<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুধু বাংলাদেশ নয়, যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে দেশটির শিল্পের উন্নয়নের ওপর। দেশের শিল্প উন্নত ও আধুনিক না হলে যেকোনো দেশই অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের জন্যও এই সত্যটি প্রযোজ্য। কারণ বাংলাদেশের শিল্প এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানী ঢাকা ও আশপাশে গ্যাসসংকট দেখা দিয়েছে। অনেক সময়ই পাইপলাইনে পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ থাকে না। গ্যাসের অভাবে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লোকসান গুনছে। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস মিলছে না শিল্প-কারখানায়। বেশ কিছুদিন ধরে চলা এই সংকটে কমে গেছে শিল্প-কারখানার উৎপাদন। সিরামিক, ইস্পাত ও টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত কয়েক মাসে কয়েক শ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। রপ্তানি আয় কমেছে। বিনিয়োগ থমকে আছে। কর্মসংস্থান বাড়ছে না। উদ্যোক্তাদের আশঙ্কা, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা না গেলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমার পাশাপাশি রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। গ্যাসসংকটের কারণে এর মধ্যে অনেক কারখানা গ্যাসের বিকল্প হিসেবে ব্যয়বহুল তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও কয়লা ব্যবহার করছে। এতে তাদের উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন ডিভিশন) কালের কণ্ঠকে বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ এলাকায় বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক দুই হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তারা সরবরাহ দিতে পারছেন মাত্র দৈনিক এক হাজার ৫৫০ থেকে এক হাজার ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চাহিদার তুলনায় সরবরাহের বড় ঘাটতির কারণে গ্যাসসংকট দেখা দিচ্ছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড বলছে, তাদের এই ঘাটতির কথা প্রায়ই মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার বৈঠকে ওঠানো হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বিভিন্ন শিল্প-কারখানার কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গ্যাসসংকটে সাভার-আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কারখানাগুলোতে আগে ঘণ্টায় যে উৎপাদন হতো, এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে সময়মতো পণ্য শিপমেন্টও করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট সমাধানের পথ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেছেন, জ্বালানি সংকটে সিরামিক কারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। পোশাক খাতে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ উৎপাদন কমেছে। স্টিল কারখানায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। গ্যাসের বিকল্প হিসেবে ডিজেল ব্যবহার এবং শ্রমিকদের বাড়তি কাজের জন্য খরচ বেড়ে গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংকট কাটিয়ে গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দেরি না করে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে গ্যাস সরবরাহ।</span></span></span></span></p>