<p>ক্ষমতায় বসার আগেই একটি শুল্ক যুদ্ধের সংকেত দিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ২০ জানুয়ারিতে। ফলে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক যুদ্ধ মোকাবেলা করতে দেশগুলো আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পণ্যে শুল্ক আরোপের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে যেসব দেশ, তারা বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে। তাকে ঘিরে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে।</p> <p><img alt="ট্রাম্পের ‘শুল্ক’ হুমকি সামনে রেখেই অর্থনীতি সাজাচ্ছে অনেক দেশ" height="98" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/19-12-2024/Rif/23-12-2024-p5-10.jpg" style="float:left" width="350" />এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও ট্রাম্পের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে জেঁকে বসা মূল্যস্ফীতি কমাতে ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তারা সুদের হার হ্রাসের যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিলেন, সেখান থেকে তাঁরা যে খানিকটা পিছিয়ে এসেছেন শুধু তা-ই নয়, বরং তাঁরা আরো এক ধাপ এগিয়ে এখন চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভালো দিক হলো মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন যে প্রত্যাশার তুলনায় আগামী বছরে প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। তবে তাঁরা এও মনে করছেন যে পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিও বাড়বে। ফলে সুদের হার আরো কমানোর ব্যাপারে ‘সতর্ক’ থাকতে বলেছেন জেরোম পাওয়েল। তবে সে কারণে আবার শেয়ারের দাম কমতে শুরু করেছে।</p> <p>জেরোম পাওয়েল একই সঙ্গে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে বাজারের দিকে নজর রাখতে বলেছেন। ফলে ২০২৫ সালে ফেড মাত্র একবারই সুদের হার কমাবে বলে মনে করা হচ্ছে।</p> <p>এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাপান গত বৃহস্পতিবার তার অতি নিম্ন নীতি সুদহার বহাল রেখেছে। ব্যাংক অব জাপান এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নীতির কথাই চিন্তা করেছে। মনে করা হচ্ছে, জাপানের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির ওপর ট্রাম্পের নীতি একটি হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাপানের অর্থনীতি ও মূল্য পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে।’</p> <p>গত সপ্তাহে জাপানি ব্যবসায়ীদের ওপর করা রয়টার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করছেন যে ট্রাম্পের নীতিমালা তাঁদের ব্যবসা কর্মকাণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রাখবে। ব্যাংক অব জাপান সম্ভবত এই বিষয়টি আমলে নিয়েছে। উন্নত বিশ্বে জাপানই একমাত্র দেশ, যারা এখনো সংকোচনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে।</p> <p>সর্বশেষ মার্কিন ফেড সুদের হার কমিয়েছে। তার আগে সুদের হার কমিয়েছিল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক অব কানাডা। এই দুই কেন্দ্রীয় ব্যাংকই ২০২৫ সালে কয়েক দফা সুদের হার কমাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কারণ ইউরোপ ও কানাডায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েছে।</p> <p>তবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড আবার সুদের হার কমাবেন কি না তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না। তবে তিনি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার ঝুঁকির বিষয়ে জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে ট্রাম্পের আমলে বাণিজ্য নিয়ে যে টানাপড়েন হবে, তা নিয়ে তিনি বেশি উদ্বিগ্ন।</p>