<p>গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট অপারেটর নাফটোগাজ এবং রাশিয়ার গ্যাজপ্রমের মধ্যে পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। রাশিয়া থেকে ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। </p> <p>বুধবার স্থানীয় সময় সকালে রুশ কম্পানি গ্যাজপ্রম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিয়েভ গ্যাস ট্রানজিট চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করায় মস্কো গ্যাস পাঠানো বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধের জেরে এশিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা ও বিকল্প জ্বালানির দাম বাড়তে পারে। </p> <p>এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার গ্যাস ট্রানজিটের জন্য নতুন কোনো চুক্তি হবে না। কারণ নতুন বছরের মাত্র কয়েকদিন আগে কোনো চুক্তি করা সম্ভব নয়। </p> <p>এদিকে জেলেনস্কি বুধবার টেলিগ্রামে জানান, তিনি আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উৎপাদনকারী দেশ থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বাড়ালে দাম কিছুটা সহনশীল থাকতে পারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রমণ ইউরোপে একটি জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। অন্যদিকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দামও বেড়ে যায়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফিলিস্তিনে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/02/1735808204-a4dba9b67cf54c1c9da7b162dfbc1b74.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফিলিস্তিনে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ</p> </div> </div> </div> <p><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/01/02/1464089" target="_blank"> </a></p> <p><span style="font-size:1.25rem">হাইটং ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্কট ডার্লিং ব্লুমবার্গ টিভিতে বলেন, ‘এটা এলএনজি বাজারকে আরো কঠিন করে তুলবে। এলএনজি বাজারকে আরো সংকুচিত করতে যাচ্ছে।’ </span></p> </div> </div> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই বছর এবং সম্ভবত পরের বছর জ্বালানি সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে এবং এলএনজির দাম নির্ধারণে ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছি।’</p> <p>বুধবার রাশিয়া থেকে ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে গ্যাসের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা জ্বালানি সরবরাহ চ্যানেল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও কয়েক মাস রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পর এই পদক্ষেপটি সবার কাছে প্রত্যাশিত ছিল। ইউরোপকে এখন প্রায় ৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহের জন্য বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে। সম্ভবত গ্যাস মজুতের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। </p> <p>এদিকে সরবরাহ বন্ধের আশঙ্কায় গ্যাসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ইউরোপের গ্যাসের বেঞ্চমার্ক ২০২৪ সালের শেষে মূল্য ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বাকি দেশগুলো যে ব্যয়বহুল এলএনজির ওপর নির্ভরশীল, সেই বাজারে এখনও এই মূল্যবৃদ্ধির সম্পূর্ণরূপে প্রভাব পড়েনি।</p> <p>সূত্র : ব্লুমবার্গ</p>