<p>ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে সম্প্রতি তিনজন চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে ১২টি সোনার বার ও নগদ আট লাখ মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।</p> <p>দক্ষিণ কিভু প্রদেশের গভর্নর জ্যাঁ জ্যাক পুরুসি বলেন, এই সোনা ও অর্থ তারা যে গাড়িতে ভ্রমণ করছিলেন তার সিটের নিচে লুকানো ছিল। সম্প্রতি ওই অঞ্চলে একটি অবৈধ সোনার খনির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক আরেকটি চীনা দলের মুক্তির পর এই অভিযানটি গোপনে পরিচালিত হয়।</p> <p>ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে প্রচুর সোনা, হীরা এবং মোবাইল ফোন ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত খনিজ সম্পদের মজুদ রয়েছে। উপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে বিদেশি গোষ্ঠীগুলো এই খনিজ সম্পদ লুট করে আসছে, যা গত ৩০ বছর ধরে অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীলতার চক্রে ফেলে রেখেছে। ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে অনেক খনি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যারা মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে সেগুলো বিক্রি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করে।</p> <p>পুরুসি জানান, মূল্যবান ধাতুর কিছু ডিলার রাজধানী কিনশাসার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখেন, যার ফলে এই সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারের অভিযান গোপনে পরিচালনা করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা অভিযান চালান এবং রুয়ান্ডা সীমান্তের কাছে ওয়ালুঙ্গু এলাকায় গাড়িটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করার পর সোনা ও অর্থ পাওয়া যায়। তবে ঠিক কী পরিমাণ সোনা উদ্ধার করা হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি।</p> <p>এদিকে গত মাসে গভর্নর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি বিস্মিত হয়েছেন, যখন অবৈধ সোনার খনির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ১৭ জন চীনা নাগরিককে মুক্তি দিয়ে চীনে ফেরত পাঠানো হয়। এ পদক্ষেপ দেশের খনিজ খাতের অনিয়ম দূর করার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।</p> <p>বার্তা সংস্থা রয়টার্স গভর্নরের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, চীনা দলটি সরকারের কাছে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কর ও জরিমানা বাকি রেখেছিল। চীনা দূতাবাস অবশ্য এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।  </p> <p>এ ছাড়া এই গ্রেপ্তারের ঘটনা এমন সময়ে ঘটল, যখন পার্শ্ববর্তী উত্তর কিভু প্রদেশে সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়েছে এবং রুয়ান্ডা সমর্থিত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সেখানে বিশাল এলাকাজুড়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>