<p>জাপানের রাজধানী এই গ্রীষ্মের প্রথম দিকে তাদের নিজস্ব ডেটিং অ্যাপ চালু করবে। এ পদক্ষেপ দেশটির জাতীয় জন্মহার বাড়ানোর সরকারি প্রচেষ্টার অংশ। টোকিওর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাপ ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে, যার মাধ্যমে দেখা হবে যে তারা বৈধভাবে অবিবাহিত। পাশাপাশি তারা বিয়ে করতে ইচ্ছুক বলে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করতে হবে। জাপানি এই ডেটিং অ্যাপগুলোতে ব্যবহারকারীদের আয়ের পরিমাণ উল্লেখ করা সাধারণ বিষয়। তবে বার্ষিক বেতন প্রমাণ করার জন্য টোকিওর এই অ্যাপে ট্যাক্স সার্টিফিকেটের স্লিপের প্রয়োজন হবে।</p> <p>নতুন অ্যাপটির দায়িত্বে থাকা টোকিও সরকারের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা জেনেছি, ৭০ শতাংশ মানুষ যারা বিয়ে করতে চান তারা সক্রিয়ভাবে কোনো ইভেন্ট বা অ্যাপে যোগ দিচ্ছেন না সঙ্গীর খোঁজে। আমরা তাদের (সঙ্গী) খুঁজে পেতে অনুপ্রেরণা দিতে চাই।’</p> <p>টোকিওর এই অ্যাপের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্যবহারকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে সাক্ষাৎকারেরও প্রয়োজন হবে। গত বছরের শেষের দিক থেকে বিনা মূল্যে এ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।</p> <p>এদিকে অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এই পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বলে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে। একজন বলেছেন, ‘এটা কি আমাদের ট্যাক্স ব্যবহার সরকারের করা উচিত?’ অন্যরা জানিয়েছেন, তারা আগ্রহী, কারণ তারা এই অ্যাপে নিরাপদ বোধ করবে।</p> <p>এএফপি বলছে, জাপানে পৌরসভার জন্য ম্যাচমেকিং ইভেন্টের আয়োজন করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে স্থানীয় সরকারের পক্ষে অ্যাপ তৈরির ঘটনা দেশটিতে বিরল। দেশটিতে ২০২৩ সালে জন্মহার নতুন করে নিচে নেমে আসে। এ ছাড়া গত বছর জাপানে নতুন শিশুর জন্মের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটি ক্রমবর্ধমান শ্রমের ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা, শিশুর যত্নের সহজপ্রাপ্যতা এবং মা-বাবার আরো ছুটিসহ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।</p>