ক্ষমতায় গেলে ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন।
গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুলের বড় মাঠে ঈদ পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি। অনুষ্ঠানে জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
যেসব এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে
মোহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের কৃষকরা প্রচুর পরিশ্রম করেন, কিন্তু তারা ন্যায্য মূল্য পান না।
যদি আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে ঠাকুরগাঁওয়ে একটি আধুনিক কৃষি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটি কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেবে, গবেষণা করবে এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ঘটাবে। ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো মেডিক্যাল কলেজ নেই। এখানকার মানুষ চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর কিংবা রংপুরে যেতে বাধ্য হন। অনেক সময় দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা না পাওয়ায় জীবন হারাতে হয়। আমাদের সরকার ক্ষমতায় গেলে এই জেলায় একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হবে, যাতে স্থানীয় মানুষ সহজেই উন্নত চিকিৎসা পেতে পারেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি শুনেছি, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তা আটকে আছে। কী কারণে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তা আমাদের জানা নেই।
তবে আমরা সরকার গঠন করলে খুব দ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয় চালু করব, যাতে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য দূরে যেতে বাধ্য না হন।’
জামায়াত নেতা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে যে বিমানবন্দরটি ছিল, তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে এটি বন্ধ করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। অথচ এই বিমানবন্দরটি চালু হলে ভারত, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে এবং এটি পুরো উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমরা ক্ষমতায় গেলে এই বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করব।
’
আরো পড়ুন
ঈদের দ্বিতীয় দিন টিভি পর্দায় থাকছে যেসব নাটক-টেলিফিল্ম
ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ টেনে মোহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি যে এখানে চাঁদাবাজি চলছে। অথচ যারা ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, তারা দখলদারিত্ব কিংবা চাঁদাবাজির জন্য প্রাণ দেননি। তারা চেয়েছিলেন একটি সুন্দর ও স্বাধীন বাংলাদেশ। আমরা ক্ষমতায় গেলে ঠাকুরগাঁওকে চাঁদাবাজমুক্ত করব।’
আলহামদুলিল্লাহ, আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বস্তির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অতীতে আমাদের ঈদের নামাজ পড়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারছি। আমরা যখন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করছি, তখন ফিলিস্তিনি ভাইরা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের কোনো ঈদ নেই। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন তিনি তাদের ফেরেশতাদের মাধ্যমে সাহায্য করেন।’