<p style="text-align:justify">দিনাজপুরের বিরামপুরে অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ কিট রাখার অপরাধে তিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া রোগীদের সঙ্গে দালালি করার অপরাধে দুই যুবককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনিম আওন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।</p> <p style="text-align:justify">এ সময় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রসুল রাখি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শাহারিয়ার পারভেজ, বৈষম্যবিরোধী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাবিল (২৭)। সে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ঝগড়ুপাড়া এলাকার মোজাফফর রহমানের ছেলে এবং একই উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের কঞ্চিগাড়ি এলাকার জাফর আলীর ছেলে মোজাফফর (৪০)।</p> <p style="text-align:justify">ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর পৌরশহরের বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার সরকারের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে মানহীন বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিল এমন অভিযোগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালানো হয়। </p> <p style="text-align:justify">অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বিরামপুর বেস্টন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার, বিরামপুর রনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার এবং ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এ ছাড়া ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই দালালকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনিম আওন বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগীকে মানহীন রোগ নির্ণয় পরীক্ষার প্রলোভন দেখানোর অপরাধে দুই যুবককে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদনহীনভাবে পরিচালনা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কিট রাখার অপরাধে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’</p>