ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

পরিবেশ ধ্বংস করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : এলজিআরডি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পরিবেশ ধ্বংস করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পরিবেশ ধ্বংস এবং পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট করে উন্নয়ন করলে সে উন্নয়ন টেকসই হবে না। টেকসই উন্নয়নের জন্য অবশ্যই পরিবেশ ও প্রতিবেশকে প্রাধান্য দিতে হবে। পরিবেশকে ধ্বংস করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।

আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ও স্থপতি’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিসহ সভায় অংশ নেওয়াা সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে আবাসিক এলাকাগুলোতে এমন কোনো ভবন করতে দেওয়া যাবে না- যার পাশে রাস্তা থাকবে না, খোলা জায়গা, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও স্যাপ্টিক ট্যাংক থাকবে না, আশপাশে স্কুল, খেলার মাঠ এবং স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা থাকবে না। বাসা বা এপার্টমেন্টে এসবের ব্যবস্থা না থাকলে নগরবাসীকে সেই বাসা ভাড়া অথবা অ্যাপার্টমেন্ট না কেনারও পরামর্শ দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে সরকার গ্রামকে শহর-বানানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরের পরিবেশের বর্তমান অবস্থা দেখলে গ্রামের মানুষ এমন শহর কখনোই চাইবে না। গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত এমন ভাবে করতে হবে যাতে গ্রামের বৈচিত্র বিনষ্ট না হয়।

গ্রামের নির্মল বাতাসের পরিবর্তে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার, ক্রোমিয়াম ও ক্যাডমিয়াম যুক্ত বাতাস মানুষ নিতে হয়।

বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সিটিউট আয়োাজিত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব।

মন্তব্য

অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সাহায্য চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অপতথ্য রোধে মার্কিন সিনেটরের সাহায্য চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ ভুল তথ্য ছড়ানো নিয়ে মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সাহায্য চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

সিনেটর পিটার্স বলেন, ডেট্রয়েট শহরসহ মিশিগানে তার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বসবাস করেন।

তাদের কেউ কেউ সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়েও ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই ভুল তথ্যের কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ, জাতি-লিঙ্গ-নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে তার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দুদের ওপর আক্রমণগুলো রাজনৈতিক ছিল, ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না, তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।’

প্রফেসর ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর পরিদর্শন এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও কর্মীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের সাহায্য আমাদের দরকার। আপনার সহকর্মীদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে বলুন।

আমরা একসঙ্গে ভুল তথ্য প্রচার মোকাবেলা করতে পারি।’

মার্কিন সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, মূল কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।

এ সময় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কারে সম্মত হলে চলতি ডিসেম্বরে নির্বাচন। তবে দলগুলো যদি সরকারের কাছ থেকে সংস্কারের আরো বড় প্যাকেজ চায় তবে কয়েক মাস পরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

নির্বাচনের দিন বড় রকমের উৎসব হবে, যেমনটা আমরা অতীতে দেখেছি।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে তারা জুলাই সনদে সই করবে।’ এই জুলাই সনদ দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে বলেও জানান তিনি।

সিনেটর পিটার্স সরকারের সংস্কার এজেন্ডার প্রশংসা করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রত্যাশা করছে।’

বৈঠকে দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে ক্ষুদ্রঋণ নিয়েও আলোচনা করেন।

মন্তব্য
৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি

তাছবীর সভাপতি, নাছিম সম্পাদক

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
তাছবীর সভাপতি, নাছিম সম্পাদক
সংগৃহীত ছবি

৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তাছবীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন গলাচিপা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাছিম রেজা।

আরো পড়ুন
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও লড়াই করব : শহিদুল ইসলাম বাবুল

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও লড়াই করব : শহিদুল ইসলাম বাবুল

 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যেদের উপস্থিতিতে এই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আংশিক এই কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কাসপিয়া তাসরিন।

কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন নান্দাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান।

এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জে সিনিয়র সহকারী কমিশনার কায়েসুর রহমানকে যুগ্ম সম্পাদক ও পাংশার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলামকে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতি শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নজরুল ইসলাম খানের সহধর্মিণী আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নজরুল ইসলাম খানের সহধর্মিণী আর নেই

বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সহধর্মিণী ও সাবেক কূটনীতিক অলিফা আকতার কান্তা ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।  

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার ইফতারের আগে রাজধানীর গুলশানে-২ এ অবস্থিত ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।

মৃত্যু কালে অলিফা আকতার কান্তা ইসলাম স্বামী, এক ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন। 

মরহুমার মৃত্যুতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন। একই সঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন, এবং দোয়া করেছেন, মহান আল্লাহ যেনো তাকে বেহেশত নসিব করেন।

মন্তব্য

সাংবাদিক আলী হাবিবের মৃত্যুতে বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাংবাদিক আলী হাবিবের মৃত্যুতে বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের শোক
সংগৃহীত ছবি

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আলী হাবিবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক আলী হাবিবের মৃত্যুতে বসুন্ধরা গ্রুপ ও আমার পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বিকেলে অফিসে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

জানা গেছে, আজ রাত পৌনে ১০টায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কম্পাউন্ডে (কালের কণ্ঠের অফিস প্রাঙ্গণে) তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজা শেষে রাতেই তার মরদেহ ঝিনাইদহের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে।

আলী হাবিব ১৯৬৪ সালে ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠে সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে যোগদান করেন ১৯৯৩ সালে। পরে ২০০১ সাল থেকে সহকারী সম্পাদক ও ফিচার বিভাগের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

‘রঙ্গভরা বঙ্গদেশ’ ও ‘ঝিলিমিলি’ ফিচার পাতার বিভাগীয় সম্পাদক ছিলেন।

তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় কালের কণ্ঠের উপসম্পাদকীয় বিভাগে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতেন। ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই প্রকাশিত ‘এই ক্ষত সারাবে কে’ শিরোনামের উপসম্পাদকীয়তে তিনি সমসাময়িক একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট প্রকাশিত ‘তরুণরা বাংলাদেশকে শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বে নিয়ে যেতে পারবে’ শিরোনামের উপসম্পাদকীয়তেও তিনি তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ