<p style="text-align:justify">কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমারপুর গ্রামে হয়ে গেল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর মই দৌড় প্রতিযোগিতা। হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এলাকার যুবসমাজ। গরুর মই দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়। এটি এলাকায় গরুর হাল দৌড় নামে পরিচিত।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারপুর গ্রামে এ গরুর হাল দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা রং ও আকারের হালের গরু মাঠে নিয়ে আসেন প্রতিযোগীরা।</p> <p style="text-align:justify">প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি জোড়া হালের গরুর পেছনের মইয়ের ওপর দাড়িঁয়ে একজন কৃষক তাড়িয়ে নিয়ে যান গরু জোড়া। আর যে গরু জোড়া সবচেয়ে কম সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যে দৌড়ে গিয়ে পৌঁছতে পারবে, সেটিই হবে প্রতিযোগিতায় প্রথম। এতে অংশ নেয় আট জোড়া হালের গরু (ষাঁড়)।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় কুমারপুর-মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের যুবকদের আয়োজনে এ হাল দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা জানান, এখন থেকে প্রতিবছরই গরুর হাল দৌড়ের আয়োজন করবেন তারা; হারানো এ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করবেন। আর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এমন আয়োজনে খুশি এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।</p> <p style="text-align:justify">কুমারপুর গ্রামের সাবেক শিক্ষক রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন রুবেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম শিহাব, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির সুমন, ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে আসা লোকজন আটটি দলে ভাগ হয়ে হাল দৌড়ে অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ষাড়, দ্বিতীয় হয়েছে কন্দরপদি গ্রামের রফিক মিয়ার ষাড়, তৃতীয় হয়েছে নরপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ষাড় গরু। তারা প্রত্যেকেই একটি করে ছাগল পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতিটি গরুর হালকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে একটি করে ছাতা উপহার দেওয়া হয়।</p>