<p>কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুরা এলাকা থেকে অপহৃত ১৯ জন বন শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার আগেই আরো আটজন অপহরণের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে তারা অপহৃত হন।</p> <p>সকালে দুটি অটোরিকশার চালকসহ সাতজন এবং অন্য একজন অপহৃত হন সোমবার সন্ধ্যায়। তাদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে একজনের নাম জানা গেছে। অন্য সাতজনের নাম-ঠিকানা এখনো জানা যায়নি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="টেকনাফে রোহিঙ্গাসহ ১৯ জনকে অপহরণ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/files/shares/default-img.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>টেকনাফে রোহিঙ্গাসহ ১৯ জনকে অপহরণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2024/12/31/1463217" target="_blank"> </a></div> </div> <p>টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুটি সিএনজি (অটোরিকশা) থেকে ড্রাইভারসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তবে কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সেটার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। সিএনজি দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।’</p> <p>শামলাপুর অটোরিকশা (সিএনজি) মালিক-শ্রমিক সমিতির পরিচালক মো. আবদুর রহিম জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা অটোরিকশার চালকসহ সাতজনকে অপহরণ করেছে।</p> <p>তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দুটি অটোরিকশা (সিএনজি) হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা অটোরিকশা (সিএনজির) দুটির গ্লাস ভেঙে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।</p> <p>স্থানীয় ছৈয়দ হোসেন মেম্বার বলেন, সোমবার রাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইলের মুদির দোকানদার জসিম উদ্দিনকে ২০-২৫ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল তার দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে আটক করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেছে।</p> <p>সোমবার সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের বনায়ন করা বাগান সাফ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এখনো তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত সবার কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। র‌্যাব-১৫-এর সদস্যরাসহ টেকনাফ থানা পুলিশ অপহৃত ১৯ বন শ্রমিককে উদ্ধার করতে পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।</p>