<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজীপুরে দুটি বন্ধ পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিলে সাড়ে তিন ঘণ্টার পর অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগ পোহায় পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীরা।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারা অনুযায়ী কোনাবাড়ীর এমএম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এই দুটি কারখানায় ১২ থেকে ১৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন কারখানা দুটির শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে দূরপাল্লার অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ মঙ্গলবার থেকে কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে কোনাবাড়ী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, গত ৩ নভেম্বর কারখানাগুলোর শ্রমিকরা শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে মারধর করেন। এ ঘটনায় শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচ শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৫০-৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, গত রবিবার সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা মূল ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেলে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন শর্তে তাঁরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়। এ সময় শ্রমিকরা বিনা শর্তে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সকালে কারখানা দুটির শ্রমিকরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাঁরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""> </span></span></p>