<p>শেষটা রাঙাতে পারলেন না ইমরুল কায়েস। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলার ঘোষণা দিয়েছিলেন আগেই। সে হিসেবে দারুণ কিছু করেই বিদায় নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা আর হয়নি। প্রথম ইনিংসে ১৬ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন মাত্র ১ রান।</p> <p>বিদায়টা তাই বলা যায় মলিনই হয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে খুলনা বিভাগের হারও। তৃতীয় দিনই ঢাকার কাছে ধরাশায়ী হয়েছে ৯ উইকেটে। মিরপুরে বিদায় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের বিদায়ের বিষয়টি খোলাসা করেছেন তিনি। সঙ্গে জানিয়েছেন সীমিত সংস্করণে আর কয়েক বছর চালিয়ে যেতেই দীর্ঘ সংস্করণ থেকে বিদায় নিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার। আর বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে নিজের সেরা অধিনায়ক, কোচ ও ওপেনারের কথাও জানিয়েছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসান, কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে এবং ওপেনার বেছে নিয়েছেন তামিম ইকবালকে।</p> <p>বিদায়ের বিষয়ে ইমরুল বলেছেন, ‘আমার ফিটনেস এখন যে পর্যায়ে তাতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য নিজেকে ফিট রাখতে পারব এবং আরো কয়েক বছর খেলতে পারব। চার দিনের ম্যাচের জন্য যে পরিমাণ শক্তি ও দৃঢ় মনোবল প্রয়োজন, তা এখন আর নেই। যদি নিজেকে তরুণদের সঙ্গে তুলনা করি এবং ওদের মতো ছন্দে ধরে রাখতে না পারি, তাহলে নিজেকে ছোট মনে হয় এবং লজ্জা লাগে। কিন্তু সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে একদিনেই খেলা শেষ হয়। এখানে ফুল এনার্জি দেওয়া সম্ভব।’</p> <p>টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে ইমরুল বলেছেন, ‘২০০৬ সালে (আসলে ২০০৭) যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়, আমি চিন্তা করিনি যে বাংলাদেশ দলের হয়ে এতগুলো টেস্ট খেলতে পারব। আর সব শেষে যেভাবে বিদায় নিলাম তাতে আমি খুব খুশি যে বাংলাদেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট খেলতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’</p> <p>দীর্ঘ ১৭ বছরে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের বিদায় নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই বলে জানিয়ে ইমরুল বলেছেন, ‘হয়তো আরও ভালো টেস্ট ক্যারিয়ার হতে পারত। তবে যেটা হয়নি সেটা নিয়ে এখন আর আফসোস করি না। যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।’</p>