জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে কিংবা ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেকবার কথা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা, অন্য উপদেষ্টারাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের অনেকেই এটা নিয়ে কথা বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা আগে দুটি তারিখ বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘একটা ইস্যু হচ্ছে যে এপ্রিল মাস থেকে কালবৈশাখী ও ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। জুন মাসে আবার বর্ষাকাল শুরু হয়ে যায়। ফলে ওই তিন মাস আসলে ইলেকশনের (নির্বাচন) জন্য ততটা উপযোগী নয়। সে জন্য আমাদের ধারণা, ইলেকশন হয় ডিসেম্বরের মধ্যে হবে, নতুবা সর্বোচ্চ মার্চের মধ্যে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনসহ অন্যান্য বিষয়ে নাহিদ ইসলামের ইচ্ছায় হবে। এ বিষয়ে সরকার কোনো মন্তব্য করতে চায় না।
প্রেস সচিব বলেন, সরকারি সব অফিসে ই-ফাইলিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এখন থেকে সরাসরি ফাইল না দিতে বলা হয়েছে। দ্রুত ই-ফাইলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সব প্রকল্পে তৃতীয় পক্ষের লোকজন দিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রতিবাদ করার অধিকার সব পার্টির রয়েছে।
আমরা চাই যে এই প্রতিবাদটা যেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়, যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়।’