মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আমি নুহ (আ.)-কে তাঁর জাতির কাছে পাঠিয়েছি। তিনি বলেছেন, হে আমার জাতি, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কোরো। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না? তখন তাঁর জাতির মধ্যে যারা অবিশ্বাসী ছিল তারা বলল, এ ব্যক্তি তো তোমাদের মতোই একজন মানুষ।
কোরআনের বাণী
একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার আহ্বান
ইসলামী জীবন ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

ভাঁড়ামির মাধ্যমে শিশুদের ইসলামী শিক্ষা দিচ্ছেন তিনি
ইউএনবি

রঙিন পোশাক, লাল নাক ও মাথায় পাগড়ি পরে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভাঁড়ামির অভিনয় করেন ইয়াহইয়া হেন্দ্রোয়ান। শিশু-কিশোরদের বিনোদন দেওয়ার ফাঁকে ইসলামের বিধিবিধান ও মূল্যবোধ শিক্ষা দেন তিনি।
অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন সময় জন্মদিনের পার্টিতে কাজ করতেন ইয়াহইয়া। সেখানে অভিনয় করে মানুষকে মুগ্ধ করতেন।
আরবি ভাষার কিংবদন্তি কবি আবু নুয়াস বিখ্যাত ছিলেন বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা, রসিকতা ও চমৎকার শব্দচয়নের জন্য। সমসাময়িক আরবি কাব্যের সব ধারার ওপর দক্ষ ছিলেন তিনি। লোককথায়ও আবু নুয়াসের উপস্থিতি রয়েছে।
কবি আবু নুয়াসের মতো করেই রসিকতা ও প্রজ্ঞার সংমিশ্রণে ধর্মীয় শিক্ষায়তনে ভাঁড়ামির অভিয়ন করতে উৎসাহিত হন ইয়াহইয়া। বর্তমানে তাকে সবাই ইয়াহইয়া বাদুত বা ইয়াহইয়া ক্লাউন (ভাঁড়) নামে ডাকেন। এমন একটি স্বপ্নই তিনি বহুবছর ধরে লালন করছিলেন।
পাশাপাশি আরো কিছু সমমনা ক্লাউন নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দ্য শরিয়া ক্লাউন ফাউন্ডেশন। নির্মল বিনোদনের সাথে ধর্মীয় শিক্ষা দিতেই তারা কাজ করছেন।
শিশুদের আনন্দ দিতে বিভিন্ন মজার গানও পরিবেশন করেন তারা। ইয়াহইয়া বলেন, ‘হাদিসে আছে, কেউ তার ভাইয়ের সামনে মুচকি হাসি দিয়ে কথা বললে তা সদকাস্বরূপ। কাজেই অবশ্যই মুচকি হাসিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানাতে হবে।
মজা ও আনন্দ নিয়ে পড়ালে শিশুরা সহজেই তা আয়ত্ত করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
প্রাচীনকাল থেকেই সামাজিক-ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক ভূমিকা রেখে আসছেন ক্লাউনরা। খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০ অব্দে মিসরের পঞ্চম রাজবংশের সময় সবচেয়ে প্রাচীন ভাঁড়ামির সন্ধান পাওয়া যায়।
আধুনিককালে সেটা সার্কাস ক্লাউন হয়ে গেছে। ১৭৬৮ সালে লন্ডন রাইডিং স্কুলে সার্কাস শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ফিলিপ অ্যাস্টলে নামের এক ব্যক্তি।

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত
ইসলামী জীবন ডেস্ক

ঈদের সময় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া মুসলিম সমাজের বিশেষ সংস্কৃতি। সারা বছর যাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয় না ঈদের সময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং তারা পরস্পরের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এর মাধ্যমে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা পায় এবং একে অন্যের দুঃখের অংশীদার হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মীয়-স্বজনের পারস্পরিক যাতায়াত প্রশংসনীয় কাজ।
পারস্পরিক সাক্ষাতের বিধান
আত্মীয়-স্বজনের পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাৎ সাধারণত মুস্তাহাব। চাই তারা সুখে থাকুক বা দুঃখে, সুস্থ থাকুক বা অসুস্থ। কেননা মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় কোনো অসুস্থ লোককে দেখতে যায় অথবা নিজের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে যায়, একজন ঘোষক (ফেরেশতা) তাকে ডেকে বলতে থাকেন, কল্যাণময় তোমার জীবন, কল্যাণময় তোমার এই পথ চলাও।
আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে কেন যাব?
মুমিন ব্যক্তি অন্যের বাড়িতে বেড়াতে যাবে আল্লাহর নির্দেশ আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অপর ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়, তার ব্যাপারে একজন ফেরেশতা আল্লাহর পক্ষ থেকে এই সুসংবাদ পৌঁছায় যে ‘আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসেন, যেমন তুমি তোমার ভাইকে তাঁরই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ভালোবেসেছ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৪৪৩)
সাক্ষাৎ যখন আবশ্যক
আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাক্ষাৎ সাধারণ সময়ে মুস্তাহাব।
১. মা-বাবার সাক্ষাৎ : মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা, নিয়মিত সাক্ষাৎ করা এবং তাদের খোঁজ-খবর রাখা সন্তানের দায়িত্ব। বিশেষত যখন মা-বাবা বার্ধক্যে উপনীত হন অথবা অক্ষম হয়ে পড়েন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন...মা-বাবার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদের ‘উফ’ বোলো না এবং তাদের ধমক দিয়ো না; তাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বোলো।
২. আত্মীয়তা ছিন্ন হওয়ার ভয় থাকলে : আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে, তা রক্ষার জন্য আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি যাওয়া আবশ্যক। মহানবী (সা.) বলেন, যখন আল্লাহ সৃষ্টি কাজ সমাধা করার জন্য আত্মীয়তার সম্পর্ককে বলেন, তুমি কি এতে খুশি নও যে তোমার সঙ্গে যে সুসম্পর্ক রাখবে, আমিও তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখব। আর যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করব। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৭)
৩. অসুস্থ হলে : অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেওয়া মুমিনের দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, হে আদম সন্তান, আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তুমি আমার সেবা-যত্ন করোনি। সে বলবে, হে আমার রব, আমি কিভাবে আপনার সেবা-যত্ন করব অথচ আপনি জগত্গুলোর প্রতিপালক? আল্লাহ বলবেন, তুমি কি জানতে না আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল। অথচ তুমি তার সেবা করোনি। তুমি কি জানো না, যদি তুমি তার সেবা করতে, তবে তার কাছেই আমাকে পেতে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৯)
৪. বিপদগ্রস্ত হলে বা মারা গেলে : কেউ বিপদগ্রস্ত হলে বা মারা গেলে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ব্যাপারে হাদিসে তাগিদ আছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার মুমিন ভাইকে তার বিপদে সান্ত্বনা দেবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাকে সম্মানের পোশাক পরাবেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬০১)
বিনা প্রয়োজনে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান নয়
কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলে, কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে বিনা প্রয়োজনে অবস্থান ও সাক্ষাৎ দীর্ঘ না করাই উত্তম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের আহবান করলে তোমরা (ঘরে) প্রবেশ কোরো এবং খাওয়া শেষে তোমরা চলে যেয়ো; তোমরা কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়ো না। কেননা তোমাদের এই আচরণ নবীকে পীড়া দেয়, সে তোমাদের উঠিয়ে দিতে সংকোচ বোধ করে। কিন্তু আল্লাহ সত্য বলতে সংকোচ বোধ করেন না।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৩)
পর্দার বিষয়ে সতর্ক থাকা
আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে অনেক সময় পর্দার বিধান লঙ্ঘন করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘সাবধান! নারীদের কাছে তোমরা প্রবেশ করা পরিত্যাগ কোরো। সে সময় আনসারিদের এক লোক বলল, দেবর সম্পর্কে আপনার কি মত? তিনি বললেন, দেবর তো মৃত্যুতুল্য।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৫৬৭)
উপহার নেওয়া কি আবশ্যক
কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলে উপহার নিয়ে যাওয়া উত্তম এবং মেজবানের জন্য সাধ্যানুযায়ী অতিথির যত্ন করা আবশ্যক। এই ক্ষেত্রে ইসলাম লৌকিকতাকে অপছন্দ করে। তাই অতিথি যেমন সাধ্যের চেয়ে বেশি খরচ করে উপহার কিনবে না, মেজবানও আপ্যায়নে সামর্থ্যের চেয়ে অর্থ খরচ করবে না; বরং উভয়ে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আন্তরিকতার পরিচয় দেবে।

যে আমলে পুরো বছর রোজা রাখার সওয়াব
ইসলামী জীবন ডেস্ক

পবিত্র রমজান মাস ছিল মুমিনের আমলের মৌসুম। এ মাসের আমলগুলো যেন পুরো বছর অব্যাহত থাকে সেটাই এ মাসের প্রধান শিক্ষা। এর মাধ্যমে রোজার সামর্থ্যের জন্য মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। কোরআনে রোজা রাখার নির্দেশের পরই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কথা এসেছে।
রবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম দিক হলো, আমল করা অব্যাহত রাখা। এর মধ্যে রমজানের পর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখা গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) এ রোজা রাখতেন এবং সাহাবাদের তা রাখার নির্দেশ দিতেন।
ছয় দিনের রোজায় পুরো বছরের সওয়াব
রমজান মাসে রোজা রাখার পর শাওয়াল মাসে আরো ছয়টি রোজা রাখলে পুরো বছর রোজার সওয়াব পাওয়া যায়। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ সব ভালো কাজের প্রতিদান ১০ গুণ করে দেন। তাই রমজান মাস ১০ মাসের সমতুল্য এবং পরবর্তী (শাওয়াল মাসের) ছয় রোজার মাধ্যমে এক বছর পূর্ণতা লাভ করে।
পুরো বছর সওয়াব হয় যেভাবে
মূলত রমজান মাসের রোজার পর অতিরিক্ত ছয় রোজা মিলে সাধারণত ৩৬টি রোজা হয়। আর তা ১০ গুণ করলে মোট ৩৬০টি হয়। কারণ মুমিনের যেকোনো আমলের সওয়াব ১০ গুণ করে দেওয়া হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ কোনো ভালো কাজ করলে সে তার ১০ গুণ পাবে। আর কেউ কোনো খারাপ কাজ করলে তাকে শুধু তার প্রতিফলই দেওয়া হবে; তাদের ওপর কোনো জুলুম করা হবে না।
রমজানের রোজার পরিপূরক
নফল আমলের মাধ্যমে ফরজের ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করা হয়। তেমনি শাওয়ালের রোজার মাধ্যমে রমজানের রোজার ত্রুটিগুলো পূর্ণ করা হবে। নামাজ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার ফরজ নামাজের হিসাব করা হবে। তা ঠিক থাকলে সে সফলকাম। আর তাতে সমস্যা হলে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর কোনো ফরজ আমলে অপূর্ণতা দেখা দিলে মহান রব বলবেন, তোমরা দেখো, আমার বান্দার কি কোনো নফল নামাজ রয়েছে? নফল থাকলে তা দিয়ে ফরজকে পরিপূর্ণ করা হবে। এভাবে সব ফরজ আমলের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ করা হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৪১৩)
ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেছেন, শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা হওয়ার মধ্যে বিশেষ রহস্য রয়েছে। তা হলো এই ছয়টি রোজা রমজানের রোজার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। রোজার মধ্যে যেসব ভুল-ত্রুটি হয়েছে অতিরিক্ত রোজাগুলো তা দূর করে দেয়। বিষয়টি ফরজ নামাজের পর সুন্নত ও নফল নামাজের মতো এবং নামাজে ভুল হলে সিজদায়ে সাহু দেওয়ার মতো।
যেভাবে রাখতে হয়
শাওয়াল মাসের যেকোনো দিন এই ছয়টি রোজা রাখা যাবে। কেউ চাইলে মাসের শুরুতে রাখতে পারবে। কেউ চাইলে মাসের মধ্য ভাগে কিংবা শেষ অংশেও রাখতে পারবে। কেউ চাইলে তা অল্প অল্প করে পুরো মাসে রাখতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে নফল আমলের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা থাকা উচিত। সেই হিসেবে মাসের শুরুতেই এই আমল করা উত্তম।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দিন।

শাওয়ালের ছয় রোজার বিশেষ গুরুত্ব
ইসলামী জীবন ডেস্ক

শাওয়াল মাসের ছয় রোজাকে ইসলাম বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। পূর্বসূরি আলেমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে রমজান মাসের রোজা পালন করতেন। শরিয়তের দৃষ্টিতে শাওয়াল মাসে ছয় রোজা রাখা মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর তার সঙ্গে সঙ্গে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন পূর্ণ বছরই রোজা রাখল।
এক বছরের সমান হয় যেভাবে : রাসুলুল্লাহ (সা.) এক বছরের সমান হওয়ার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এই হলো এক বছরের রোজা। (সুনানে নাসায়ি : ২/১৬২)
মুহাদ্দিসরা বিষয়টি আরো ব্যাখ্যা করে বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেন ‘কেউ কোনো সৎকাজ করলে সে তার ১০ গুণ সওয়াব পাবে এবং কেউ কোনো অসৎকাজ করলে তাকে শুধু তারই প্রতিদান দেওয়া হবে।
এই হিসাবে রমজানের ৩০ রোজায় ৩০০ রোজার সওয়াব হয়। আর শাওয়ালের ছয় রোজায় ৬০ রোজার সওয়াব হয়। এভাবে রমজানের ৩০ রোজা ও শাওয়ালের ছয় রোজা মোট ৩৬০ রোজার সমপরিমাণ হয়।
যে ব্যক্তির রমজানের রোজা কাজা আছে, সে কোনো কারণে পূর্ণ রমজান মাস রোজা রাখেনি।