<p>আক্রমণাত্মক ব্যাটার হিসেবেই পরিচিত রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে তার ছিঁটেফোটাও দেখানোর সুযোগ পাননি। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগেই ২২ বছর বয়সী ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ।</p> <p>সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কাল ঠিকই গুরবাজের বিধ্বংসীরূপ দেখতে পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড নৈপুন্যে ম্যাচসেরা আজমতউল্লাহ ওমরজাই হলেও বাংলাদেশ যে গুরবাজের কাছেই হেরেছে এটা বললেও খুব বেশি বলা হবে না। গতকাল শারজায় তাকে আউট করার কোনো উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিল না মুস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল হাসানরা। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে যখন থামলেন তখন বাংলাদেশের জয়ের আশাই শেষ করে দিয়েছেন তিনি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গুরবাজের সেঞ্চুরির কাছে হার মানল বাংলাদেশ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/12/1731348275-e92067f18195ca127db8f3e59ce6752e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গুরবাজের সেঞ্চুরির কাছে হার মানল বাংলাদেশ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/11/12/1445597" target="_blank"> </a></div> </div> <p> </p> <p>৭ ছক্কা ও ৫ চারে দুরন্ত সেঞ্চুরিতে একটা কীর্তিও গড়েছেন গুরবাজ। বয়সের হিসেবে তার ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিটি দ্বিতীয় দ্রুততম। যেখানে পেছনে ফেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার-বিরাট কোহলি-বাবর আজমদের মতো তারকাদের। ওয়ানডেতে অষ্টম সেঞ্চুরির দিন গুরবাজের বয়স হয়েছিল ২২ বছর ৩৪৯ দিন। অন্যদিকে ৮ সেঞ্চুরি করতে ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীনের সময় লেগেছিল ২২ বছর ৩৫৭ দিন। আর কোহলির ২৩ বছর ২৭ দিনের বিপরীতে বাবরের লেগেছে ২৩ বছর ২৮০ দিন।</p> <p><iframe align="middle" frameborder="0" height="950" sandbox="allow-scripts allow-same-origin" scrolling="yes" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/IndSportCentral/status/1856036050185138289" width="900"></iframe></p> <p>শচীন-বাবরদের পেছনে ফেললেও কুইন্টন ডি কককে পেছনে ফেলতে পারেননি গুরবাজ। অষ্টম সেঞ্চুরি করতে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটারের সময় লেগেছে ২২ বছর ৩১২ দিন। অবশ্য ম্যাচের হিসেবে ডি কককে পেছনে ফেলেছেন গুরবাজ। প্রোটিয়াদের বাঁহাতি ব্যাটারের ৫২ ম্যাচের বিপরীতে আফগান ওপেনার খেলেছেন ৪৬ ম্যাচ।</p> <p>এই তালিকাতেও অবশ্য দ্রুততম নন গুরবাজ। তিনে আছেন তিনি। এখানে শীর্ষে আছেন ৪৩ ম্যাচে ৮ সেঞ্চুরি করা ডি ককের স্বদেশি সাবেক ওপেনার হাশিম আমলা। দুইয়ে আছেন বাবর। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের লেগেছে ৪৪ ম্যাচ। গুরবাজের অষ্টম সেঞ্চুরির ৩টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। দুটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর একটি করে নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।</p>