<p>বন্যায় রাজধানী রিয়াদ, পবিত্র মক্কা ও মদিনাসহ বিভিন্ন অঞ্চল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, সোমবার জেদ্দা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকাসহ মক্কা ও মদিনা অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে পদদলিত হয়ে মৃত কমপক্ষে ৬" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/09/1736401743-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে পদদলিত হয়ে মৃত কমপক্ষে ৬</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/01/09/1466815" target="_blank"> </a></div> </div> <p>দেশটির পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বদর প্রদেশের আল-শাফিয়ায় সর্বোচ্চ ৪৯.২ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, এরপর জেদ্দার আল-বাসাতিনে ৩৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে মদিনার মসজিদে নববীর কেন্দ্রীয় হারাম এলাকায়, যেখানে ৩৬.১ মিমি  বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া কুবা মসজিদের কাছে ২৮.৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।</p> <p>এদিকে এনসিএম জানিয়েছে, সৌদির পূর্বাঞ্চলও ব্যাপক বন্যায় ডুবে গেছে। এ ছাড়া রাজধানী রিয়াদসহ মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির ও জাজান প্রদেশে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনগণকে বন্যার ঝুঁকি এড়াতে সরকার নির্দেশিত সব নিরাপত্তা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>সৌদি আরবের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারকাজের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে জনগণকে নিচু এলাকা ও বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বন্যার ভয়াবহতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বন্যার পানির তীব্র স্রোতে গাড়ি ভেসে যাচ্ছে। পাশাপাশি অনেক ভবনের নিচতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।</p> <p>এনসিএমের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি এখনও থামেনি। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। </p> <p>সূত্র : গালফ নিউজ </p>