ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রমজানের প্রস্তুতি গাজাবাসীর

  • আল-আকসায় বিধি-নিষেধ আরোপ ইসরায়েলের
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রমজানের প্রস্তুতি গাজাবাসীর
রমজান উপলক্ষে গতকাল গাজা সিটির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রঙিন কাগজে সাজান এক ফিলিস্তিনি। চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্র : এএফপি

ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর আগ্রাসনে ক্ষতবিক্ষত গাজা উপত্যকায় বেঁচে থাকার সংগ্রাম করে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, অবকাঠামো। এর মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। গাজাবাসী এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রমজানের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চলছে। যুদ্ধবিরতি চললেও গাজাবাসীর দুর্ভোগ কমেনি।  ইসরায়েলের হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পরও গাজার বাসিন্দারা তাদের বিশ্বাস ও ধৈর্য দিয়ে আবারও নিজেদের সম্প্রদায়কে গড়ে তুলতে চাইছে। বহু পরিবার পবিত্র রমজান মাসের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বহু মানুষ ইসরায়েলের  হামলায় বাড়িঘর, অর্থকড়ি হারিয়ে সর্বস্বান্ত। তাই আগের মতো তারা বাড়িঘর সাজাতে বা খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনতে পারছে না। গাজার এক লণ্ঠনের দোকানদার বলেন, আগে রমজানে বেচাকেনা বেশ জমে ওঠত। এখন অবস্থা আর আগের মতো নেই।
মানুষের জীবন তছনছ হয়ে গেছে। বাজারে লোকজনের আনাগোনা খুব কম। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে তখন থেকে চলা ওই যুদ্ধে ৪৮ হাজার ৩৬৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৭৮০ জন।

এদিকে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ  প্রাঙ্গণে রমজান উপলক্ষে বিধি-নিষেধ আরোপ করবে ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সরকারের এক মুখপাত্র এ কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে বিধি-নিষেধের আওতায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা বিশদ বলেননি তিনি। গত বছর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ৫৫ বছরের নিচে কোনো ফিলিস্তিনি পুরুষ এবং ৫০ বছরের নিচে কোনো নারীকে  মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়নি। এ ছাড়া জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে হাজারো ইসরায়েলি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

অন্যদিকে অবিলম্বে গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে হামাস। গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের বিষয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দর-কষাকষি শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মিসরের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় আজ শনিবার শেষ হতে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দেয় ইসরায়েল। বিনিময়ে হামাস চার জিম্মির দেহাবশেষ ইসরায়েলকে হস্তান্তর করার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কায়রোতে আলোচকদের পাঠান।

গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সব শর্তাবলি হামাস পূর্ণভাবে মেনে চলবে বলে  আবারও নিশ্চিত করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। এবার ইসরায়েল যেন চুক্তি অনুযায়ী তাদের ভূমিকা বাস্তবায়নের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয় এবং কোনো রকম দেরি বা দ্বিধা ছাড়া অবিলম্বে  যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ, সে জন্য দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানায় হামাস।  সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যুক্তরাষ্ট্রে ঝড়ে ১৬ মৃত্যু বন্যার শঙ্কা

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রে ঝড়ে ১৬ মৃত্যু বন্যার শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে মারাত্মক ঝড়ে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা আগামী দিনগুলোতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। গত শুকবার থেকে অঞ্চলটিতে বেশ কয়েকটি টর্নেডো হয়েছে। আরকানসাস থেকে ওহাইও পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় ঝড়ের ফলে বহু ভবন-স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টেনেসি। অঙ্গরাজ্যটির কর্তৃপক্ষ গত শনিবার জানিয়েছে, অঙ্গরাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে ১০ জন মারা গেছে। এ ছাড়া কেনটাকিতে বন্যায় এক শিশুসহ দুজন প্রাণ হারিয়েছে বলে অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানিয়েছেন। শিশুটি বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ঝড়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে। ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়ে গাড়ি উল্টে যেতে দেখা গেছে।
সূত্র : এএফপি

 

মন্তব্য

ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাশিয়ার

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাশিয়ার

ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল রবিবার বলেছেন, রাতভর চালানো এসব হামলায় অন্তত দুজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে। জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাশিয়ার বিমান হামলার সংখ্যা বাড়ছে। এটি প্রমাণ করে যে রাশিয়ার ওপর চাপ এখনো অপর্যাপ্ত।

এদিকে সীমান্ত পার হয়ে বিরল অভিযান চালিয়ে গতকাল ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। এ ছাড়া কিয়েভের উপকণ্ঠে কৌশলগত হোস্টোমেল বিমানবন্দর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে পশ্চিম দিক থেকে কিয়েভকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি রুশ বাহিনীর। অন্যদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে।
শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো গতকাল এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বিস্ফোরণের পর কিয়েভের দুটি জেলায় প্যারামেডিকদের পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
টেলিগ্রামে এক বার্তায় ক্লিটসকো সবাইকে নিরাপদে থাকার আহবান জানিয়ে বলেছেন, রাজধানীতে রুশ হামলা চলছে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকুন। সূত্র : এএফপি

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

সিসি ও ম্যাখোঁর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন জর্দানের রাজা

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
সিসি ও ম্যাখোঁর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন জর্দানের রাজা

মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেহ আল-সিসি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে আজ সোমবার কায়রোতে একটি বৈঠকে যোগ দেবেন জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। জর্দানের সংবাদ সংস্থা পেত্রার বরাত দিয়ে গতকাল রবিবার খবর জানিয়েছে আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আল-সিসির আমন্ত্রণে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দক্ষিণ গাজার ভেতরে নতুন করে একটি নিরাপত্তা করিডর তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে তারা দক্ষিণের রাফাহ শহরকে বাকি গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে মোরাগ করিডর স্থাপন করেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী, করিডরটি গাজার পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ গত বুধবার নতুন এই করিডরের ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, এটি রাফাহ শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। সূত্র : আলজাজিরা

মন্তব্য

ওয়াক্ফ আইনের বিরুদ্ধে আরো মামলা, বিক্ষোভ

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
ওয়াক্ফ আইনের বিরুদ্ধে আরো মামলা, বিক্ষোভ

ভারতে ওয়াক্ফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আরো মামলা হয়েছে। সারা কেরালা জামিয়াতুল উলেমা নামের একটি মুসলিম সংগঠন নতুন মামলাটি করেছে। সেই সঙ্গে এই আইনের বিরোধিতা করে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছেই।

গত শনিবার ওয়াক্ফ বিলে সম্মতি দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মু।

এর ফলে বিলটি এবার আইনে পরিণত হয়েছে। যদিও আইনটি এখনো কার্যকর করেনি ভারত সরকার। ওয়াক্ফ আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। দলটি বলছে, নতুন আইন ওয়াক্ফ সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে চলেছে।
তাই সদ্য বিল থেকে আইনে পরিণত হওয়া ওয়াক্ফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে তারা। এর আগে কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে।

ওয়াক্ফ আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করছে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়। ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রণয়ন অন্যায় দাবি করে এই আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে ভারতের জামিয়ত উলেমায়ে হিন্দ সংগঠনের একটি বড় অংশ।

গতকাল রবিবার পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার শাখার মগরাহাট স্টেশনে রেল অবরোধ করেন সংগঠনের সদস্যরা। স্টেশনসংলগ্ন রাস্তাও অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে নেমেও বিক্ষোভ দেখান। মুসলিম নেতা ও বিরোধীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ওয়াক্ফ সংশোধনী বিলটি পাস হয়। গত বুধবার গভীর রাতে সরকার ও বিরোধী পক্ষের দীর্ঘ বিতর্কের পরে লোকসভায় ৫৬ ভোটের ব্যবধানে পাস হয়েছিল ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল।
এর পক্ষে পড়েছিল ২৮৮টি ভোট। বিপক্ষে পড়েছিল ২৩২ ভোট। এর পরে ১২৮-৯৫ ভোটে রাজ্যসভায় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাস হয়েছিল এই সংশোধনী বিল। লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হওয়া বিল অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি ভবনে। গত শনিবার রাতে তাতে সই করলেন রাষ্ট্রপতি। সেই সিলমোহর পাওয়ায় ওই বিল পরিণত হলো আইনে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ