অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতির পরও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রায় ১৪ হাজার মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার। আরইবি সরকারের কথা না রাখায় বড় ধরনের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বঞ্চিতদের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে পল্লী বিদ্যুৎ খাতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সব প্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক জনবলকে নিয়মিত করার ঘোষণা দেন। এরই মধ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থায় অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক জনবলকে নিয়মিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকি বেশির ভাগ মন্ত্রণালয়ে তা কার্যকরও হয়েছে।
আরইবি ও পবিস সূত্রে জানা যায়, আরইবিতে (পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড) বিভিন্ন সময়ে সাবেক একজন ইডি ও বর্তমান পরিচালকসহ তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত করা হয়েছে।
নিয়মিত করা এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রকল্পের জন্য অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে আরইবিতে কর্মরত অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করার প্রক্রিয়া চলছে। অথচ পবিসের ৩৬ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক কর্মরত মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জারদের নিয়মিত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার মো. আল-আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একই অফিসে বৈষম্য থাকতে পারে না।
এরই মধ্যে অনেক লাইনম্যান ও বিলিং সহকারীর চাকরি স্থায়ী হয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের চাকরিও স্থায়ী করেন।’
ঢাকা অঞ্চলের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিনি ২০ বছর ধরে মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার হিসেবে কর্মরত হলেও তাঁকে নিয়মিত করা হয়নি। শুধু তিনি নন, ৩৬ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক কাজ করার পরও এই পদের জনবল নিয়মিত করা হয়নি। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শুরু থেকে ৪৭ বছর ধরেই সাংগঠনিক কাঠামোতে মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার পদটি রয়েছে।