দিন যত যাচ্ছে, মোবাইলের অ্যাপের সাইজও তত বাড়ছে। ফ্ল্যাগশিপ ফোনের জন্য এটা কোনো সমস্যাই নয়। তবে যেসব ফোনের র্যাম ১ কিংবা ২ গিগাবাইট, সেসবে বড় বড় এত অ্যাপকে জায়গা করে দিতে বেশ বেগ পেতে হয়। তাই ডেভেলপাররা নিজেদের জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর হালকা সংস্করণ তৈরি করেছেন।
কম র্যামের মোবাইলের জন্যে হালকা অ্যাপ
কালের কণ্ঠ অনলাইন

অ্যাপগুলোর হালকা সংস্করণ সাধারণত ‘লাইট ভার্সন’ নামেই বেশি পরিচিত। আমাদের দেশে এই লাইট অ্যাপগুলো বেশ জনপ্রিয়। কারণ এগুলো খুব অল্প পরিমাণ মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল স্পেসিফিকেশনের ফোনগুলোর জন্য গুগল নিজেদের অ্যানড্রয়েডের লাইট সংস্করণ ‘অ্যানড্রয়েড গো’ নিয়ে আসে।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল স্পেসিফিকেশনের ফোনগুলোর জন্য এই লাইট সংস্করণ যেন আশীর্বাদ। এই অ্যাপগুলো আকারে মূল অ্যাপ থেকে বেশ ছোট হওয়ায় ফোনে জায়গাও লাগে কম। পাশাপাশি র্যামের ওপরও খুব কম চাপ ফেলে এই অ্যাপগুলো। লাইট সংস্করণ অ্যাপ ব্যবহার করলে ব্যাটারি খানিকটা বাড়তি সময় ব্যাকআপ দেয়, কারণ এই অ্যাপগুলোতে প্রচুর ফিচারের পরিবর্তে শুধু মূল ফিচারগুলো থাকে বলে এগুলো চালালে মূল অ্যাপের মতো বেশি ব্যাটারি খরচ হয় না। একই সঙ্গে ডাটা খরচের পরিমাণও এই অ্যাপগুলোতে অনেক কম।
ফেসবুক লাইট
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি সর্বত্র তুমুল জনপ্রিয়। ফেসবুকের বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই মোবাইলের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুক প্রথম দিকেই নিজেদের অ্যাপের লাইট সংস্করণ তৈরি করে। কেননা ফেসবুকের মূল অ্যাপটি যথেষ্ট ভারী এবং প্রচুর চার্জ খরচ করে। ফেসবুক লাইটের আরেকটি সুবিধা হলো, এটি খুব অল্প পরিমাণ ডাটা খরচ করেই চালানো যায়।
মেসেঞ্জার লাইট
শুরুর দিকে অবশ্য মেসেঞ্জারের লাইট সংস্করণে কল করাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার না থাকলেও এখন প্রায় সব ফিচারই আছে। মূল মেসেঞ্জারের মতো এত বেশি ব্যাটারিও খরচ করে না এটি।
টুইটার লাইট
ফেসবুকের পর মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারও নিজেদের লাইট অ্যাপ নিয়ে এসেছে। অন্যগুলোর মতো এটিও খুবই ছোট সাইজের এবং ব্যাটারিবান্ধব।
উবার লাইট
উবার ছাড়া আজকাল চলা মুশকিল। শহরে জ্যাম এড়িয়ে চলতে গেলে এর বিকল্প হয় না। কিন্তু উবারের মূল অ্যাপটি অনেকের ফোনের স্বল্প স্টোরেজের কারণে ভালোভাবে না-ও চলতে পারে। আর এই সমস্যা দূর করতে উবার এনেছে তাদের উবার লাইট অ্যাপ। মাত্র ৫ মেগাবাইট আকৃতির এই অ্যাপটি হালকা যেকোনো ফোনে খুব চমৎকারভাবে চলে।
ইউসি ব্রাউজার মিনি
সব ধরনের ফোন ব্যবহারকারীর কাছেই ইউসি ব্রাউজার খুব জনপ্রিয়। বিশেষ করে ধীরগতির ইন্টারনেটে এটি খুব দ্রুত ওয়েবপেজ প্রদর্শন করতে পারে। তা ছাড়া ইউসির বিশেষ ডাউনলোড ম্যানেজার খুব দ্রুত বড় বড় ফাইলও ডাউনলোড করতে পারে। তারাও নিজেদের অ্যাপের একটি লাইট বা মিনি সংস্করণ এনেছে। ইউসি ব্রাউজারের এই হালকা সংস্করণে মূল সংস্করণের মতো প্রায় সব ফিচারই পাওয়া যাবে।
গুগল গো
সার্চ থেকে শুরু করে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের পারসোনালাইজড আপডেটের জন্য গুগল অ্যাপের জুড়ি নেই। সব স্মার্টফোনেই এটি থাকে। ফোনের স্টোরেজ ও ব্যাটারি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলে মূল অ্যাপের বদলে এই লাইট সংস্করণটি নামিয়ে নিতে পারেন।
ক্লিন মাস্টার লাইট
স্মার্টফোনকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং ফোনটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্লিন মাস্টারের জুড়ি মেলা ভার। সেই শুরু থেকেই জনপ্রিয়তার সঙ্গে এই অ্যাপটি সব ধরনের ব্যবহারকারীর মনে জায়গা করে নিয়েছে। ফোনের জাংক ফাইল ক্লিন করা, ফোন বুস্ট করা, ব্যাটারি সেভার থেকে শুরু করে অ্যান্টিভাইরাসের কাজও করে এই ক্লিন মাস্টার লাইট। ফোনের প্রসেসরে চাপ না ফেলেই সব কাজ করা যায় এই লাইট সংস্করণের মাধ্যমে।
ফাইলস গো
গুগলের স্টক অ্যানড্রয়েডে ফাইল ম্যানেজার থাকে না। তবে অ্যানড্রয়েড গোয়ের জন্য ‘ফাইলস গো’ নামের এই লাইট অ্যাপটি নিয়ে এসেছে গুগল। ছোট্ট এই অ্যাপটি একই সঙ্গে ফাইল ম্যানেজার, ক্লিনার এবং শেয়ার ইটের বিকল্প, মানে ফাইল আদান-প্রদান করার কাজেও লাগবে। যেকোনো ফোনেই নামিয়ে নিতে পারেন অ্যাপটি।
গুগল ম্যাপস গো
দৈনন্দিন চলার পথে গুগল ম্যাপ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। এটি বর্তমানে একটি উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়া ওয়েব অ্যাপ, তাই এটি ব্যবহার করতে ফোনে গুগল ক্রোম ইনস্টল থাকা আবশ্যক। মূল অ্যাপটির মতো এখানেও নেভিগেশন থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ফিচারই আছে। স্বল্প ইন্টারনেট এবং অল্প জায়গা ব্যবহার করেই দরকারি সব কিছু করা যায় গুগল ম্যাপস গো দিয়ে।
জিমেইল গো
জিমেইল অ্যাপকে চমৎকারভাবে কাস্টোমাইজ করে হালকা এই সংস্করণটি অ্যাপস্টোরে ছাড়া হয়েছে। ১৫ গিগাবাইটের বিনা মূল্যের স্টোরেজ থেকে শুরু করে একাধিক অ্যাকাউন্ট সমর্থনসহ সব ধরনের সুবিধা এই লাইট সংস্করণটিতে আছে। সুন্দর ইউজার ইন্টারফেসের এই অ্যাপ বেশ ছোট সাইজের, নিরাপদ এবং কার্যক্রমে দুর্দান্ত। যাঁরা ফোনের স্টোরেজ নিয়ে শঙ্কিত থাকেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় এটি ব্যবহার করতে পারেন।
ইউটিউব গো
গুগলের ইউটিউব এখন মোবাইল বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। তাদের মূল ইউটিউব অ্যাপটি অনেক ডাটা খরচ করে। আর এ সমস্যা সমাধানে ইউটিউবের এই সংস্করণটি এনেছে। এ ছাড়া এটি ভিডিও ডাউনলোড করে অন্য ইউটিউব গো ব্যবহারকারীর সঙ্গে ডাটা খরচ ছাড়াই পাঠাতে পারে।
স্কাইপ লাইট
ম্যাসেজিং এবং ভিডিও কলিংয়ের বহুল জনপ্রিয় অ্যাপ স্কাইপ। এর লাইট সংস্করণ স্কাইপ লাইট আকৃতিতে ছোট, বেশ দ্রুতগতির এবং দুর্বল ইন্টারনেটেও চলতে সক্ষম। মূল সংস্করণের মতো এতেও প্রায় সব ফিচারই বিদ্যমান।
ফায়ারফক্স লাইট
অন্যতম সেরা ব্রাউজারগুলোর মধ্যে ফায়ারফক্সের নাম একেবারে ওপরের দিকে। দ্রুতগতিতে এবং অল্প ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য ফায়ারফক্স এনেছে তাদের লাইট সংস্করণ ফায়ারফক্স লাইট। ৪ মেগাবাইট সাইজের এই ছোট্ট ব্রাউজারটিতে টার্বো মোড, অ্যাড ব্লকিং সিস্টেম থেকে শুরু করে দরকারি অনেক কিছুই আছে।
লিংকডইন লাইট
পেশাদারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকডইন ব্যবহার করেন না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই লিংকডইনও তাদের অ্যাপের একটি লাইট সংস্করণ বের করেছে। মাত্র ১ মেগাবাইট সাইজের এই অ্যাপটিতে মূল অ্যাপের প্রায় সব ফিচারই আছে।
সম্পর্কিত খবর

ইন্টারনেটের দাম আরো কমাতে কাজ করছে সরকার : ফয়েজ আহমদ
অনলাইন ডেস্ক

টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, দেশে ইন্টারনেটের দাম আরো কমাতে সরকার কাজ করছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণের লক্ষ্যে শুরু হওয়া চারদিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তৈয়্যব বলেন, এরইমধ্যে সাবমেরিন কেবলের ব্যান্ডউইথের দাম ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, 'বিনিয়োগ সম্মেলনে স্পষ্ট করে বলতে চাই, বর্তমান সরকার এক মুহূর্তের জন্যও ইন্টারনেট শাটডাউন করবে না। ভবিষ্যতে ইন্টারনেট যাতে কেও বন্ধ করতে না পারে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'
স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়াতে দেশীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদকদের সরকার শুল্ক সুবিধা দিচ্ছে বলেও জানান আহমেদ তৈয়্যব।
শুধুমাত্র নতুন উদ্যোক্তাদের মূলধন সহায়তার জন্য ৮০০-৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এটা বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে বলেও জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

শর্টস ভিডিও নির্মাতাদের জন্য সুখবর দিল ইউটিউব
অনলাইন ডেস্ক

শর্টস ভিডিও নির্মাতাদের জন্য সুখবর দিয়েছে ইউটিউব। সহজে ভিডিও সম্পাদনার সুযোগ দিতে নতুন পাঁচটি টুল যুক্ত করতে যাচ্ছে ভিডিও ইউটিউব।
এক ব্লগ বার্তায় ইউটিউব জানিয়েছে, শর্টস এডিটরে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে।
নতুন এই সুবিধার আওতায় বিল্ট-ইন ভিডিও এডিটরের মাধ্যমে সহজেই ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে দৃশ্যের ধরন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে গান, সুর ও বার্তা যুক্ত করা যাবে।
এ ছাড়া শর্টস ভিডিওর টেমপ্লেটে ছবি ও ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট যুক্তের পাশাপাশি ফোনের গ্যালারি থেকে ছবি সংগ্রহ করে বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে কাস্টম স্টিকার তৈরি করা যাবে।
নতুন টুলগুলো চালু হলে নির্মাতারা দ্রুত ভালো মানের মিউজিক ভিডিওর শর্টস তৈরি করতে পারবেন।
তবে টুলগুলো কবে নাগাদ চালু করা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই পর্যায়ক্রমে টুলগুলো উন্মুক্ত করা হবে।

পেশাদার শেফের চেয়েও ভালো রান্না করবে মাস্কের রোবট
অনলাইন ডেস্ক

এবার ধনকুবের ইলন মাস্ক এমন একটি রোবট উন্মোচন করেছেন যা পেশাদার শেফদের চেয়েও ভালো রান্না করে। ৫,০০০ ডলার মূল্যের এই রোবটটির নাম কালিনা। এটি মাস্কের নতুন একটি উদ্যোগ, যা টেসলার অধীনে ফুড টেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কাজ করছে।
যখন আমরা রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়াচ্ছি, খাবার নষ্ট করে ফেলছি, তখন মাস্কের এআই-চালিত শেফ যান্ত্রিক নিখুঁততায় উন্নতমানের খাবার তৈরি করছে।
কিছু প্রাথমিক ব্যবহারকারীদের মতে, 'কালিনা' আসলে পেশাদার শেফদের থেকেও ভালো রান্না করে।
ফলে, খাদ্য শিল্পে কাজ করা যে কারো জন্য এটি এক ধরনের অস্তিত্ব সংকট ডেকে আনতে পারে।
কালিনা একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় রান্নার রোবট, যেটা সব কিছু করতে পারে। যেমন— রান্নার বিভিন্ন উপকরণ কাটা থেকে শুরু করে তৈরি করা খাবার প্লেটে উপস্থাপন পর্যন্ত।
এটি একেবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। এমনকি এতে ভয়েস কমান্ডও আছে, তাই আপনি আরামে বলতে পারেন, ‘কালিনা, আমাকে এই রান্নাটা করে দাও’, আর সেটা নিজে থেকেই করে ফেলবে।
এখন আসল প্রশ্নটা হলো: কালিনা কি মানুষের চেয়ে ভালো শেফ? তাহলে কি পেশাদার শেফদের চাকরি আর থাকবে না।
এমন প্রশ্নের জবাবে কালিনার প্রাথমিক ব্যবহারকারীরা বলছেন, কালিনার রান্না এতটাই নিখুঁত, ধারাবাহিক, আর অবিশ্বাস্যভাবে সুস্বাদু যে, এটা সত্যিই হয়তো মানব শেফদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারে। আপনি যদি চান রান্নাটা একদম আপনার পছন্দ অনুযায়ী হোক, কালিনা সেটাই করবে। কালিনা রোবটটি সাধারণ মানুষের মতো রান্নায় কোনো ধরণের ভুলও করে না। না লবণ কম, না অতিরিক্ত সেদ্ধ, না লবণ বেশি, ঝাল কম– এরকম কিছুই না।
প্রতিটি ডিশ প্রতিবারই নিখুঁতভাবে প্রস্তুত করে।
মাস্কের এই রোবটটি নিয়ে চিন্তিত সারা বিশ্বের রান্নাঘরে কাজ করা শেফরা। তবে কেউ কেউ বলছেন, কালিনা শেফদের জায়গা নেবে না, বরং তাদের সহকারী হিসেবে কাজ করবে—পেঁয়াজ কাটা বা সস নাড়ার মতো একঘেয়ে কাজগুলো করে দেবে, যাতে মানুষ সৃজনশীলতার ওপর বেশি মনোযোগ দিতে পারে।
আবার কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, রেস্তোরাঁ মালিকরা যদি বুঝে ফেলে যে, এইভাবে তারা লেবার খরচ বাঁচাতে পারবে, তাহলে ‘অটোমেটেড গ্যাস্ট্রোনমি’ বলার আগেই তারা মানুষকে বাদ দিয়ে রোবটে চলে যাবে।
তবে ইলন মাস্ক বলেছেন, কালিনা কারো কাজের জায়গা নিতে আসেনি, বরং আমাদের রান্নার ধরণকে উন্নত করতে এসেছে। সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্ত হয়ে গরম চুলার সামনে না দাঁড়িয়ে, মানুষ চাইলে একটা বাটনে চাপ দিয়ে রেস্টুরেন্ট-মানের খাবার খেতে পারবে।

কিভাবে ল্যাপটপের যত্ন নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে?
অনলাইন ডেস্ক

ল্যাপটপের সঠিক যত্ন নিলে তা অনেক দিন ভালো থাকে। তবে আমরা অনেকেই কাজের পর ল্যাপটপ বন্ধ করি না, একগাদা অ্যাপ্লিকেশন খোলা রাখি, কিংবা বিছানায় রেখে কাজ করি। এসব কারণে ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যায় এবং এর আয়ু কমে যায়। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে আপনার ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারে।
নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন : ল্যাপটপে অতিরিক্ত ধুলা জমলে তা গরম হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখুন এবং ময়লা জমতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সতর্কতার সাথে পরিষ্কার করুন : নরম সুতির কাপড় দিয়ে ল্যাপটপ মুছুন।
উষ্ণ জায়গা থেকে দূরে রাখুন : গরম জায়গা, হিটার, রান্নাঘরের কাছে ল্যাপটপ রাখা উচিত নয়। গাড়িতে ল্যাপটপ ফেলে রাখা ও বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করবেন না। এতে ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যেতে পারে এবং ক্ষতি হতে পারে।
তরল পদার্থ থেকে সাবধান থাকুন : চা, কফি বা ঠাণ্ডা পানীয় ল্যাপটপের কাছে রাখবেন না। তরল পদার্থ পড়ে গেলে যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে।
সঠিকভাবে সরান : ল্যাপটপ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিসপ্লে ধরবেন না। ল্যাপটপের নিচের অংশ ধরে সাবধানে সরান। ডিসপ্লে ধরে নিলে জয়েন্ট আলগা হয়ে যেতে পারে।
ল্যাপটপ কভার ব্যবহার করুন : ল্যাপটপ কভার ও উপযুক্ত ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করুন। এতে ধুলা, ময়লা ও আঘাত থেকে ল্যাপটপ নিরাপদ থাকবে।
বার্ষিক সার্ভিসিং করুন : প্রতিবছর একটি নির্ভরযোগ্য সার্ভিস সেন্টারে ল্যাপটপ সার্ভিসিং করিয়ে নিন। এতে ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা