রাউজানের হলদিয়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে যুবদলকর্মী কমর উদ্দিনকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় ১৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলা উপজেলা বিএনপির সদস্য মহিউদ্দিন জীবনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মামলাটি করেন কমর উদ্দিনের স্ত্রী ডেজি আকতার।
তবে ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সৌদি প্রবাসী ভিকটিম কমর উদ্দিন সৌদিতে ভালোই উপার্জন করতেন।
তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর দেশে আসলে স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। ঈদের পর সৌদি যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তিনি বিএনপি, যুবদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে মাটিকাটা, মাটি ভরাট, সর্ত্তাখালের বালু উত্তোলন এবং বিক্রিতে জড়িত হয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন। অবশেষে কোন্দলে পড়ে নির্মম পরিণতির শিকার হন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে কমর উদ্দিনকে হলদিয়া আমীর হাট বাজারের পশ্চিম দিকে তাকে ছুরিকাঘাত এবং পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত যুবদল কর্মী কমর উদ্দিন (৩৪) হলদিয়া ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সর্ত্তা গ্রামের মনু পেটান তালুকার বাড়ির আলী মিয়ার ছেলে। নিহতের দুই ছেলে এক মেয়ে, বড় ছেলে প্রতিবন্ধী। নিহতরা দুই ভাই এক বোন।
পরিবারে ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল কমর।