<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে একটি টেকসই ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে স্বাধীন শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১২ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে কাউন্সিল ফর দ্য রাইটস অব একাডেমিয়া। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে একটি সুদৃঢ় ও সমন্বিত কাঠামো তৈরিতে সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে একাডেমিক অধিকার লঙ্ঘন : প্রতিকারে নীতি সুপারিশ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক আলোচনা সভায় ওই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। কাউন্সিল ফর দ্য রাইটস অব একাডেমিয়ার সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মুশতাক খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন, উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মাহবুব আলম, এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিম, আয়োজক সংগঠনের মূখপাত্র প্লাবন তারিক প্রমুখ। ধারণাপত্র উত্থাপন করেন কাউন্সিল ফর দ্য রাইটস অব একাডেমিয়ার আহ্বায়ক বেলাল হোসেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সভায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকার অনেক কমিশন করলেও শিক্ষা সংস্কারের গবেষণা নিয়ে কথা বলছে না। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রথম কমিশন হওয়া উচিত শিক্ষা সংস্কার কমিশন। শিক্ষা কমিশন গঠন এখন সবচেয়ে জরুরি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাপক ড. মুশতাক খান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা সাংঘাতিক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মেধাবী। সস্তা শ্রমের অদক্ষ শ্রমিকের যুগ শেষ। এখন গবেষণার যুগ। আমাদের শিক্ষাঙ্গনে জবাবদিহিতা ও উত্কৃষ্ট মানের গবেষণা নিশ্চিত করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সভায় উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাবে বলা হয়, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞ নীতিনির্ধারক নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাধীন শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে, যা গবেষণা ও মূল্যয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। কমিশন শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা প্রণয়ন করবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংস্কার প্রস্তাবে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয় চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধ, সৃজনশীলতা, গঠনমূলক চিন্তা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে একটি শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা ও আচরণ মূল্যায়নের পর জোর দিতে হবে। শুধু পরীক্ষানির্ভর না হয়ে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক পদ্ধতির মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষা বাজেটকে জিডিপির ৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে, যা গবেষণা, কাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির জন্য ব্যবহার করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রস্তাবে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নতুন জ্ঞান উৎপাদন, গবেষণামুখী ও উদ্ভাবন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তরিক উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং মেধাবীদের প্রাধান্য নিশ্চিত করতে একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র শিক্ষা নিয়োগ কমিশন (এডুকেশন-সার্ভিস কমিশন) গঠন করতে হবে, যা বিভিন্ন স্তরের নিয়োগ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> পরীক্ষা, মূল্যায়ন, নিয়োগ, পদায়ন ও পদন্নোতি পরিচালনার নীতিমালা প্রণয়ন ও পরিচালনা করবে। এর অধীনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র পে স্কেল ঘোষণা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধসংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩ বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। মৌখিক, শারীরিক, সামাজিক, সাইবার ও যৌনসংক্রান্ত বুলিং ও র‌্যাগিং বন্ধে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>