<p style="text-align:justify">১১ বছর আগের ঘটনায় সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। রবিবার রাতে বেলকুচি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের আব্দুল হালিম সরকার বাদী হয়ে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০-২০০ অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।</p> <p style="text-align:justify">মামলার শীর্ষ আসামিরা হলেন, সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, তার সহধর্মিনী বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস, ছেলে দৌলতপুর ইউপির চেয়ারম্যান লাজুক বিশ্বাস এবং নিকট আত্মীয় বেলকুচি পৌরসভার অপসারিত মেয়র ও যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজা, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাহার সিদ্দিকী, বেলকুচি পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন মুন্না, রাজাপুর ইউপির চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ, সদর ইউপির চেয়ারম্যান মির্জা সোলায়মান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ আলী ও পান্না এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরমান আলী।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বরাত দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলকুচি থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, গত ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর উপজেলার মুকন্দগাঁতি বাজারে বিএনপির মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ওই সময় মিছিলকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। মামলার বাদী কোমরের নিচে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। দীর্ঘদিন উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে রবিবার দুপুরে সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসকে বেলকুচির কামারপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে যৌথবাহিনী। সন্ধ্যায় তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এনায়েতপুর থানায় হামলা ও ১৫ পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।<br />  </p>