<p>চন্দিকা হাতুরাসিংহেকে বিদায় করার পর আপৎকালীন কোচ ফিল সিমন্সের মেয়াদ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। এরপর দীর্ঘ মেয়াদের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়ার ভাবনায় জাতীয় দলের সম্ভাব্য হেড কোচের যোগ্যতার বাইরেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আরেকটি বিষয়কে। সেটি কী? স্থানীয় কোচদের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব। </p> <p>একটা সময় নিজেদের কোচ দিয়েই চালিয়ে নেওয়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যেটিকে ভীষণ জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ, ‘কোচের দিক থেকে আমরা ভবিষ্যতে ভারতের মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। সে জন্য বিদেশি হেড কোচের অধীনে রেখে স্থানীয়দের তৈরি করার প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। তবে তাঁদের তৈরি হওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করাও জরুরি। এ ক্ষেত্রে হেড কোচ সহযোগী না হলে সমস্যা। সুতরাং এমন কাউকে আমরা দীর্ঘ মেয়াদে নিয়োগ দিতে চাই, যিনি স্থানীয় কোচদের পাশে থাকবেন।’</p> <p>এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের সঙ্গে দেশি কোচ আছেন একজনই। তিনি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলে যোগ দেওয়ায় স্পিন বোলিং কোচের পদও শূন্য আছে। অচিরেই সেই জায়গায় স্থানীয় সোহেল ইসলামকে নিয়ে আসার আলোচনা আছে। স্থানীয়দের সঙ্গে ‘মিলেমিশে’ কাজ করার মানসিকতার জানান দিয়ে আপৎকালীন থেকে দীর্ঘকালীন কোচ হওয়ার দৌড়ে সিমন্স আছেন বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। ফারুকের বক্তব্য মনে করাচ্ছে সে রকমই, ‘সিমন্সের যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এর সঙ্গে আমরা যা চাচ্ছি, সেটি পূরণের মানসিকতাও তাঁর আছে। এই দেশের কোচদের সঙ্গে কাজ করতে খুবই উৎসাহী তিনি।’ ফারুক অবশ্য এর সঙ্গে একটি ফুটনোট জুড়ে দিয়েছেন, ‘তার মানে এই নয় যে দীর্ঘ মেয়াদে কাউকে নিলে আমরা সিমন্সকেই নেব। আরো দুই-একজন কোচও আমাদের বিবেচনায় আছেন। তাঁদের সঙ্গেও আমরা কথা বলছি।’</p> <p>সেই দুই-একজনের একজন দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের সাবেক হেড কোচ মিকি আর্থার। সম্প্রতি গায়ানায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ জেতা বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্সের এই কোচের প্রতি আগ্রহের কথা অস্বীকার করেননি ফারুক, ‘আর্থারও যথেষ্ট যোগ্য একজন কোচ। তাঁর প্রফাইল আকৃষ্ট করার মতোই। তবে আমাদের হাতে এখনো যথেষ্ট সময় আছে। আরো দুই মাসের মতো। এই সময়ের মধ্যেই দীর্ঘ মেয়াদে হেড কোচ নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারব বলে আশা করছি।’</p> <p> </p>