<p>বিপিএলে তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে এমন কীর্তি গড়ার দিন মুগ্ধ হয়েছেন লিটন দাসের সেঞ্চুরি দেখে। এতটাই মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন যে তানজিদ তামিম জানিয়েছেন, লিটনের ব্যাটিংয়ের বড় ভক্ত তিনি।</p> <p>নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে সতীর্থ লিটনের এমন উপভোগ্য এক ইনিংস দেখে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবছেন তানজিদ তামিম। ৫৫ বলে ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজাতে চোখ জুড়ানো শট খেলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার সেই ইনিংস নিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ তামিম বলেছেন, ‘(নন স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে লিটনের সেঞ্চুরি দেখতে পেরে) আমি নিজে অনেক সৌভাগ্যবান। আমি উনার বড় একজন ভক্ত। উনার ব্যাটিং দেখাটাও একটা... অনেক উপভোগ করেছি। মানে কী বলব... শটগুলো সব চোখজুড়ানো।’</p> <p>ইনিংস দেখে প্রশান্তি পেলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে লিটনের সুযোগ না পাওয়ায় মন খারাপ তানজিদ তামিমের। এ নিয়ে তানজিদ তামিম বলেছেন, ‘ভালো না খেললে, (জাতীয় দল থেকে) বাদ পড়তে হবে। এটা সবাইকে মেনে নিতে হবে। (লিটন) দাদা যেমন ব্যাটসম্যান, আমরা সবাই জানি। আমি নিজেও অনেক বড় ভক্ত। এদিক থেকে তাই আমার মন খারাপ যে উনি দলে নেই। যেভাবে সবশেষ দুই ম্যাচ খেলেছেন, উনার আত্মবিশ্বাস অনেক ওপরে। আশা করি সামনের ম্যাচগুলো অনেক ভালো করবেন।’</p> <p>রাজশাহীর বিপক্ষে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ তামিম। ৬৪ বলের ইনিংসটি সাজান ৬ চার ও ৮ ছক্কায়। আগামীতে আরো এমন ইনিংস খেলতে ‘বড়’ তামিম ইকবালের কাছে সিএ ব্যাট চেয়েছেন ‘ছোট’ তামিম। ২৪ বছর বয়সী ব্যাটার বলেছেন, ‘‘অবশ্যই তামিম ভাইয়ের ব্যাটই বেশি (কমফর্টেবল)। সিএ থেকে সেরা ব্যাটগুলো তিনিই পান। সিএ ব্যাট নিয়েই কথা হচ্ছিল যে, ‘ভাই আমাকে যদি এরকম ব্যাট দেওয়া যায়। আপনি বলে দিলে হয়তো ওরা পাঠাবে।’ এরকম কথাই হচ্ছিল। উনিও বলেছেন যে, ঠিক আছে আমি বলে দেব। ওরা এরকম ব্যাট পাঠাবে।’’</p> <p>সাবেক ওপেনার তামিমের সঙ্গে কথা বললে আত্মবিশ্বাস বাড়ে জানিয়ে তানজিদ তামিম বলেছেন, ‘(ব্যাটের) এটা কী বলব! তেমন কোনো রহস্য নেই। তামিম ভাইয়ের সঙ্গে যখনই মাঠে একসঙ্গে থাকি, উনার সঙ্গে আমার কথা হয়। উনার সঙ্গে কথা বলতে আমার ভালো লাগে, খুব ভালো লাগে। আর উনার সঙ্গে কথা বললে আমার নিজের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ে। তো এটা আগে থেকেই। যখনই সামনাসামনি দেখা হয়, চেষ্টা করি উনার সঙ্গে কথা বলতে।’</p>