ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা পেটের ডান পাশে বেশি অনুভূত হয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা পেটের ডান পাশে বেশি অনুভূত হয়

অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ হলো অ্যাপেন্ডিসাইটিস। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে এই প্রদাহ হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ না করলে এর থেকে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। কারো অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ হলে তা বারবার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

এ ক্ষেত্রে অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।

অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের শেষে বৃহদান্ত্রের শুরুতে অবস্থিত। এটির ব্যাস আমাদের অন্ত্রের তুলনায় অনেক কম হয়। অন্ত্রের সাপেক্ষে অবস্থানেরও বিভিন্নতা হয়।

কিছু অবস্থানের অ্যাপেন্ডিক্স প্রদাহের শিকার হয় বেশি।

 

কারণ

অ্যাপেন্ডিসাইটিস কার হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তা বলা মুশকিল। খাদ্যাভ্যাস বা জীবনাচরণ পদ্ধতির সঙ্গে এর কোনো সুনির্দিষ্ট যোগ নেই। বিশেষ কিছু অবস্থানের অ্যাপেন্ডিক্স প্রদাহগ্রস্ত হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।

তবে এসব ক্ষেত্রেও অ্যাপেন্ডিসাইটিস হবেই, তা বলা যায় না।

 

লক্ষণ

♦ অ্যাপেন্ডিসাইটিসের প্রধান লক্ষণ তীব্র পেট ব্যথা

♦ সঙ্গে বমি ও জ্বর থাকতে পারে।

♦ পেটের ডান পাশের নিচের দিকে ব্যথা বেশি অনুভূত হয়

তবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে পেটের ডান পাশে ব্যথা হতে পারে। নারী-পুরুষ ভেদে ব্যথার কারণ বিভিন্ন হয়।

 

করণীয়

অ্যাপেন্ডিসাইটিস প্রতিরোধ করার জন্য তেমন কিছুু করণীয় নেই।

তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি অবশ্যই অনুসরণীয়। তবে যে কারণেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস হোক না কেন, অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে ব্যথার লক্ষণ মূল্যায়ন করা যায়। জ্বর, বমি ও পেটের ডান পাশে তীব্র ব্যথা, এমন হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দ্রুত পরামর্শ নেওয়া উচিত। শল্য চিকিৎসা একটি অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আর অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও এসংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। তবে উপযুক্ত পরীক্ষা ও মূল্যায়নের পর অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শল্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. শাহেদ সাব্বির আহমেদ

আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার

কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুর

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে উপকারী ৩ খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে উপকারী ৩ খাবার
সংগৃহীত ছবি

মাইগ্রেনের ব্যথা দ্রুত কমে না। বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ খেয়েও অনেক সময় বিশেষ লাভ হয় না। মাইগ্রেনের ব্যথায়  অনেকে চা বা কফি পান করেন। গবেষকদের মতে, মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা খাবার এড়ানো উচিত।

যদি কারো মাইগ্রেন থাকে তবে কিছু খাবার নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। 

তরমুজ
শরীরে পানির অভাব দূর করা গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা কিছুটা কমে। তাই শুধু পানি পান করা নয়, পানিযুক্ত ফলও খেতে হবে। তরমুজে ৯২% পানি থাকে যা শরীরে পানির পরিমাণ সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বাদাম ও বীজ
শরীরে পানির পাশাপাশি ম‍্যাগনেশিয়ামের অভাব হলে মাইগ্রেন হতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে প্রতিদিন খালি পেটে বিভিন্ন ধরনের বাদাম বা বীজ খেতে পারেন। যেমন- ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড, কুমড়োর বীজ। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ম‍্যাগনেশিয়াম রয়েছে।

ভেষজ চা
শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভেষজ চায়ের রয়েছে অনেক উপকারিতা। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পুদিনা চা সাইনাসের জন্য উপকারী। এটি মাইগ্রেন কমাতেও সাহায্য করে।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য
রাশিফল

আজ ১৮ মার্চ, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ১৮ মার্চ, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১৮ মার্চ, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

আরো পড়ুন
বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

 

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কাজের ভালো সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঋণমুক্তির সুযোগ আসতে পারে।

কারো সাহচর্যে আনন্দ পাবেন। সমস্যা সমাধানে নিজের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগান। কাজ ফেলে রাখবেন না।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কোনো শুভ কাজে অংশ নিতে পারেন।

সম্মিলিতভাবে কোনো কাজে অগ্রগতি হতে পারে। আর্থিক লেনদেনে ও কেনাবেচায় নতুন সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। অফিশিয়াল চাপ বাড়ির বাইরে রাখুন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কর্মপ্রার্থীরা কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

তবে কোনো কারণে মানসিক চাপ থাকতে পারে। নিজের বুদ্ধি ও পরিশ্রম দ্বারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডায়েট নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধান বিকল্পগুলো সন্ধান করুন।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): আজ মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকবেন। কাজকর্মে ভালো ফল আশা করা যায়।

অপ্রত্যাশিত কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা। দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দিতে পারবেন। বিনোদনমূলক কাজে আনন্দ পাবেন। রোমান্স শুভ।

আরো পড়ুন
বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

 

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): গৃহকর্মে ব্যস্ত থাকতে পারেন। পারিবারিক দিক থেকে শান্তি অনুভব করলেও সম্পত্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা হতে পারে। ব্যবসা আশানুরূপ হবে না। শরীর ভালো থাকবে, তবে যত্নের প্রয়োজন। মন ভালো রাখুন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): ইতিবাচক সংবাদে আশাবাদী হবেন। কোনো যোগাযোগে আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। পুরনো সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। বিরূপ পরিস্থিতিকেও নিজের অনুকূলে নিয়ে আসতে পারবেন। পরিবারের সদস্যদের সময় দিন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। ব্যবসায়ীরা নতুন উদ্যোগ নিতে পারেন। নিজের বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করুন। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): ভালো কোনো কাজের সুযোগ আসবে। সার্বিকভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। নিজের বুদ্ধিতে কর্মস্থানে উন্নতি হতে পারে। নিজ দক্ষতায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুন
সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুর কামড়ালো বৃদ্ধ ও শিশুসহ ছয়জনকে

সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুর কামড়ালো বৃদ্ধ ও শিশুসহ ছয়জনকে

 

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): উপার্জন হলেও আর্থিক চাপ থাকবে। ব্যবসায় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবে সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। কর্মপদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে সফলকাম হওয়ার চেষ্টা করুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): প্রত্যাশিত কোনো কাজে অগ্রগতি হতে পারে। ব্যবসায় আশানুরূপ আয়ের সম্ভাবনা আছে। বন্ধুর সহযোগিতায় কাজে সফলতা পেতে পারেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন। আপনার শক্তি ও উদ্যম আপনার অনুকূলে ফল দেবে।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কোনো পরিকল্পনার অগ্রগতি হবে। ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ আসতে পারে। আপনার দৃঢ়তা ও বিশ্বস্ততা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজে লেগে থাকুন।

আরো পড়ুন
যুবকের পায়ুপথ থেকে ৬ স্বর্ণের বার উদ্ধার

যুবকের পায়ুপথ থেকে ৬ স্বর্ণের বার উদ্ধার

 

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। ইচ্ছানুসারে কাজ করার স্বাধীনতা পাবেন। কল্যাণমূলক কাজে আনন্দ পাবেন। প্রবাসীদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে। পুরনো সমস্যা কাটিয়ে সাফল্যের পথে অগ্রসর হতে হবে।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com. www.astrologerahmedmasud.com

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদে কেনাকাটায় যে সতর্কতা অবলম্বন করবেন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদে কেনাকাটায় যে সতর্কতা অবলম্বন করবেন
সংগৃহীত ছবি

ঈদ মানেই খুশি আর ঈদ মানেই আনন্দ। আর ঈদের আনন্দের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে কেনাকাটা। নতুন পোশাক, উপহারসামগ্রী, সুস্বাদু খাবার—সব মিলিয়ে ঈদের বাজার হয়ে ওঠে জমজমাট। তবে অতি উৎসাহ কিংবা অসতর্কতার ফলে অনেকেই প্রতারিত হন কিংবা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে ফেলেন।

সঠিক পরিকল্পনা এবং কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করলে আপনি ঈদের কেনাকাটায় হয়ে উঠতে পারেন বুদ্ধিমান ক্রেতা। তাই ঈদের কেনাকাটা সময় আপনি কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন তাই নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।

পরিকল্পনা করে নিন
ঈদের বাজারে যেকোনো পণ্যের চাহিদা থাকে বেশি, ফলে দামও তুলনামূলক বেশি হতে পারে। তাই আগেভাগেই একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন—কী কী কিনতে হবে, কোনটির কতটা প্রয়োজন এবং বাজেট কতটুকু হবে।

তালিকা তৈরি করলে আপনি অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

বাজার যাচাই করুন
একই পণ্য বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। বিশেষ করে ঈদের সময় অনেক বিক্রেতা উচ্চমূল্য দাবি করেন। তাই এক দোকানে গিয়ে কেনার আগে কয়েকটি দোকান ঘুরে দাম যাচাই করুন।

অনলাইনে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকেও দাম তুলনা করতে পারেন।

অফার ও ছাড়ের ফাঁদে পা দেবেন না
ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও দোকান ‘বিশেষ ছাড়’, ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ ইত্যাদি অফার দেয়। তবে সব অফারই আসলে লাভজনক নাও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে পুরোনো বা কম চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বিক্রির জন্যই এমন অফার দেওয়া হয়। তাই অফার দেখলেই না কিনে পণ্যের গুণগত মান যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন।

নকল ও নিম্নমানের পণ্য এড়িয়ে চলুন
ঈদের সময়ে চাহিদার কারণে বাজারে নকল ও নিম্নমানের পণ্যের ছড়াছড়ি থাকে। বিশেষ করে প্রসাধনী, পোশাক, পারফিউম ও ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতারণা বেশি দেখা যায়। সঠিক ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে হলে নির্ভরযোগ্য দোকান থেকে কেনাকাটা করুন এবং সম্ভব হলে রসিদ সংগ্রহ করুন।

অনলাইন কেনাকাটায় সতর্ক থাকুন
অনলাইনে ঈদের কেনাকাটা এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে ফেসবুক বা অনলাইন শপ থেকে কেনার আগে তাদের রিভিউ দেখে নিন, পণ্যের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করুন এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা থাকলে তা বেছে নিন।

কেনাকাটার সময় ঠান্ডা মাথায় ভাবুন
ঈদের কেনাকাটার সময় অনেকেই হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, যা পরে পছন্দ না হলে আফসোস করতে হয়। কোনো পোশাক বা পণ্য কেনার আগে ভেবে দেখুন সেটি আপনার প্রয়োজনীয় কিনা, মানসম্মত কিনা এবং দামের তুলনায় যথাযথ কিনা।

পরিবহন ও ভিড় সামলানোর প্রস্তুতি নিন
ঈদের আগে বাজার ও শপিং মলগুলো প্রচণ্ড ভিড় থাকে। তাই কেনাকাটার জন্য এমন সময় বেছে নিন, যখন তুলনামূলক কম ভিড় থাকবে। প্রয়োজনে নিজের বা পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়েও সচেতন থাকুন।

বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটায় বাড়তি মনোযোগ দিন
বাচ্চাদের পোশাক ও জুতা কেনার সময় মান ও আরামের বিষয়টি মাথায় রাখুন। অনেক সময় বেশি চকচকে বা স্টাইলিশ পোশাক দেখতে সুন্দর লাগলেও আরামদায়ক নাও হতে পারে।

বাজেটের সীমা বজায় রাখুন
ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকেই বাজেটের বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করেন, যা পরে আর্থিক চাপে পরিণত হয়। তাই নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করুন এবং অহেতুক খরচ এড়িয়ে চলুন।

হাসিমুখে কেনাকাটা করুন
ঈদের কেনাকাটা যেন আনন্দের কারণ হয়, উদ্বেগের নয়। দরদাম করার সময় নম্রতা বজায় রাখুন, দোকানদারদের সাথে ভদ্র আচরণ করুন। 

মেয়েদের কেনাকাটায় বাড়তি সতর্কতা
ঈদের সময় শপিং মল ও বাজারে প্রচণ্ড ভিড় হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে হয়রানি বা চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দলবেঁধে কেনাকাটা করা ভালো এবং সম্ভব হলে দিনের বেলায় কেনাকাটা করাই নিরাপদ। হ্যান্ডব্যাগ ও মূল্যবান জিনিসের নিরাপত্তার জন্য কেনাকাটার সময় ব্যাগে বেশি টাকা, গয়না বা মূল্যবান জিনিস রাখা উচিত নয়। ব্যাগ সামনে ধরে রাখলে এবং চেইন লাগানো থাকলে নিরাপদ থাকা যায়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হার্ট সুস্থ রাখতে পেয়ারা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
হার্ট সুস্থ রাখতে পেয়ারা
সংগৃহীত ছবি

গরমের দিনে হার্টের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অনেকে পেয়ারা খেয়ে থাকেন। এই ফলটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং গরমের সময়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।

পটাশিয়ামে ভরপুর
পেয়ারায় উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে। পেয়ারা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ
পেয়ারায় ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে হার্টকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

 

ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার
১০০ গ্রাম পেয়ারায় প্রায় ২২৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
পেয়ারা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে থাকে। পেয়ারা এটি কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে।

যা হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া পেয়ারার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।

সূত্র: এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ