ভারতে পার্লামেন্টে পাস হওয়া সংশোধিত ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। এই বিলের বিরোধিতা করে গতকাল শনিবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানতুল্লাহ খান। এ ছাড়া অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা ও সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি এবং বিহারের কিষাণগঞ্জের সাংসদ মুহাম্মদ জাওয়েদও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আমানতুল্লাহ দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার যে ওয়াকফ বিল পাস করিয়েছে, তাতে মুসলিমদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অধিকার খর্ব হয়েছে।
তিনি বলেন, এই বিল নির্বিচারে ওয়াকফর ওপর হস্তক্ষেপ করে। তিনি আরো বলেন, ‘এই বিলের ফলে সংখ্যালঘুরা তাদের ধর্মীয় এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকার হারাচ্ছে। বিহারের কিষাণগঞ্জের সাংসদ জাওয়েদ মামলার আবেদনে অভিযোগ করেছেন, এই বিল সাংবিধানিক অধিকার ভঙ্গ করছে। বিলে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জাওয়েদ। এ ছাড়া এই বিলে সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল এবং স্টেট ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাখার বিরোধিতা করেন তিনি।
মুসলিম নেতা ও বিরোধী দলগুলোর প্রবল আপত্তির মুখে ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই সংশোধিত ওয়াকফ বিল পাস হয়েছে। এবার তা পাঠানো হবে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। তিনি সই করলেই আইনে পরিণত হবে ওই বিল।
বিজেপির দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে প্রান্তিক মুসলিম সমাজ উপকৃত হবেন। মুসলিম নেতা ও বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই বিল পুরোপুরি অসাংবিধানিক। এটা আসলে পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের ওপর আক্রমণ। ওয়াকফ বিল পাসের প্রতিবাদে গত শুক্রবার কলকাতাসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছে মুসলিম সম্প্রদায়। এদিকে ওয়াকফ বিলকে সমর্থন করে বিপাকে পড়েছে বিহারের নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)।
মোদি সরকারের ‘মুসলিম বিরোধী’ এই পদক্ষেপকে সমর্থন করার জেরে ক্ষুব্ধ জেডিইউর নেতারা। গত দুই দিনে দলটি থেকে পদত্যাগ করেছেন পাঁচ নেতা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, সংবাদ প্রতিদিন, এনডিটিভি