশনে দুদকের অভিযান, আটক ২</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/19/1459187" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অভিযানের শুরুতে সকাল ৯টা হতে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গোপনে রোগী সেজে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের ভিডিওচিত্র ধারণসহ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অতঃপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সেবাগ্রহীতা ও মিডিয়াসহ আউটডোর টিকিট কাউন্টারে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে টিকিট বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমাণ পায়। </p> <p>দুদকের তদন্ত টিমের প্রধান উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, অভিযানকালে টিকিট কাউন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায়, বিপুল পরিমান চিকিৎসাপ্রত্যাশী উপস্থিত থাকলেও আউটডোরে অধিকাংশ ডাক্তার ও কর্মচারী অনুপস্থিত ছিলেন বিধায় অনেকে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মিয়ানমার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-চীনের বৈঠক, কার কী স্বার্থ?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/19/1734607675-9e8a01bfb2c96c61eda1158eb7452e8d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মিয়ানমার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-চীনের বৈঠক, কার কী স্বার্থ?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/19/1459182" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কয়েকজন ডাক্তার বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন মর্মেও তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমআরই, সিটি স্ক্যান মেশিন দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে অচল রয়েছে। একটি সিন্ডেকেট ইচ্ছাকৃতভাবে মেরামত না করে জনগণকে উচ্চ মূল্যে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে বাধ্য করছে। এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান চলমান। </p> <p>মো. মশিউর রহমান আরও জানান, এক্স-রে মেশিনের ফিল্ম না থাকার অজাহাতে দীর্ঘসময় এক্সরে করতে না পারায় সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্টোর রেজিস্ট্রার আপ টু ডেট না রাখার সুযোগে বিভিন্ন অনিয়ম হচ্ছে। স্টোরে কম্বল থাকলেও বিতরণ করা হয়নি। শীতের প্রকোপ থাকার পরও স্টোরে রক্ষিত কম্বল বিতরণ না করায় রোগীরা কষ্ট পাচ্ছেন।  </p> <p>সার্টিফিকেট বাণিজ্যে জড়িত হাসপাতালের জমাদ্দার সরদার সোহেল শেখ ও অফিস সহায়ক কুদ্দুস গাজীসহ আরও কয়েকজনের সিন্ডিকেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার নিয়ে পুলিশ কেস সংক্রান্ত মেডিক্যাল সনদ বাণিজ্য হচ্ছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ তৎক্ষণাৎ কুদ্দুস গাজী স্বীকার করেন। ইসিজি মেশিন ব্যবহারে ৪০০-৫০০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা এবং ট্রলি ব্যবহারকারীদের থেকে অর্থ আদায় করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। </p> <p>এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, তিনি যোগদানের পূর্বেই সিটিস্ক্যান মেশিন, এমআরআই মেশিন অচল রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় মেশিনগুলো সচল করা সম্ভব হয়নি। আর অন্যান্য অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p>দুদক উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের তত্ত্বাবধায়ক দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে উপস্থিত সকলকে জানান। অধিকতর অনুসন্ধান চলমান। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তবে অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। </p> <p>জানা যায়, এর আগেও দুদকের গণশুনানিতে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফারুক আহমেদ ও জমাদ্দার সরদার সোহেল শেখের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীরা সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ আসে। ইতোপূর্বে তাদের অপসারণের দাবিতে গোপালগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপরও তারা এখনও গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চাকরি করে যাচ্ছেন। আর সার্টিফিকেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।</p>