এনবিআর চেয়ারম্যান

বাধ্যতামূলক হচ্ছে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাধ্যতামূলক হচ্ছে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল
ফাইল ছবি

আগামী বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।

তিনি বলেন, অনলাইন রিটার্ন জমা দেওয়ার সমস্যাগুলো যাচাই-বাছাই করে সেগুলোর সমাধান করা হবে। আগামী বছর থেকে ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর জমা অনলাইনে দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে করপোরেট ট্যাক্স অনলাইনে দেওয়া যাবে।

তবে এর আগে অনলাইনে কর দেওয়ার সব সমস্যা সমাধান করা হবে।

রবিবার রাজস্ব বোর্ড মিলনায়তনে শুল্কের আধুনিকায়নে চার বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা ও বাণিজ্য সহজীকরণে আমদানি-রপ্তানি হাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন
অবৈধ ডিজিটাল মেশিন বসিয়ে ডিজেল-পেট্রল বিক্রি

অবৈধ ডিজিটাল মেশিন বসিয়ে ডিজেল-পেট্রল বিক্রি

 

এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, অর্থনীতিতে ইতিবাচক ধারা এসেছে। গত ছয় মাসে রপ্তানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

জানুয়ারিতে সাত শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে। সামনে এগিয়ে যেতে নেতিবাচক বিষয় সরিয়ে ফেলতে হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ ও আধুনিক করার লক্ষ্যে আগামী চার বছরের জন্য শুল্কের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এর মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ গতি পাবে, বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে।

এর ফলে কার্যক্ষমতা বাড়বে এনবিআর কর্মকর্তাদের।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুই অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুই অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

দেশের দুই অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ জন্য নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, 

এতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদের ছুটিতেও বায়ুদূষণে শীর্ষ দশে ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের ছুটিতেও বায়ুদূষণে শীর্ষ দশে ঢাকা

ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ ৯ম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। এ সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৩৭। 

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ সময় ১৬১ একিউআই স্কোর নিয়ে ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় এর পরেই রয়েছে সাভারের হেয়ায়েতপুর (১৬০), বেজ ইজওয়াটার (১৫৬)। এসব এলাকাতেও আজ বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। 

আজ বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু (২৬০)।

এরপরেই রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৪৬)। পাকিস্তানের লাহোর। এই শহর দুটির বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। 

তালিকায় এর পরেই রয়েছে যথাক্রমে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই (১৭১), পাকিস্তানের লাহোর (১৬১),  চীনের উহান (১৫৭), মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন (১৫১)।

এসব শহরে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। 

একটি শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, তার লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক জানিয়ে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার।

আরো পড়ুন
ঈদের মধ্যেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নিহত ৮০ ফিলিস্তিনি

ঈদের মধ্যেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নিহত ৮০ ফিলিস্তিনি

 

প্রতিষ্ঠানটির মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

মন্তব্য

ঈদ এলে তাঁরা খুঁজে বেড়ান পুরনো স্মৃতি

মোবারক আজাদ
মোবারক আজাদ
শেয়ার
ঈদ এলে তাঁরা খুঁজে বেড়ান পুরনো স্মৃতি

ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ-খুশি ভাগাভাগি করে নেওয়া। তবে ঈদের এই আনন্দ-খুশিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয় না অনেকের। উল্টো ঈদ এলে বিষাদ নেমে আসে তাঁদের জীবনে, দুই চোখ বেয়ে জল নামে।

হাতড়ে বেড়ান পুরনো স্মৃতি। এই হতভাগ্য মানুষগুলোর মধ্যে রয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করা বয়স্করা। ঈদ ঘিরে এই মানুষগুলোর জন্য ভালো মানের খাবার ও পোশাক বরাদ্দ থাকলেও তাঁদের পাশে আপনজন না থাকায় কোনোভাবেই দুঃখ ঘোচে না। তবে বৃদ্ধাশ্রমে কর্তব্যরত ব্যক্তিরা আদর ও সেবা দিয়ে পাশে থেকে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করেন এই মানুষগুলোকে হাসিখুশি রাখতে।

আরো পড়ুন
যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে কিশোর খুন

যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে কিশোর খুন

 

গত শুক্রবার রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডে ‘আপন ভুবন বৃদ্ধাশ্রম’-এর কর্মী এবং সেখানে বসবাস করা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। আপন ভুবন বৃদ্ধাশ্রমে পরিবারহীন, সন্তানহীন, মানসিক ভারসাম্যহীন এবং সড়কে যেসব অসহায় বৃদ্ধা অনাদরে অসহায়ভাবে পড়ে ছিলেন তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৯ জন বৃদ্ধা রয়েছেন। 

বৃদ্ধাশ্রমটির একজন বাসিন্দা জোহরা বেগম (৮০)।

তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তিনি সাত সন্তানের জন্ম দিলেও একে একে শৈশবেই সবাই মারা যায়। স্বামীও মারা গেছেন। শেষে ঘরহারা হয়ে বেশ কিছুদিন সড়কে থেকে অবশেষে এই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় মেলে। এখন আর তার কিছু মনে পড়ে না। তবে পরিবার-পরিজন হারানোর আক্ষেপ কোনোভাবেই দূর হচ্ছে না।

জোহরা বেগমের মতো আপন ভুবন বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় পেয়েছেন রেনু বেগম। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পুরান ঢাকার ইসলামবাগ এলাকায় তিনি তিন ছেলে, এক মেয়ে আর স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। পারিবারিক শত্রুতার জেরে সব কিছু হারাতে হয় তাকে। স্বামী মারা যাওয়ার পর কিছুদিন মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করেছেন। এরপর অসুস্থ হলে হাসপাতালে তাকে একা তিন মাস কাটাতে হয়। পরে যে বাসায় ভাড়া থাকতেন, সে বাসার লোকজন আপন ভুবন বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে এখানে পাঠান। রেনু বেগম জানান, এখানে তিনি অনেক ভালো আছেন। এখানে আসার পর তার নিঃসঙ্গতা দূর হয়েছে। কিন্তু তিনি কিছুতেই নিজের সংসার, সন্তান ও স্বামীর কথা ভুলতে পারছেন না। 

আরো পড়ুন
তৃতীয় মেয়াদেও কি প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প, সংবিধানে কী আছে

তৃতীয় মেয়াদেও কি প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প, সংবিধানে কী আছে

 

আপন ভুবন বৃদ্ধাশ্রমের প্রধান কো-অর্ডিনেটর জারা জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই মায়েদের তো আপনজন বলতে আমরাই। আমাদের সঙ্গেই তারা ঈদ করবেন। ঈদের দিন সেমাই, পিঠা, পোলাও-রোস্টসহ একটি পরিবারে সাধারণভাবে যা যা আয়োজন থাকে আমরাও এখানে এই মায়েদের জন্য সেসবের আয়োজন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। ঈদের আগের দিন এই মায়েদের হাতে মেহেদি পরাব, ঈদের দিন নতুন শাড়ি, ম্যাক্সির সঙ্গে ইমিটেশনের গহনা পরিয়ে তাদের সাজাব। আর ঈদের দিন আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং এই মায়েদের শরীর ভালো থাকলে তাঁদের পাশের পার্কে ঘুরাতে নিয়ে যাব।’ 

ঈদের দিন এই অসহায় বৃদ্ধাদের মানসিক অবস্থা কেমন থাকে, জানতে চাইলে জারা জামান বলেন, ‘এই মায়েরা আক্ষেপ করেন, যদি তাদের স্বামী-সন্তান থাকত, তাহলে তাদের এখানে আশ্রয় নিতে হতো না। আবার সন্তান থাকলে নিশ্চয় তাদের দেখতে আসত। ভালো মানের খাবার, পোশাক, আমাদের শতভাগ আদর-ভালোবাসা দেওয়ার পরও অনেকের পরিবার না থাকার আক্ষেপ ঘুচছে না। এ কারণে আমরা তাঁদের বেশি করে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করি, যাতে এই মায়েরা মন খারাপ না করেন।’ 

আরো পড়ুন
দেশকে এগিয়ে নিতে ঈদুল ফিতরের বার্তা ধারণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

দেশকে এগিয়ে নিতে ঈদুল ফিতরের বার্তা ধারণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

 

প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তা রুমি রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুরুতে ২০২২ সাল থেকে আমরা চারজন নিঃসন্তান নারী নিয়ে এই বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনা শুরু করি। বর্তমানে এই সংখ্যা ২৯। মা-বাবাকে নিজের সন্তানরা যেভাবে ভালোবাসে, আদর-যত্নে রাখে, আমরাও এখানে থাকা মায়েদের সেভাবে রাখার চেষ্টা করছি। যেকোনো উত্সবের সময় আমাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।’

আরো পড়ুন
‘গরিব গো আবার কিয়ের ঈদ’

‘গরিব গো আবার কিয়ের ঈদ’

প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে এখানে থাকা ২৯ জন মায়ের মধ্যে বেশির ভাগ মানসিক ভারসাম্যহীন। তাদের ৮০ শতাংশ প্রেসার, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত। এঁদের মধ্যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মা-ও রয়েছেন। এই মায়েদের ঈদ উত্সব কাটে পরিবারের সদস্যদের কাছে না পাওয়ার কষ্ট ও অভিমান বুকে চেপে।

জানা গেছে, আপন ভুবন বৃদ্ধাশ্রম প্রতি মাসে এই ময়েদের ভরণ-পোষণে ব্যয় করে প্রায় ছয় লাখ টাকা। এই ব্যয় নিঃসন্তান চার নারীসহ তাঁদের পরিবার ও পরিচিতজনরা বহন করেন। কিছু অর্থ অনুদানের মাধ্যমেও পাওয়া যায়। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ এক বেলা খাবার সরবরাহ কিংবা কেউ কিছু কাপড়চোপড় দিয়ে যান। তবে রমজান মাসে কিছু শাড়ি ও জাকাত পাওয়া যায়। তবে জাকাতের পরিমাণ আরো বাড়লে এই মায়েদের সেবায় আরো কিছুটা বেশি ব্যয় করা যেত।

মন্তব্য

‘গরিব মাইষের ঈদের আনন্দ নাই’

মো. রাইয়ান হোসেন
মো. রাইয়ান হোসেন
শেয়ার
‘গরিব মাইষের ঈদের আনন্দ নাই’

‘ও মামা লোক লাগবো না?’ মাথায় ঝুড়ি নিয়ে এভাবেই কারওয়ান বাজারে ডাকাডাকি করছেন খোকন। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই জানালেন, তিনি এই বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসা লোকজনের মালামাল তার ঝুড়িতে করে রিকশা বা গাড়িতে পৌঁছে দেন। এর বিনিময়ে কেউ ২০ টাকা আবার কেউ ৩০ টাকা দেন। যা দিয়ে চলে তার সংসার।

 

শুধু খোকন নয়, তার মতো হাজারো খোকন মাথায় ঝুড়ি নিয়ে সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ায় বাজারের এক গলি থেকে অন্য গলি। ঈদ ঘিরে দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে তারা ছুটে চলেছেন। 

খোকন বলেন, ঈদ আসলে আনন্দ হয়। কিন্তু গরিব মাইষের ঈদের আনন্দ নাই।

 

আরো পড়ুন
রামুতে গরু চোরাচালান নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১

রামুতে গরু চোরাচালান নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১

 

পরিবারে কে কে আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পরিবারের স্ত্রী-সন্তান থাকলেও ঈদে তদের কিছু দিতে পারেন না। তা মা আছে তাকেও যে কিছু দেবেন সেই সামর্থও নেই তার। 

কথা শেষ করেই আবারো সামনে হাঁটতে শুরু করেন খোকন। আবারো সেই ডাকাডাকি ‘ও মামা লোক লাগবো না?’ তার এই ডাকে কেউ সাড়া দেয় আবার কেউবা ‘না’ বলছে।

এর মধ্যেই একজন রাজি হলেন। পাবেন ২০ টাকা তবে সেটি আর জুটলো না। 

এরপর আবারো মাথায় ঝুড়ি নিয়ে হাঁটতে শুরু করলেন খোকন। এক ঘণ্টা হেঁটে ডাকাডাকির পর একজন রাজি হলেন ঝুঁড়িতে করে মালামাল গন্তব্যে নিতে। খোকন তার ঝুড়িতে করে মালামাল গন্তব্যে নেওয়ার পর বিনিময়ে তাকে দেওয়া হলো ২০ টাকা।

টাকাটি পকেটে ঢোকানোর আগেই দেখতে পান ছেঁড়া। তবু হাসি মুখে গুজে নেন পকেটে। 

আরো পড়ুন
মায়ানমারে স্কুলের ধ্বংসস্তূপে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন মা-বাবারা

মায়ানমারে স্কুলের ধ্বংসস্তূপে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন মা-বাবারা

 

খোকনের কাছে তার কাজ ও পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে কালের কণ্ঠকে জানায়, দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা আয় করে, কখনো তাও হয় না, তিন দিন না খেয়েও থেকে ছিলেন তিনি। 

সামান্য এই আয়ের অর্থ কোনভাবেই জীবনযাপন করছেন। সকাল থেকে রাত এভাবেই কাজ করে যান। পরিবারের রয়েছে স্ত্রী সন্তান ও বৃদ্ধ মা। ঈদ ঘিরে পরিবারের কাউকে কিছু কিনে দিতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে তার কষ্টের যেন শেষ নেই।

এই সমাজে খোকনদের কষ্টগুলো হয়তোবা কেউ বোঝার চেষ্টা করে না, তারপরও খোকনের মতো মানুষেরা বুক ভরা আশা নিয়ে, সন্তানের জন্য হাতে করে, ঈদ উপহার নিয়ে ছুটে চলে বাড়ির পথে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ