<p>অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দেশে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ব্লু ইকোনমি অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা শিপিং পরিবহন, শিপ বিল্ডিং, গভীর সমুদ্রবন্দর ছাড়াও নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, তেল ও গ্যাস, স্রোত শক্তি, অবকাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) যৌথ আয়োজনে ‘সমুদ্র সমৃদ্ধি : বাংলাদেশে নীল অর্থনীতির অনুঘটক’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারের ব্লু ইকোনমি অবকাঠামো সেশনে বক্তরা এ কথা বলেন।</p> <p>বিশ্বের ৯০ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয় সমুদ্রের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মূল মেরুদণ্ড হলো মেরিটাইম পরিবহন, কিন্তু বাংলাদেশে সমুদ্রগামী জাহাজ খুবই নগণ্য। শুধু শিপিং বিল্ডিং বিশ্ববাজারে ১ শতাংশ ইস্যা অর্জন করতে পারলে বাংলাদেশের ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি হবে বলে জানান রিয়ার অ্যাডমিরাল অবসরপ্রাপ্ত খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্দর অবকাঠামোর আরো বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। গভীর সমুদ্রের জাহাজ বিশেষ করে বড় জাহাজ আমাদের বন্দরে প্রবেশ করতে পারে না। তবে ১৪ মিটার গভীরতার মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে কিছুটা বড় আকারের জাহাজ প্রবেশ করতে পারে।</p> <p>সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সমুদ্রে খনিজ ও প্রাণিজ সম্পদের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ব্লু কার্বনের অপার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সমন্বয়ে সরকারকে টেকসই এ খাত কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে হবে। সমুদ্রসম্পদ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। পরিকল্পনা কমিশনের জিইডি বিভাগের সচিব কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো.শহীদুজ্জামান সরকার, মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়ং। বক্তব্য দেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।</p> <p>পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, ‘বেসরকারি খাত ও গবেষকদের সমন্বয়ে সরকারের দেশের সমুদ্রসম্পদকে টেকসইভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গেলে ব্লু ইকোনমি  কাজে লাগানোর বিকল্প নেই। এটি অর্থনীতির লাইফলাইন হতে পারে। সমুদ্র নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে আমরা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে কাজ করছি।’</p>