<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চাপে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বুলডোজার চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৬৭ পণ্য ও সেবার বিপরীতে বেড়েছে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক। এতে স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে এসব পণ্য ও সেবার দাম। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি রোগীর পথ্য ফলও। খেজুর ছাড়া সব ধরনের আমদানি করা ফলের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে আসন্ন মার্চে রমজানে ভোগান্তিতে পড়বে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ সূত্রে জানা গেছে, খেজুর ছাড়া প্রায় সব ধরনের ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ফলের জুস আমদানিতেও সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ফলে আপেল, কমলা ও আঙুরের মতো ফল আসন্ন রোজায় নিম্নবিত্ত তো বটেই, মধ্যবিত্তের পাতে না-ও উঠতে পারে। কারণ আপেল-আঙুরের কেজি এমনিতেই ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে রোজার আগেই আরো দাম বাড়বে, এতে এসব ফল </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বড়লোকের</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> খাবারে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। যদিও রাজস্ব ঘাটতি পূরণ ও আইএমএফের চাপের কারণেই অপ্রত্যাশিত শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমদানি করা ফলকে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উচ্চবিত্তের খাবার</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাধারণত ফলের আমদানি শুল্ক বিলাসী পণ্যের মতোই অনেক বেশি। আমরা এনবিআরকে শুল্ক কমানোর কথা বলেছিলাম। এখন তারা উল্টো আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সামনে রোজার মাসে দেশি ফল বলতে বাজারে থাকবে বরই ও তরমুজ। সাধারণ মানুষ এই কর বৃদ্ধির ফলে আর ফল কিনতে পারবে না। ফল এখন শুধুই উচ্চবিত্তের খাবারে পরিণত হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় সাধারণ মানুষের ওপর আরো চাপ বাড়বে। কিন্তু রাজস্ব আদায় বাড়াতে এবং আইএমএফের চাপে এর কোনো বিকল্প ছিল না। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইএমএফের ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল, কর ছাড় কমিয়ে দিয়ে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p>