<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত। আগামী ১৫ জানুয়ারি কমিশনের সুপারিশসংক্রান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে কর্মযজ্ঞ চলছে। সুপারিশে বহুল আলোচিত সংবিধান পুনর্লিখন প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো সুপারিশ থাকছে না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে কমিশন মনে করছে। কমিশনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সংস্কার প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টির বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রস্তাব করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ নিয়েও নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এমনকি প্রার্থীদের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২১ বছর করা হতে পারে। সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টিতে উন্নীত করে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ আসতে পারে। এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালুসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের ভাবনায় রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রকাঠামোয় ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন এই কমিশন গত ৬ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করে এবং পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। সংস্কার কমিশন এরই মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান ছাড়াও ১২০টি দেশের সংবিধান পর্যবেক্ষণ করে আমাদের সংবিধানের দুর্বল ও সবল দিকগুলো খুঁজে বের করেছে। সংবিধান পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামতের আলোকে এরই মধ্যে সুপারিশ লেখার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসংক্রান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্কার কমিশন প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু, একজন ব্যক্তিকে দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না রাখা, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন ও আসনসংখ্যা বাড়ানো, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২১ বছর নির্ধারণ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, উপপ্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি পদ সৃষ্টি, গণভোটের বিধান রাখা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত। এ বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, অংশীজনদের কাছ থেকে সংগৃহীত মত এবং কমিশনের সব সদস্যের মত একত্র করে সুপারিশ তৈরি করা হচ্ছে। জনমতকে প্রাধান্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সুপারিশমালায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের মতামতসহ তা সুপারিশ আকারে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে সুপারিশ চূড়ান্ত ও সুপারিশ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করা হবে। সংবিধান পুনর্লিখনের বিষয়টিও তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়।</span></span></span></span></span></p>