<p>টঙ্গীতে আওয়ামী লীগ নেতার কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পাগার সোসাইটি মাঠ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।</p> <p>আহতরা হলেন মিলন, মনোয়ার, জাফর, নুর নবী হায়দার ও পথচারী রফিক।</p> <p>স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ উইন্ডি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই ঝুট ব্যবসা করতেন। তিনি এখন ১৮ মামলায় গ্রেপ্তার। এখন সাত দিনের রিমান্ডে আছেন তিনি। এই অবস্থায় ওই কারখানার ঝুট মাল ডেলিভারিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সদস্যসচিব নাজমুল মণ্ডলের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন। এ সময় এক রাউন্ড গুলি ও তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।</p> <p>নাজমুল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির কর্মী হিসেবে আমার এলাকার লোকজন প্রতিষ্ঠানের বর্জিত মাল কিনতে গেলে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ছুরি ও চাপাতি নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। তাদের সঙ্গে কিছু বিএনপি কর্মীও অংশ নেন। এতে আমাদের চারজন কর্মী ও একজন পথচারী আহত হন।’</p> <p>হাসানের পিএস জনি গ্রুপের জনি কিবরিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার নামে ব্যাবসায়িক চুক্তি হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কারখানার সঙ্গে কথা বলেছেন হাসান। আমি তৃতীয় পক্ষের নিকট মাল বিক্রি করি। তারা মাল নিয়ে যেতে নাজমুলের নেতৃত্বে বেশ কিছু লোক হামলা করে।’</p> <p>এক প্রশ্নের জবাবে কারখানার মালামালের চুক্তিনামা জনি কিবরিয়া হোয়াটসআ্যপে দিলেও সেখানে কার নামে চুক্তিনামা তা স্পষ্ট দেখা যায়নি। তবে তাদের ওপর হামলার ঘটনায় নাজমুলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা কিরণের লোকজন ছিল বলে জানান জনি। </p> <p>প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র সংঘর্ষের সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা দুই পক্ষই স্বীকার করে পরস্পরকে দায়ী করে।</p> <p>উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কিরণ এখানে ব্যবসা করতেন। এখন হাসানের নামে কারখানার বর্জিত মালের চুক্তি হওয়ায় তারা মাল নিয়ে গেছেন। বাইরে কী হয়েছে, আমি জানি না।’</p> <p>টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ঝুট নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাইনি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।</p>