<p style="text-align:justify">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক যোগ্য নারী শিক্ষার্থীদের আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ৩ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।</p> <p style="text-align:justify">বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাবি উপাচার্য কার্যালয়সংলগ্ন অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্যোগের কথা জানান তিনি।</p> <p style="text-align:justify">সংবাদ সম্মেলনে কোষাধ্যক্ষ আবাসন সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ও পদক্ষেপ তুলে ধরেন।</p> <p style="text-align:justify">অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন ছাত্রী হলে প্রায় ৫০০ বাংক বেড স্থাপন করে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বচ্ছ পদ্ধতি ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো প্রথমবর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রগ্রামের ছাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ব্যতিক্রমী ঘটনা। </p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ২৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্পটি’ মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে এটি ইআরডিএর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৮৪১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রস্তাবিত ৪টি ছাত্রী হলের বর্ধিত ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন। এই প্রকল্পে শাহনেওয়াজ হোস্টেল ভেঙে ১৫ তলাবিশিষ্ট একটি ছাত্রী হল নির্মাণ, ১০ তলা ও ৬ তলাবিশিষ্ট শামসুন নাহার হলের দুটি সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণ, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের বিদ্যমান স্টাফ কোয়ার্টার বি এবং ডি ভবন ভেঙে ১১ তলা ও ৮ তলাবিশিষ্ট  দুটি ভবনের সমন্বয়ে একটি ছাত্রী হল নির্মাণ এবং ১০ তলাবিশিষ্ট কুয়েত মৈত্রী হলের সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রকল্প দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে আবাসন সংকট নিরসন করা সম্ভব হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশা করছে।</p> <p style="text-align:justify">সংবাদ সম্মেলনে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুনসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।</p>