<p>সমুদ্রের তলদেশ আমাদের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় অঞ্চল। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে, আতাকামা ট্রেঞ্চের গভীরতম অংশে একটি নতুন ধরনের শিকারি প্রাণী আবিষ্কার করেছেন।</p> <p>নতুন এই প্রাণীটির নাম ডালসিবেলা ক্যামানঞ্চা। এটা একটি অ্যামফিপড প্রাণী। দেখতে চিংড়ির মতো এই প্রাণীটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৪ সেন্টিমিটার হলেও এটি অ্যামফিপডদের মধ্যে একটি বিশাল আকৃতির। এটি শিকার ধরার জন্য বিশেষ ধরনের অঙ্গ ব্যবহার করে। এটা তাকে গভীর সমুদ্রের অন্ধকার অঞ্চলে টিকে থাকতে সাহায্য করে।<br /> প্রাণীটি ২৫,৯০০ ফুট (প্রায় ৭,৯০০ মিটার) গভীরতায় আতাকামা ট্রেঞ্চে পাওয়া গেছে। এটি পৃথিবীর গভীরতম ট্রেঞ্চগুলোর একটি। এখানকার সর্বোচ্চট গভীরতা প্রায় ২৬,৪৬০ ফুট পর্যন্ত। এই ট্রেঞ্চ পেরু এবং চিলির সমুদ্র উপকূলের যৌথ সীমানায় অবস্থিত।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বদলে যাবে মঙ্গলের নাম, কী চাচ্ছেন ইলন মাস্ক?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/29/1735458474-d19c0bad6130a2b22e2afd58cb4d667f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বদলে যাবে মঙ্গলের নাম, কী চাচ্ছেন ইলন মাস্ক?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/29/1462622" target="_blank"> </a></div> </div> <p>২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ডিপ ওসান অভজার্ভিং সিস্টেম  বা আইডিওওএসের অভিযানে বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে এই প্রাণীটিকে সংগ্রহ করেন। এই যন্ত্রটি পানির তলদেশে ফাঁদ পেতে শিকার ধরার কাজ করে। প্রাণীটির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, এটি শুধু নতুন একটি প্রজাতি নয়, বরং নতুন একটি গণের (genus) প্রতিনিধিত্ব করে। আদতে এটি চিংড়ি বা কাঁকড়া কোনোটাই নয়।</p> <p>প্রাণীটির নামকরণ করা হয়েছে অন্ধকারের প্রতীক হিসেবে। ‘ডালসিবেলা’ শব্দটি নেওয়া হয়েছে স্প্যানিশ সাহিত্যের বিখ্যাত চরিত্র ‘ডালসিবেলা ডেল টোবোসো’ থেকে। নামের দ্বিতীয় অংশ ‘ক্যামানঞ্চা’ স্থানীয় ভাষায় গভীর সমুদ্রের অন্ধকারের প্রতিনিধি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতকালে খেজুর খেলে যে উপকার পাবেন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/27/1735317741-9314cd538dcf24bbcb1fecd1f330392e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতকালে খেজুর খেলে যে উপকার পাবেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/12/27/1462033" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আতাকামা ট্রেঞ্চের গভীর অঞ্চলগুলো প্রবল চাপ এবং সম্পূর্ণ অন্ধকারময়। তবু এই অঞ্চলগুলোতে অনেক বৈচিত্র্যময় প্রাণী পাওয়া যায়। প্রাণীদের জন্য এই টেঞ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ। এটাই পানির এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করেছে।</p> <p>বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আতাকামা ট্রেঞ্চে আরো নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হতে পারে। পাশাপাশি এই পরিবেশ মানুষের তৈরি দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলোর কিভাবে মোকাবেলা করছে। তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।</p> <p>গভীর সমুদ্রের রহস্য উন্মোচনে এই আবিষ্কার নিঃসন্দেহে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এটি কেবল বিজ্ঞানীদেরই নয়, বরং সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। আরো গবেষণা হয়তো আমাদের এই গভীর অজানা দুনিয়া সম্পর্কে আরও চমকপ্রদ তথ্য দেবে।<br /> সূত্র : লাইভ সায়েন্স</p>
