<p>ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর (৫২) ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ধারাল অস্ত্রসহ দুজন আটক করেছে কোতয়ালি পুলিশ। </p> <p>সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে হামলার ঘটনায় দুজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান। এর আগে সোমবার সন্ধ্যার দিকে জেলা মডেল মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।</p> <p>গ্রেপ্তাররা হলেন- শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার মৃত সাত্তার শেখের ছেলে রিপন শেখ (৪৩) ও রথখোলা এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার (৩৮)।</p> <p>জানা যায়, জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ও শহরের রথখোলা এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় মসজিদের সামনে আসা মাত্রই ৪-৫ জনের দুর্বৃত্তের একটি দল তার (কামরুল সিদ্দিকী) ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা কামরুলের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে টানাটানির সময় উপস্থিত মুসল্লিরা এগিয়ে আসলে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে একজন মুসল্লি আহত হয়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ধারাল চাপাতিসহ রিপন শেখ (৪৩) ও সোহাগ হাওলাদার নামে দুই যুবককে স্থানীয়রা আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শী আহত রেজাউল করিম বলেন, পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের মডেল মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় দেখতে পাই এক যুবক এক ব্যক্তির গলায় ফাঁস দিয়ে ধস্তাধস্তি করছে। তখন আমি ঠেকানোর চেষ্টা করলে ওরা মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে একজন রামদা দিয়ে কোপ দিতে গেলে আমি ধরে ফেলি। তখন আমার হাতের কনুইয়ের অংশ কেটে যায়।’</p> <p>হামলার শিকার বাস মালিক সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, আমি মাগরিবের নামাজ আদায়ের পরে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলাম। এ সময় পেছন থেকে একজন মাফলার দিয়ে আমার গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করে। হাত দিয়ে মাফলার সরানোর চেষ্টা করলে সামনে থেকে দু’তিনজন ধারাল অস্ত্র দিয়ে আমাকে কোপাতে আসে। এ সময় তার সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে উপস্থিত মুসল্লিরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।</p> <p>তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের মধ্যে চারজনকে চিনতে পেরেছি। রাজনৈতিক কারণে আমার ওপর এ হামলা হয়েছে। আমি মালিক সমিতির সভাপতি হওয়ার পর থেকে বাসস্ট্যান্ডকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে আসছি। এতে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়। এর আগেও একবার আমাকে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছিল একদল সন্ত্রাসী।</p> <p>এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘সন্ধ্যার পরেই বিষয়টি আমি জানতে পারি। তখন পুলিশ পাঠানো হলে স্থানীয়রা একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে মামলা হবে।</p>