<p>দীর্ঘ ৯ বছর পর মতিঝিল ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর কর্মচারী রিয়াদ হোসেন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। </p> <p>বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. ইব্রাহীম মিয়ার আদালতে প্রথমবারের মতো তিন পুলিশ সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন।</p> <p>সাক্ষীরা হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক রহিদুল ইসলাম ও দুলাল চন্দ্র কুন্ডু এবং কনস্টেবল মো. দেলোয়ার হোসেন।</p> <p>মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর মতিঝিল ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁয় একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় রুটি তৈরির হেলপার রিয়াদ হোসেনকে সন্দেহ করে মালিক আরিফ হোসেন সোহেলের নির্দেশে বেঁধে রাখা হয়। অন্য হোটেলে কর্মরত রিয়াদের ভাই রিপন হোসেন ভাইয়ের সন্ধানে এসে জানতে পারেন, মালিক এ ঘটনার বিচার করবেন। মালিকের জন্য তিনি হোটেলটির সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোটেলের মালিক গ্রিল কারিগর জসিমের সহায়তায় রিয়াদকে স্বামীবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান। এরপর রেস্তোরাঁর অন্য কর্মচারী খবির মেসিয়ারসহ আরো অজ্ঞাতপরিচয় ৩ থেকে ৪ জনের সহায়তায় রিয়াদকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। রাত ১টার দিকে মুখের ভেতর আরিফ হোসেন সোহেল গুলি করেন। এরপর আসামিরা গুরুতর আহত রিয়াদকে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।</p> <p>এ ঘটনায় পরদিন ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর রিয়াদের ভাই রিপন হোসেন রাজধানীর ওয়ারী থানায় মতিঝিল ঘরোয়া হোটেলের মালিক আরিফ হোসেন সোহেলসহ তিনকে আসামি করে একটা হত্যা মামলা করেন। অন্য আসামিরা হলেন রেস্তোরাঁর গ্রিলের কারিগর মো. জসিম চৌকিদার ও খবির মেসিয়ার। এরপর ২০১৬ সালের ২২ জুলাই মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ওয়ারী থানা পুলিশের পরিদর্শক আলিম হোসেন শিকদার। সেখানে তিনজনকে আসামি করেন তিনি। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন আদালত।</p>