গোয়েন্দা পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ইফতার করতে গিয়ে আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
গোয়েন্দা পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ইফতার করতে গিয়ে আটক
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চম্পক বড়ুয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (১৬ মার্চ) তাকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় সোমবার (১৭ মার্চ) পপুলার ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের ম্যানেজার ওয়ালী আশরাফ খান বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার চম্পক বড়ুয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আলোকেন্দু বড়ুয়ার ছেলে।

তিনি বর্তমানে চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকার ফরিদাপাড়া এলাকায় থাকেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার ও মামলার বাদী ওয়ালী আশরাফ খানের সঙ্গে চম্পক বড়ুয়ার পরিচয় হয়। সে সময় চম্পক নিজেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেন এবং বর্তমানে প্রেষণে একটি গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত আছে বলে জানান। পরিচয়ের সূত্রে চম্পকের সাথে বাদীর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে অপারেশনে যেতে জরুরি টাকা দরকার বলে বাদীর কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা নিয়ে যান চম্পক। পরে তা পরিশোধ করবে বলেও জানায়। একইভাবে আবারও অপারেশন, স্ত্রীর অসুস্থতাসহ নানা অজুহাতে গত ৬ মার্চ পর্যন্ত কয়েক দফায় আরো ৭২ হাজার টাকা নেন তিনি। গত ১২ মার্চ সন্ধ্যায় চম্পক বড়ুয়া কুশল বিনিময়ের জন্যে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিচতলায় যান।
এমন সময় এক ব্যক্তি চম্পককে দেখে আমাকে সতর্ক করে। এরপর মামলার বাদী চম্পকের বিষয়ে বিভিন্ন খোঁজখর নিয়ে দেখেন  চম্পক বড়ুয়া নামে গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত কোনো কর্মকর্তা নেই। পরে রবিবার সন্ধ্যায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অতিথি হিসেবে চম্পক বড়ুয়া ইফতারের দাওয়াত খেতে গেলে তাকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়। 

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজারের কাছে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয়ে দিয়ে অভিযানের কথা বলাসহ নানা অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নেন। চম্পক একজন পেশাদার প্রতারক বলে আমরা জানতে পরেছি।

তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় নিখোঁজ স্কুলছাত্রী

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় নিখোঁজ স্কুলছাত্রী

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আমিনা আক্তার খাদিজা (১৩) নামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী চারদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। গত ১৫ মার্চ বড় বোনের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ আমিনা আক্তার খাদিজা তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের মৃত শাহীন মিয়ার মেয়ে ও তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী।

পুলিশ ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, খাদিজার মা কানন বেগম গত বৃহস্পতিবার তার বড় মেয়ের বাড়ি একই এলাকার শ্রীপুর গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

শুক্রবার সকালে খাদিজা তার মায়ের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। প্রতিবেশী ও নৌকা দিয়ে নদী পাড় হওয়ার সময় গ্রামের লোকজনকে সে বলেছে শ্রীপুর যাচ্ছে। কিন্তু ওইদিন সে বোনের বাড়ি শ্রীপুরে যায়নি। তার মা বাড়ি ফিরে জানতে পারেন খাদিজা সকালে তার কাছে গিয়েছিল।
কিন্তু শ্রীপুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সেখানে যায়নি খাদিজা।এরপর থেকে গত ৪ দিন ধরে তার কোনো খোঁজ-খবর পাচ্ছে না পরিবার ও স্বজনরা। এই ঘটনায় তাহিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার মা কানন বেগম।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রতনশ্রী গ্রামের এক ছাত্রী ৪ দিন আগে বোনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল।

কিন্তু সে নাকি বোনের বাড়িতে যায়নি, বাড়িতেও ফিরেনি। এই ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আমরা নানাভাবে তার খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

মন্তব্য

বাদীর থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ, এসআই প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
শেয়ার
বাদীর থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ, এসআই প্রত্যাহার
অভিযুক্ত এসআই। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় মামলা করতে আসা নারীর কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসানকে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) তাকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এরপর তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৬ মার্চ মা ও বোনকে মারধরের ঘটনায় জেলা শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকার আরিফুল ইসলামের মেয়ে আফছানা জাহান বগুড়া সদর থানায় মামলা করতে যান। থানার ডিউটি অফিসার এসআই জাহিদ বাদীর কাছ থেকে মামলার খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। অভিযোগকারী আফসানা এত টাকা নেই বলার একপর্যায় তার হাতে থাকা ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে আরও সাত হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসান।

পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় বসে থেকে বাড়ি ফিরে যান আফছানা। মামলা রেকর্ড না হওয়ায় পরদিন সোমবার আবারও থানায় যান তিনি। পরে বিষয়টি একজন সংবাদকর্মী ওসিকে জানান।

ওসি সংবাদকর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জেনে এসআই জাহিদকে দিয়ে ভুক্তভোগীকে ৩ হাজার টাকা ফেরত দেন এবং মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করেন।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জরুরি সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি ডা. তাহেরের

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
জরুরি সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি ডা. তাহেরের
ছবি: কালের কণ্ঠ

সকল জরুরি সংস্কার শেষেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন তিনি ডিসেম্বরে নির্বাচন দিবেন। আমরা আশা করি, ওনার বক্তব্যকে প্লাস-মাইনাস করে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিবেন। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) একটি রিসোর্টে কুমিল্লায় কর্মরত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স সাংবাদিকদের নিয়ে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি এরপর জাতীয় নির্বাচন।

ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে মানুষ চাকরির কাগজপত্রের জন্য ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এজন্য আমরা স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছি। অনেকেই জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ, চারিত্রিক সনদপত্র পাচ্ছে না। 

আরো পড়ুন
নির্বাচন বিলম্বিত করার টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না : মুরাদ

নির্বাচন বিলম্বিত করার টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না : মুরাদ

 

তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচন নন পলিটিক্যাল নির্বাচন হতে হবে, এটা কোনো দলের নির্বাচন নয়।

এরপর সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা বসে আলোচনা করা উচিত, তারপর আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সমাধানে পৌঁছে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

ডা. তাহের আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি হওয়া উচিত ছিল একটি জবাবদিহি মূলক ঐক্যের রাজনীতি। দলীয় স্বার্থ এবং ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতা নয়। এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্যের।

 

জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমি জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বলেছি, আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কয়েকটি বিষয়ে ইউনিটি অত্যন্ত জরুরি। প্রথমত বাংলাদেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এখানে কোন ভিন্নতা আসতে পারে না। দ্বিতীয়ত টেকসই গণতন্ত্র, এখানে দ্বিমত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। যদি আমরা দ্বিমত করি তাহলে শহীদদের সঙ্গে আমাদের বেঈমানি করা হবে। কারণ, এই লড়াইটা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিল।

তৃতীয়ত স্বচ্ছ নির্বাচন, এবং দুর্নীতি মুক্ত একটি বাংলাদেশ।

মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন, সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন, শাহাদাত হোসাইন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী, মহানগর শিবির সেক্রেটারি নাজমুল হাসান জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
 

মন্তব্য

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লায় জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর গ্রামের মৃত আয়েত আলীর ছেলে আলী আহাম্মদ (৪৫) এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল হোসেন (২৮)।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ