<p>মালয়ালাম সিনেমা ভারতের অন্যতম সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি, যা বাস্তবধর্মী গল্প, অভিনয় এবং সিনেমাটোগ্রাফির জন্য পরিচিত। প্রতিবছর মনোমুগ্ধকর সব সিনেমা উপহার দিয়ে বিশ্বজুড়ে ভক্তদের পছন্দের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে মালয়ালাম সিনেমা। তামিল তেলুগু কিংবা বলিউডের মতো বিগ বাজেট কিংবা বক্স অফিস কালেকশন না থাকলেও গল্প আর নিখুঁত নির্মাণে মালয়ালাম ইন্ডাস্ট্রি এখন সিনেমাপ্রেমীদের আস্থার জায়গা। তবে শুধু চোখের শান্তি হলেই ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন হয় না। প্রয়োজন অর্থের ঝলকানিও। এ বছর দক্ষিণী সিনেমা বক্স অফিসে দারুণ সব ব্লকবাস্টার দিয়েছে ঠিকই। তবে মালয়ালাম ইন্ডাস্ট্রি এ ক্ষেত্রে রয়েছে পিছিয়ে। আয়-ব্যয়ের হিসাবে বছরটা মালয়ালাম ইন্ডাস্ট্রির জন্য তেমন সুখদায়ক ছিল না। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গান-অভিনয়ে নতুন বছরে বাড়বে সিঁথির ব্যস্ততা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/31/1735619365-5a4fb4f618da296e7587b144ed95ef7a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গান-অভিনয়ে নতুন বছরে বাড়বে সিঁথির ব্যস্ততা</p> </div> </div> </div> </div> </div> <p>২০২৪ অসাধারণ একটা বছর ছিল মালয়ালাম সিনেমার জন্য। তবে গল্পনির্ভর সিনেমার ক্ষেত্রে। এ বছর মুক্তি পেয়েছে ‘মনজুম্মেল বয়েজ’, ‘আদুজীবিতম’, ‘প্রেমালু’, ‘এআরএম’ ও ‘আভেশাম’-এর মতো সিনেমা। এর প্রতিটিই আলোচিত। বক্স অফিসেও আশার তুলনায় বেশি আয় করেছে। কিন্তু মালয়ালাম ইন্ডাস্ট্রির প্রযোজকরা জানাচ্ছেন, এ বছর তাদের একেবারেই ভালো যায়নি। সারা বছর ১৯৯টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, যার মধ্য থেকে শুধু ২৬টি সিনেমা বক্স অফিসে উতরে গেছে। এবার তাদের ক্ষতি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৭০০ কোটি রুপি।</p> <p>বছরশেষে মালয়ালাম সিনেমার প্রযোজকদের সংস্থা কেরালা ফিল্ম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা জানায়, এ বছর মালয়ালাম ইন্ডাস্ট্রি সিনেমা নির্মাণে খরচ করেছে এক হাজার কোটি রুপি। হিট হওয়া ২৬টি সিনেমা থেকে বক্স অফিস থেকে আয় হয়েছে ৩০০ কোটি রুপির মতো। অর্থাৎ এ বছর তাদের সিনেমা থেকে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি রুপি। এর একমাত্র কারণ, সিনেমাগুলো বক্স অফিসে আয় করতে পারেনি। কিন্তু এত খরচ কেন হলো?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হলিউড-বলিউডে বছরসেরা ও আলোচিত যারা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/31/1735621214-f2644faacf00190c944f02bc62bbcd44.png" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হলিউড-বলিউডে বছরসেরা ও আলোচিত যারা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/12/31/1463309" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মূলত সময়ের সঙ্গে সিনেমার নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে। সব কিছুরই দাম চড়া। প্রপস থেকে লোকেশন—সবটায় নির্মাতাদের খরচ করতে হয় বেশি। এর মধ্যে আবার অভিনেতারাও পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন। ফলে সিনেমার বাজেট বেড়ে যাচ্ছে। ভিএফএক্সেও এখন খরচ করতে হয় বড় একটা অঙ্ক, যা খরচ করা হয় তা ফেরত আসবে কি না এমন কোনো নিশ্চয়তা থাকে না।</p> <p>এ বছর মালয়ালাম ইন্ডাস্ট্রির মাত্র কয়েকটি সিনেমা ১০০ কোটি রুপি আয় করতে পেরেছে। এগুলো হলো মনজুম্মেল বয়েজ, আভেশাম, প্রেমালু, আদুজীবিতম ও এআরএম। এর মধ্যে মনজুম্মেল বয়েজ আয় করেছে ২৪২ কোটি রুপি।</p> <p>মালয়ালাম সিনেমা নিয়ে ভারত ও ভারতের বাইরে যথেষ্ট আলোচনা হয়। অনেক সিনেমাই দর্শকের পছন্দের তালিকায় উঠে আসে। কিন্তু সিনেমাগুলো বক্স অফিসে সফল হয় না। কেরালার প্রযোজকরা মনে করছেন, থিয়েটারে দর্শক ফেরানোর মতো সিনেমা নির্মাণে তাদের মনোযোগী হওয়া উচিত। বছরে ২০০ সিনেমা নির্মাণ বা মুক্তি কোনো কাজের কথা নয়। থিয়েটারে ভালো করবে এমন সিনেমাই এখন তাদের প্রয়োজন।</p>