ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

আইনি জটিলতায় সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ, দুই উপজেলায় দুর্ভোগ

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
আইনি জটিলতায় সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ, দুই উপজেলায় দুর্ভোগ
ছবি: কালের কণ্ঠ

আইনি জটিলতায় যশোরের অভয়নগরে টেকারঘাট সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছে পাশাপাশি দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। কাঠের তৈরি বিকল্প সেতু দিয়ে চলাচলে ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা।

নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) দায়ী করলেন রিটকারি ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ইকবাল কবীর জাহিদ।

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে পুনরায় কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান।

আরো পড়ুন
উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের যে বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের যে বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

 

জানা গেছে, অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলার সীমান্তে টেকা নামে একটি নদী রয়েছে। নদীর এক পাশে অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়ন। অপরপাশে মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন।

দুই উপজেলার  যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ১৯৮০ দশকে অভয়নগরের টেকারঘাট এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ করেছিলেন তৎকালীন সরকার। দীর্ঘদিনের পুরাতন সেই সেতু ভেঙে ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর একই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। খুলনা বিভাগীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি ৫৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে। ২০২৩ সালের ৭ মার্চ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়া এবং সেতুর উচ্চতা সমস্যা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন যশোরের বাসিন্দা ইকবাল কবীর জাহিদ।

আরো পড়ুন
দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা মাদারীপুরের ডাসার

দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা মাদারীপুরের ডাসার

 

গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকারঘাট সেতুর নির্মাণকাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডসহ কোনো মালামাল সেখানে নেই। অসমাপ্ত সেতুর পাশে একটি কাঠের তৈরি বিকল্প সেতু দিয়ে ছোট যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছে।

অভয়নগরের পায়রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ আলম বলেন, ‘আইনি জটিলতায় সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে।

ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার মানুষ। কাঠের তৈরি বিকল্প সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হলে দুই উপজেলার মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।’

আরো পড়ুন
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে সড়ক অবরোধ

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে সড়ক অবরোধ

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিনিধি বলেন, আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ চলছিল। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর নির্মাণ সামগ্রীসহ অন্যান্য মালামাল লুট হয়ে যায়। আমাদের লোকজনকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কথাগুলো বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি।

রিটকারী ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষ করে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের দেওয়া সময় শেষ হয়ে গেছে। অথচ এলজিইডি কিছুই করেনি। যে কারণে দায় এড়াতে পারে না তারা। এখন এলজিইডি হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

যশোর জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় টেকারঘাট সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে পুনরায় কাজ শুরু করা হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, কুমিল্লায় ৩ বাসযাত্রী নিহত

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, কুমিল্লায় ৩ বাসযাত্রী নিহত
ছবি : কালের কণ্ঠ

কুমিল্লার চান্দিনায় যাত্রবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার পালকি সিনেমা হলসংলগ্ন ইন্দ্রারচর এলাকা এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরো অন্তত ২৫ জন যাত্রী আহত হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

তবে নিহত সবাই পুরুষ। আহতদের চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী, চান্দিনা থানা পুলিশ ও চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস উৎদ্ধার তৎপরতা চালায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা পর্যন্ত) উদ্ধারকাজ চলছিল।

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার লিডার বাহারুল ইসলাম জানান, তিশা প্লাস পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে কুমিল্লা যাচ্ছিল। চান্দিনার ইন্দ্রারচর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরো দুজন মারা যায়। আহতদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডা. সুবল দেবনাথ বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

মন্তব্য

৩ সাংবাদিকের নামে বিএনপি নেতার মামলা, সাক্ষী ছাত্রলীগ নেতা

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
৩ সাংবাদিকের নামে বিএনপি নেতার মামলা, সাক্ষী ছাত্রলীগ নেতা
সংগৃহীত ছবি

রংপুরের পীরগাছায় তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন কল্যাণী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও ইউপি সদস্য নেছার আহম্মেদ। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাজীব মুন্সিকে।

গত রবিবার রাতে এই মামলা করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন একাত্তর টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের পীরগাছা প্রতিনিধি আব্দুল কুদ্দুস সরকার, দৈনিক নতুন স্বপ্নের বার্তা সম্পাদক হারুন অর রশিদ বাবু এবং শাহীন মির্জা সুমন।

এ ছাড়া আজগার আলী ও শাহজাহান মিয়া নামে আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঈদের পূর্বে কল্যাণী ইউনিয়নে সরকারিভাবে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু কয়েকজন সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজন শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করে একটি ভিডিও ধারণ করেন, যা ইউএনও, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এবং ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।

বাদী নেছার আহম্মেদ এজহারে দাবি করেন, তিনি ইউএনও কার্যালয়ে আইনি সহায়তার জন্য যাওয়ার পথে অভিযুক্ত সাংবাদিকরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং টাকা না দেওয়ায় তার ওপর আক্রমণ চালানো হয়। পরে ইউএনও নাজমুল হক সুমন ও ইউপি প্রশাসক ফারুকুজ্জামান ডাকুয়াকে বিষয়টি অবহিত করে মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে মামলার আসামি সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, ‘ইউএনও নাজমুল হক সুমন পীরগাছায় যোগদানের পর থেকেই একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে যাচ্ছেন। আমরা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন।

এমনকি তিনি নিজে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। আমি তথ্য অধিকার আইনে একাধিক ভুয়া প্রকল্পের তথ্য চেয়েছি বলেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের নামে মামলা করালেন।’

সাংবাদিক হারুন অর রশিদ বাবু বলেন, ‘আমি ইউএনও নাজমুল হক সুমনের বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করেছি। সর্বশেষ কল্যাণী ইউনিয়নে ভিজিএফ বিতরণে অনিয়মের খবর প্রকাশ করি। এই ঘটনায় স্থানীয় ভুক্তভোগীরা ইউএনও ও ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে জুতা ও ঝাড়ু মিছিল বের করেন।

আমি সেই মিছিলের লাইভ সম্প্রচার করি। এর পরই ইউএনও আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করালেন। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

শাহীন মির্জা সুমন বলেন, ‘ইউএনও মামলার বাদী করেছেন কল্যাণী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও ইউপি সদস্য নেছার আহম্মেদকে। আর কথিত সাংবাদিক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজীব মুন্সিকে সাক্ষী করা হয়েছে।’

পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, ‘পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’

এ বিষয়ে জানতে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে নদীতে ডুবে প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে নদীতে ডুবে প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর
ছবি : কালের কণ্ঠ

গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তালা-কেকানিয়া খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল করিম মুন্সি (২২) সদর উপজেলার সুলতালশাহি গ্রামের হাফিজুর মুন্সীর ছেলে।

তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ঢাকার মিরপুরের ঢাকা মডেল কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্র।

ফায়ার সার্ভিস ও পরিবার সূত্র জানায়, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে যান আব্দুল করিম মুন্সি। আজ দুপুর দেড়টার দিকে তালা-কেকানিয়া খেয়াঘাট এলাকায় নৌকায় করে মধুমতী নদীতে তারা চার বন্ধু জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান।

এক পর্যায়ে জাল পায়ে জড়িয়ে করিম মুন্সি নদীর পানিতে পড়ে তলিয়ে যান।

খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা মধুমতী নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ মধুমতী নদী থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মধুমতী নদীতে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন, এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।

পরে খবর দেওয়া হয় মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদলকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিখোঁজ আব্দুল করিম মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

মন্তব্য

শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী কারাবন্দি সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে নগরের বাকলিয়া থানায় মামলাটি করেন নিহত বখতিয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  

আরো পড়ুন
ওসমানীয় সাম্রাজ্যে ঈদ উৎসব কেমন ছিল?

ওসমানীয় সাম্রাজ্যে ঈদ উৎসব কেমন ছিল?

 

ওসি বলেন, ‘মামলার আসামিদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তারা কে কোথায় অবস্থান করছেন, সে বিষয় জানার চেষ্টা করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

জানা যায়, গত শনিবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ৩টার দিকে নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল থেকে আট-নয় জন লোক এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে চট্টগ্রামের আরেক সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন বাবলাকে বহনকারী প্রাইভেটকার ঝাঁঝরা করে ফেলে। এতে সারোয়ারের প্রাইভেট কার চালক বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও তার সহযোগী আবদুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। 

তবে অক্ষত ছিলেন সারোয়ার ও তার সহযোগী রবিউল ইসলাম রবিন, ইমন ও হৃদয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ রবিন ও হৃদয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

তবে সারোয়ার ও ইমন কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, তা জানাননি রবিন। নিহত ও আহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ