নিউ ইয়র্ক-দিল্লি বিমানে বোমাতঙ্ক, রোমে জরুরি অবতরণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিউ ইয়র্ক-দিল্লি বিমানে বোমাতঙ্ক, রোমে জরুরি অবতরণ
ছবিসূত্র: এএফপি

নিউ ইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লিগামী একটি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমান বোমার হুমকির কারণে ইতালিতে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার ফ্লাইট ইমার্জেন্সি সাইট এবং বিমানবন্দর সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

ফ্লাইট ইমার্জেন্সি, ফ্লাইট-ট্র্যাকিং অ্যাকাউন্ট এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছে, ‘বোমার হুমকির কারণে আমেরিকান ফ্লাইট এএ২৯২ দিল্লি যাওয়ার পথে রোমে নামবে।’

বিমানবন্দর সূত্র অনুসারে, প্রায় ২০০জন যাত্রী নিয়ে বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার বিমানটি রোমের লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সূত্র আরো জানিয়েছে, বিমান সংস্থা যখন বিমানের ক্রুদের বোমার হুমকির বিষয়ে সতর্ক করে, তখন বিমানটি ক্যাস্পিয়ান সাগরের ওপরে ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এবিসি নিউজ উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ই-মেলের মাধ্যমে বোমার হুমকি পেয়েছে, তবে এটি ভিত্তিহীন বলে মনে করা হচ্ছে।

আমেরিকান এয়ারলাইন্স তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া বিমানটি নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।

সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাফাহ খালি করে দিতে বলল ইসরায়েলের সেনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাফাহ খালি করে দিতে বলল ইসরায়েলের সেনা
ছবিসূত্র : এএফপি

গাজার শহর রাফাহ খালি করে দিতে বলল ইসরায়েলের সেনা। সেখানকার সব মানুষকে চলে যেতে বলা হয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রাফাহ এবং বেশ কয়েকটি পুরসভা এলাকা খালি করে মানুষকে চলে যেতে বলল। সোমবার সেনা মুখপাত্র এই কথা জানিয়েছেন।

গত মাসে ইসরায়েলের সেনা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করে দেয়। তারপর থেকে তারা গাজার বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে। এর আগে হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের আক্রমণে রাফাহ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাফাহ থেকে চলে আসতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েলের সেনা।

কিন্তু পরে তারা বলে, সীমান্ত এলাকায় তাদের উপস্থিতি প্রয়োজন। মিসর থেকে এই এলাকায় অস্ত্রপাচার হয়।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি

গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলের সেনা আবার গাজায় বিমান হামলা শুরু করে। তার ফলে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে দাবি করেছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দপ্তর।

গত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮০ জন। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ইইউসহ কয়েকটি দেশ।

স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আক্রমণে ৫০ হাজার ৩৫৭ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর এর মধ্যে কতজন হামাস সদস্য এবং কতজন বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন তা জানায়নি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করে, এই হিসাব মোটের ওপর ঠিক আছে।

গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে অর্ধেক শিশু এবং জাতিসংঘ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

হামাস ইসরায়েলে ঢুকে এক হাজার দুইশ মানুষকে হত্যা করার পর ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ৩২২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। ইউনিসেফ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের আক্রমণের জেরে ৩২২ জন শিশু মারা গেছে, ৬০৯ জন আহত হয়েছে। সেমবার ইউনিসেফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই শিশুরা মূলত ভেঙে পড়া বাড়ি বা তাঁবুতে ছিল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারে জোটগত বিরোধের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন উগ্র-কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

ইসরায়েলি চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ তার পদ থেকে পদত্যাগ করায় নেতানিয়াহুর ডানপন্থী জোটের মধ্যে উত্তেজনা আরো তীব্র হয়েছে।

পদত্যাগের পর স্মোট্রিচ অবশ্য ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে তার আসনে ফিরে আসবেন।

সেখানে তিনি তার নেতৃত্বাধীন অতি-ডানপন্থি রিলিজিয়াস জায়োনিজম পার্টির আইন প্রণেতা হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন।

আরো পড়ুন
যে কারণে ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি ইমরান খান

যে কারণে ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি ইমরান খান

 

আনাদোলু বলছে, নেসেট সদস্য জভি সুক্কোতকে পুনর্বহাল করা নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভিরের সঙ্গে বিরোধের মধ্যে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের এই পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ঘটনা ঘটল।

মন্তব্য

যে কারণে ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি ইমরান খান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যে কারণে ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি ইমরান খান
সংগৃহীত ছবি

টানা তৃতীয়বার কারাগার থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে তিনি ঈদের নামাজে যোগ দিতে পারেননি। খবর জিও নিউজের।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস থেকে শুরু করে তোশাখানা তছরুপের মতো নানা অভিযোগে ১০০টির বেশি মামলা রয়েছে।

ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাবন্দী। আদিয়ালা কারাগারের ভেতরে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হলেও নিরাপত্তার কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি।

ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও কারাবন্দী রয়েছেন। ঈদের নামাজের সময় তাকে কারাকক্ষে থাকতে হয়েছে।

তবে কারাগারের অন্য বন্দী ও কারা কর্মকর্তারা ঈদের নামাজ পড়েছেন। 

জানা গেছে, উচ্চ পর্যায়ের বন্দী আছেন যেসব জেলখানায়, সেখানে তিন দিনের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা হিসেবে আদিয়ালা জেলমুখী সব সড়কে চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২০০ কর্মকর্তা।

 

আরো পড়ুন
ঈদের মধ্যেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নিহত ৮০ ফিলিস্তিনি

ঈদের মধ্যেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নিহত ৮০ ফিলিস্তিনি

 

দায়িত্বরত নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলের বাইরে পিটিআই সমর্থকরা যেন বড় রকমের প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে না পারে সে জন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে রিজার্ভ ফোর্সও। 
 

মন্তব্য

ঈদের মধ্যেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নিহত ৮০ ফিলিস্তিনি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের মধ্যেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নিহত ৮০ ফিলিস্তিনি
সংগৃহীত ছবি

ঈদুল ফিতরের মধ্যেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গত দুই দিনে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০৫ জন। সোমবার (৩১ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে গাজায় ১,০০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে।

খবরে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং ১৮৯ জন আহত হন। টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে শুরু করা ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১,০০১ জনে পৌঁছেছে এবং ২,৩৫৯ জন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চালানো ইসরাইলের হামলায় নিহত ৫০ হাজার ৩৫৭ ফিলিস্তিনি এবং আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে। 

আরো পড়ুন
তৃতীয় মেয়াদেও কি প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প, সংবিধানে কী আছে

তৃতীয় মেয়াদেও কি প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প, সংবিধানে কী আছে

 

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে চলতি মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ