আমি দাস হয়েও দাশ লিখি

&lt;p&gt;&lt;strong&gt;১৯৩০ সালে আপনার জন্ম কুমিল্লার তালপুকুরপাড়ে। মনে পড়ে?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;মা [হেমপ্রভা দাশ]-বাবার [নিশিকান্ত দাশ] আমি কনিষ্ঠতম সন্তান। সাত ভাই তিন বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। বাড়ির ছোট সন্তান হিসেবে অত্যন্ত আদরের ছিলাম। আমার পিঠাপিঠি এক ভাই ছিল। এই সাত ভাই তিন বোনের মধ্যে আজকে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমি এখন বার্ধক্যের চরম সীমায়, নানা রোগে আমার শরীর এত জর্জর যে ঠিকমতো বসে কথাও বলতে পারি না।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;আপনি নাকি ছোটবেলায় খুব বাউন্ডুলে ছিলেন?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;অবশ্যই [হাসি], বাউন্ডুলে তো অবশ্যই ছিলাম। দুই ভাই এক ক্লাসে পড়তাম, নিয়মমতোই স্কুলে যেতাম; কিন্তু যাওয়া-আসার পথে নানা রকম দুষ্টুমি করতাম&mdash;হয়তো পরিচিত মানুষের মধ্যেই কাউকে ধাক্কা দিলাম। খুব চঞ্চল ছিলাম তো, কিন্তু লেখাপড়ায় মোটামুটি ভালোই ছিলাম। ম্যাট্রিক পরীক্ষা পর্যন্ত কোনো পরীক্ষায়ই ফেল করিনি। মাইনর বোধ হয় তখন ক্লাস সিক্স পর্যন্ত ছিল, সে পর্যন্ত বৃত্তি পেতাম। কিন্তু আস্তে আস্তে দুষ্টুমি বাড়তে শুরু করল। এসব কারণে লেখাপড়ায় অমনোযোগ দেখা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমার অমনোযোগ দেখা দেয়নি। পাড়ারই কারো বাড়িতে কলার কাঁদি পাকছে, পাড়ার এক বন্ধুরে নিয়া সেই সবরি কলার ছড়ি চুরি কইরা নিয়া আইছি। কিছু চুরিচামারিও করছি, ডাবগাছের ডাব চুরি করছি। গাছে ভালো উঠতে পারতাম না, কোনো রকম জোর কইরা উইঠা এসব করতাম। একটা বেঁটে মতো গাছ ছিল, ওই যে রসওয়ালারা কলসি বাইন্ধা দিয়া যায়, একবার সেই গাছে উইঠা রসের কলস খুইলা নিয়া নামার সময় কলস ভেঙে গেছে। সারা গায়ে শীতের মধ্যে খেজুরের রস মাখামাখি হয়ে গেল। এমন অনেক ঘটনা আছে জীবনে। &lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;লেখাপড়ার গল্প শুনব।&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;১৯৪২ সালে সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের সময় কুমিল্লার অত্যন্ত নামকরা স্কুল ঈশ্বর পাঠশালা, মহেশ ভট্টাচার্যর স্কুল, সেই বিশাল স্কুলে পড়তাম। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় খবর এলো যে কুমিল্লায় জাপানি বোমা পড়বে, কারণ কুমিল্লায় একটি ক্যান্টনমেন্ট আছে। বোমা আতঙ্কে ব্রিটিশ সরকার থেকে বলা হলো, স্কুল-কলেজ, বড় বড় অফিস যেন কুমিল্লার বাইরে চলে যায়। অন্য কিছু প্রতিষ্ঠানের মতো ঈশ্বর পাঠশালাও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে গেল। তবে সেখানে যাওয়ার মতো সামর্থ্য আমার ছিল না। এককথায় সেখানে কোনো আত্মীয়স্বজন ছিল না। আর ওখানে গিয়ে যে একা একা থাকব, এটাও বাসার কেউ পছন্দ করল না। সেসব কারণে আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পড়তে যাইনি।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;img alt=&quot;&quot; src=&quot;/ckfinder/userfiles/images/print/2016/January/29-01-16/Kthay-01-1-2.jpg&quot; style=&quot;float:left; height:444px; margin:12px; width:223px&quot; /&gt;&lt;strong&gt;কোথায় পড়তে গেলেন?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;এদিক-ওদিক আরো দু-একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম, কিন্তু আমার যেন তৃপ্তি হতো না। শেষ পর্যন্ত ঠিক করলাম, কুমিল্লা জিলা স্কুল, মানে যেটি গভর্নমেন্ট স্কুল, অত্যন্ত নামকরা স্কুল, সেখানে যাঁরা টিচার ছিলেন তাঁরা সব স্কলার; হেডমাস্টার ছিলেন আইসিএস ইন্দুভূষণ বড়ুয়া, সেখানে পড়ব। কুমিল্লা জিলা স্কুল এখন জিলা স্কুলের জায়গায় আছে; কিন্তু সেই সময় এটি চলে গিয়েছিল দেড়-দুই মাইল-আড়াই মাইল দূরে কালিয়াজুড়িতে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;জিলা স্কুলে কিভাবে ভর্তি হলেন?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;এত বড় একটি স্ট্যান্ডার্ড স্কুল&mdash;এ স্কুলে আমাকে ভর্তি করবে কি না এ রকম নানা চিন্তা ছিল। শুনলাম, হেডমাস্টার খুব সংগীতপ্রিয় লোক এবং যারা গানটান গায়, তাদের আলাদা গুরুত্ব দেন। একদিন ভর্তি হতে গেলাম। দু-এক কথা জিজ্ঞেস করার পর বলছেন, &lsquo;গান শোনাবি তো?&rsquo;[হাসি] মনে মনে বলছি, আমি যে গান গাই তিনি জানেন কী করে? নিশ্চয়ই কেউ তাঁকে বলেছে। বললাম, হ স্যার, আপনি বললে যখন যেখানে বলবেন গান শোনাব। এই শর্তেই [হাসি] বা যেকোনো কারণেই হোক তিনি ভর্তি করে নিলেন। ছাত্র কিন্তু খারাপ ছিলাম না। ওই এক অঙ্ক ছাড়া সব সাবজেক্টেই সব সময় ফার্স্ট ক্লাস মার্ক পেতাম।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;ম্যাট্রিক পাস করলেন কিভাবে?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;তখন কুমিল্লা জিলা স্কুলে পড়ি। অঙ্কে ভীষণ কাঁচা ছিলাম। ক্লাসফ্রেন্ড অমল ছিল কুমিল্লা রেল স্টেশনের মাস্টার রাধিকামোহন রায়ের ছেলে, ওর সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল। ও সাইকেলে যেত স্কুলে। তখন আমার সাইকেল ছিল না। ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে দুই-আড়াই মাইল হেঁটে রোজ স্কুলে যাইতাম-আসতাম। দেখলাম, আমার তো ম্যাট্রিক পাস করার কোনো সম্ভাবনাই নাই, অঙ্কে ডেফিনেটলি ফেল করতে পারি। তখন আমাদের অঙ্ক করাতেন...আহা নাম ভুইলা গেছি...ঈশান স্কলার আদিনাথ চক্রবর্তী। আজকাল বড় বড় ইউনিভার্সিটিতেও এ রকম টিচার নাই। অমল তাকে ধরল, স্যার আমারে একটু অঙ্ক করাইবেন। তখন টেস্ট হইয়া গেছে। স্যার ওর কথা রাখলেন, &lsquo;স্কুলের পরে যদি সঙ্গে সঙ্গে শিখতে পারো, তাইলে আমি তোমারে এক ঘণ্টা অঙ্ক করাব।&rsquo; অমল যখন এই কথা কইল, ভাবলাম, আরে, আমি এই সুযোগটা যদি পাই, তাইলে তো ম্যাট্রিক পাস কইরা ফালামু। আমার উদ্দেশ্য কিন্তু অঙ্ক শেখা না, অঙ্ক মুখস্থ করা। [হাসি] অঙ্ক মাথায় ঢোকেই তো না। সাধারণ যোগ-বিয়োগ এও ভুল করি। তো স্কুলে দুরন্তপনা, গানটান কইরা সবারই প্রিয় ছিলাম। আদিনাথ স্যারকে একদিন ধরলাম। তিনি বললেন, &lsquo;তুমি যদি অমলের সঙ্গে বসতে পারো তো ঠিক আছে। বললাম, স্যার আমারে কডা অঙ্ক মুখস্থ করাইয়া দেন, যাতে পাস করতে পারি। বললেন, &lsquo;আসতে যদি পারো, দেখি চেষ্টা করে।&rsquo; ওরা যেত সাইকেলে আর আমি ধানক্ষেতের মধ্যখান দিয়ে ছুটতে ছুটতে যাইতাম। আমারে তিনটা কী চারটা অঙ্ক দিয়ে বললেন, বারবার করো, বারবার করো। বারবার করতে করতে দেখলাম, মোটামুটি পারি। পরীক্ষার সময় ভাবছি, ওই অঙ্ক যদি না আসে তাইলে আমার অবস্থা সঙ্গিন। সরল অঙ্ক পারতাম, তা-ও বহুবার চেষ্টা করলে। তিনি কী সাংঘাতিক টিচার ছিলেন! ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফোর্থ সাবজেক্টের আগের দিন অঙ্ক পরীক্ষা। মনে আছে&mdash;কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সিট পড়ছিল। প্রশ্ন পাইয়া ঠিক এক ঘণ্টার মধ্যে ৩০ নম্বর একদম কনফার্ম হয়ে গেল। যা মুখস্থ করছিলাম, হুবহু লিখে দিলাম। উত্তর দেওয়ার পর তো আনন্দের আর সীমা নেই&mdash;ম্যাট্রিক পাস কইরা গেছি। তারপর সরল অঙ্ক লিখতে বসলাম, এটা তো পারি, চেষ্টা কইরা দেখি। দুই-তিন-চারবার করার পর দেখি বিকট রেজাল্ট হয়। শেষ পর্যন্ত একটু দুর্নীতি করলাম, আমার সামনে বসছিল ক্লাসের ফার্স্ট বয় মৃণাল। ফাঁক পেয়ে ওরে জিজ্ঞাস করলাম, সরলের রেজাল্ট কী রে? ও কইল জিরো। এক ঘণ্টা-দেড় ঘণ্টা লাগাইয়া সরল করতে করতে একসময় জিরো আসল। সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উড়াইয়া ফালাইয়া দিয়া বাইর হইয়া গেলাম। এই উচ্ছৃঙ্খলতায় ফোর্থ সাবজেক্ট পরীক্ষা দিলাম না। ভাবলাম, এ পরীক্ষা দিলেও চলে, না দিলেও চলে। দিলে ৩০-এর পরে নম্বর যোগ হয়। দিলে কিন্তু ভালো ফার্স্ট ডিভিশন পাই। খামখেয়ালির সীমা ছিল না। তখন তো চিন্তা করিনি, ভেবেছি, আরে পাস তো করেছি। ১৯৪৬ সালে ম্যাট্রিকুলেশনে সেকেন্ড ডিভিশন পেয়ে গেলাম। পরে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হলাম।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;গানের প্রতি ভালোবাসার শুরু কিভাবে?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;সেটা তো আরো শৈশবে, যখন চার-পাঁচ বছর বয়স, তখনই তো বাড়িতে গানের চর্চা হতো। দাদা [সংগীতাচার্য সুরেন দাশ] বড় গুণী ছিলেন। অনেক ছেলেমেয়ে তাঁর কাছে গান শিখতে আসত, আমি গান শেখার জন্য হইচই করতাম, মা দাদাকে তাগিদ দিতেন, &lsquo;ওরে গান শেখাছ না ক্যান?&rsquo; দাদা মাকে বলতেন, &lsquo;গান শেখানোর জন্য এখন আপনারা পীড়াপীড়ি করবেন না। এই সময়ে যদি গানের দিকে ঝোঁকে, ওর লেখাপড়া হবে না।&rsquo; দাদা কথাটা ঠিকই বলেছিলেন। সে জন্য ভয়ে তাঁর গানের ক্লাসে ঢুকতাম না। কিন্তু যখন ক্লাস করাতেন, ঘরের চারপাশে ঘুরতাম। মনে করতাম, দাদা টের পান না। সেই কত স্মৃতি...দাদা ঠিকই টের পেতেন। একদিন শুনলাম, এক ছাত্র না ছাত্রীকে তেমন ঠিক মনে নেই, দাদা একটি গান বেশ কয়েকবার শেখানোর চেষ্টা করলেও সে ঠিকমতো তুলতে পারছে না। আমার কিন্তু গান তোলা শেষ। ঘরের কিনারেই আছি, দাদা বলছেন, &lsquo;সামনে বসে এতবার চেষ্টা করে তোমাকে কিছুই শেখাতে পারলাম না, আর যারা বাইরে ঘোরে, তারা ঠিকই গান শিখে চলে গেছে।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;দাদার কাছেই তো গান শেখার শুরু।&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;দীর্ঘ জীবন দাদার কাছে তালিম নিয়েছি, কিন্তু খুব সামনাসামনি বসে তিনি আমাকে শেখাতেন না। তিনি যতটা না শিখিয়েছেন, তার চেয়ে বেশি শিখছি তাঁর বইপত্র, নোটেশনের খাতা দেখে। এই যে আজকে স্বরলিপিকার সুধীন দাশ বলা হয়, এই স্বরলিপিকার সুধীন দাশ হতো না, যদি এই গুরু আমার না থাকত। তার কারণ তিনি যে গান শেখাতেন, ক্লাসিক্যাল, রাগসংগীত; সেগুলোর তো নোটেশন ছিল। তিনি কিন্তু খুব ভালো রবীন্দ্রসংগীতও গাইতেন। আমি রবীন্দ্রসংগীতেরও শিল্পী। রবীন্দ্রসংগীতের হাতেখড়িও তাঁর কাছে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;নোটেশন কিভাবে শিখতেন?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;তিনি যখন বাসা থেকে বের হয়ে যেতেন, তখন তাঁর ড্রয়ার থেকে বউদির [বেলা বোস] সাহায্যে নোটেশনের বইগুলো নিয়ে সেগুলো থেকে গান তুলতাম। এই সব কারণে তাঁর ছায়াতেই আমার সংগীত জীবন শুরু। তারপর তো আস্তে আস্তে প্রফেশনাল শিল্পী হয়ে গেলাম।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;তখন থেকেই তো আপনি বিখ্যাত শিল্পী।&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময়ই শিল্পী হিসেবে আমার ওপর মানুষের নজর পড়ে যাচ্ছিল। কলেজে গান গাইতাম। সে সময় আমি রীতিমতো বড় শিল্পী। ১৯৪৮ সালে রেডিওতে গান গাইতে আরম্ভ করি। কুমিল্লায় তো নাম ছিলই, ঢাকায়ও যখন অডিশন দিলাম, অডিশন বোর্ডে যাঁরা ছিলেন আমার কাছে তাঁরা ১০ না ১২টা গান শুনেছিলেন। রবীন্দ্র-নজরুল-আধুনিক সব গানেরই অডিশন দিয়েছিলাম। আমাদের সময় অডিশন অনেক কঠিন ছিল। একটি তানপুরা ছাড়া কোনো যন্ত্রপাতি থাকত না। আজকাল তো অডিশন অনেক সোজা হয়ে গেছে, হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গায়। অর্ধেক গান গায় হারমোনিয়াম আর অর্ধেক গায় শিল্পী। অডিশন দিয়ে তো চলে গেলাম। কিছুদিন পরেই কন্ট্রাক্ট এসে গেছে। প্রথম প্রোগ্রাম করার পরেই মাসে তিনবার ফ্রিকোয়েন্সি হয়ে গেল। কুমিল্লা থেকে ঢাকায় গিয়ে তিনবার গান করতাম। যে সম্মানীটা দিত সেটিও দারুণ, ১০ টাকা। সারা দিন গাইতাম&mdash;সকালে একবার, দুপুরে একবার, রাতে একবার। অনেক সময় রাতে দুইবারও গাইতে হতো। ডিউরেশন ছিল ৫ মিনিট, ১০ মিনিট, ১৫ মিনিট। সারা দিন গান গাওয়ার পর ১০ টাকা ফি। সেই টাকা কিন্তু টাকা ছিল। কল্পনাও করতে পারবে না, ১০ টাকার মূল্য কী ছিল। কুমিল্লা থেকে বাস-লঞ্চ আবার বাসভাড়া দিয়ে ঢাকা আসতাম। হার্ডলি দুই টাকা খরচ হতো। সারা দিন থেকে, রেস্টুরেন্টে খেয়ে, রাতে কুমিল্লা ফিরে যেতাম। এর পরও দেখতাম চার টাকা, সাড়ে চার টাকা পকেটে। মাসে ১২ টাকা দিত। ৪৮ সালে ১২ টাকা একটি ছেলের পকেটে থাকা মানে সে তো প্রিন্সের মতো চলত। তখন তো রীতিমতো টাকার গরম হয়ে গেল। আস্তে আস্তে ঢাকায়ও অনেক নাম হয়ে গেল। তখন রেডিওতে খুব ভালো সুরকার ছিলেন না, প্রশিক্ষক ছিলেন না। দু-একজন ছিলেন&mdash;আবদুল আহাদ সাহেব, আবদুল হালিম চৌধুরী। আমার সমসাময়িক ছিলেন লতিফ ভাই [আবদুল লতিফ]। রেডিও থেকে টিউন করার জন্য গান পাঠাতে আরম্ভ করল। মহিলা শিল্পীরা সুরকার পেতেন না। তাদের গান শেখাতাম। একটি গান শেখালে পাঁচ টাকা দিতেন। দৌড়ে দৌড়ে এক দিনে ছয়-সাতজনকে শেখাতাম, ২৫-৩০ টাকা পেতাম। রীতিমতো প্রাচুর্য। খাই তো ভাইদের হোটেলে। তখন লেখাপড়ায় ঢিল পড়ল। তা-ও ইন্টারমিডিয়েট পাস করলাম।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;আর বিএ?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;বিএর সময় ক্লাসমেট ছিল এ বি এম মূসা। মূসা তো কয়েক দিন আগে মারা গেল। আমি শালা মরি না। আমার যন্ত্রণার...আহ। মূসা মুক্ত হয়ে গেছে, লতিফ ভাই চলে গেছে, সোহরাব [সোহরাব হোসেন] চলে গেছে, আমি...। ১৯৫০ সালে বিএ পরীক্ষায় ক্যান্ডিডেট ছিলাম। তখন নোয়াখালীতে রায়ট হয়েছিল, সে কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল। আগরতলায় পরে ১৯৫০ কি ৫১ সালে পরীক্ষা নিয়েছিল। প্রথমে একটি বিষয় লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলাম। পরেরটিতে ইনভিজিলেটরের সঙ্গে তর্কাতর্কি করে পরীক্ষা না দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তর্কের কারণ, পরীক্ষা চলছে, গার্ড ভদ্রলোক হাইহিলের মতো জুতা পরে পায়চারি আরম্ভ করেছেন। বারবার টক টক শব্দ হচ্ছে। আমার তো সহ্য হলো না। বললাম, স্যার, আপনি যে হাঁটছেন, তাতে খুব শব্দ হচ্ছে। তিনি বললেন, &lsquo;শব্দ হয় তো আমি কী করব?&rsquo; তর্কাতর্কির মধ্যে তিনি দেখলেন, আমার সিটের পাশেই বই পড়ে আছে। বললেন, &lsquo;অ্যাই এটা কী?&rsquo; খেয়ালই নেই আমার, তাকিয়ে বললাম, স্যার এটা তো ফার্স্ট পেপারের বই। মনে হয় জমা রাখতে ভুলে গিয়েছি। ওই অজুহাত ধরে খাতা নিয়ে গেলেন। আমাদের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রমেশচন্দ্র রায়ের কাছে গেলাম। তিনিও তাঁর সঙ্গে অনেকক্ষণ বাদানুবাদ করলেন। পরে আর পরীক্ষা দেওয়া হলো না। বায়ান্ন সালে আবার পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। তখন আমার মা মারা গেছেন। সে সময় ছিল অন্য সমস্যা। দাবার নেশায় দুই পেপার পরীক্ষা দিয়ে পরের পরীক্ষায় হল থেকে বেরিয়ে চায়ের দোকানে বসে দাবা খেলতে বসলাম। খেলতে খেলতে সময় চলে গেল। দাবারও দোষ দেব না&mdash;এসব হচ্ছে আমার উচ্ছৃঙ্খলতা। বিএ পাস করলে কী হতো? ছোটকালে যত দুরন্ত না ছিলাম, শিল্পী হয়ে এই উচ্ছৃঙ্খলতাগুলো বেড়েছিল। সেই অনুতাপ, অনুশোচনা এখনো করি।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;আপনার সুর করা কোনো উল্লেখযোগ্য গানের কথা এখন মনে পড়ছে?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;অগ্নিপুরুষ সিকান্দার আবু জাফর তখন রেডিওর স্টাফ রাইটার। তিনি গান যে কী লিখতেন তা তো তোমরা জানোই, &lsquo;জনতার সংগ্রাম চলবেই&rsquo;&mdash;এ ধরনের অনেক দেশাত্মবোধক গান তো আছেই, আধুনিক গানও তাঁর ছিল। তাঁর একটি গান তখন হিট করেছিল, &lsquo;আমার জানালা দিয়ে যখন তখন করত যাওয়া-আসা ছোট্ট দুটি চটুল চড়ুই পাখি।&rsquo; সে সময় ঠিক এ ধরনের লিরিক গানে ছিল না। গানটি লিখে প্রখ্যাত সুরকার, সংগীতবিদ আবদুল আহাদকে দিয়েছিলেন। আহাদ ভাই দেখে বললেন, &lsquo;এটা কি গান নাকি? কবিতা লিখে দিয়েছেন, এটার কি সুর হয় নাকি?&rsquo; বলে ফেলে দিয়েছেন। আমাকে এসবের কিছু না বলে তিনি শুধু বললেন, &lsquo;গানটার সুর কইরেন তো।&rsquo; সুর করলাম, হিট সং হয়ে গেল। পরে বললেন, আহাদ সাহেব এসব কথা বলেছিলেন। আরো অনেক গীতিকার তখন ছিলেন, তাঁদের অনেক গানে সুর করেছি। তখনকার শিল্পীরা সেসব গান গেয়েছেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;টেলিভিশনের জীবন?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই গাইতে শুরু করেছি। আমি গেয়েছি, ও গেয়েছে [স্ত্রী নীলিমা দাশ]। টেলিভিশন তো সেদিনের মিডিয়া, রেডিওতে &rsquo;৪৮ সাল থেকে গাই। ও গায় &rsquo;৫০ সাল থেকে। দাদার কাছে না বুঝলে ছাত্রছাত্রীরা বাকিটা আমার কাছে বুঝে নিত, গান শিখতে আসত। সে-ও তো দাদার ছাত্রী। ওর গলা তো এত সুরেলা ছিল যে প্রায়ই ওদের বাসায় যেতাম, গান শেখাতাম। শেখাতে শেখাতে যা হয়, তা-ই হয়ে গিয়েছিল। টেলিভিশনে আমাকে প্রথমে ডাকেনি, তাঁকেই আগে ডেকে নিয়েছিল। বোধ হয় ২০১০-১১ সাল পর্যন্ত গেয়েছি। আমরা মূলত নজরুলের গান গাইতাম। নানা প্রোগ্রামে নজরুল, রবীন্দ্র, পঞ্চকবির গানও গেয়েছি। এখনো মাঝেমধ্যে সংগীত পরিচালনার জন্য যাই। আর যেতে পারব কি না জানি না। শরীরের অবস্থা এত খারাপ, বসে থাকতে পারি না, চলতে পারি না।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;নজরুলের গানের সঙ্গে জড়ালেন কী করে?&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;আমি কিন্তু রেডিওতে নজরুলসংগীতশিল্পী ছিলাম না, শেষদিন পর্যন্ত রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছি। তবে নজরুলের গানের যে চরম বিকৃতি চলছিল, তাতে বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। যখন স্বরলিপি করতে আরম্ভ করলাম, তখন এই দেশেও কেউ কেউ নজরুলের স্বরলিপি করত। প্রথম দিকে বুঝতে পারিনি, পরে দেখলাম, এগুলোর নাইনটি পার্সেন্টই ভুল। বহুবার নজরুল একাডেমি, তালিম হোসেন সাহেব এখানকার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মিটিং করেছেন। তাঁদের কাছে কিছু রেকর্ড ছিল; কিন্তু তাঁদের কেউই সেগুলো দিতে রাজি হননি, নিজেরাও স্বরলিপি করতে পারেন না। কলকাতায় যারা ভুল স্বরলিপি করত তাদের অনেকবার সাবধান করেছি; কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। ফলে বাধ্য হয়ে স্বরলিপির কাজে হাত দিলাম। তখন এখানে অনেকের গাত্রদাহ হলো। তারা নানাভাবে সমালোচনা শুরু করল। এখানে একটি বিশেষ মহলের কাগজ ছিল, সেখানে প্রতি সপ্তাহে দুই-তিন কলাম করে সমালোচনা হতো। যখন গান নিয়ে আর কিছু পেল না, তখন বংশচর্চা আরম্ভ হলো, আমি ছোট জাত, সুধীন দাস, দ আকার তালব্য-&lsquo;শ&rsquo; না, আসলে আমি দ আকার দন্ত্য-&lsquo;স&rsquo;। এই দুটোর মধ্যে কাস্টের তফাৎ আছে। দাসদের মধ্যে বেশির ভাই লোকই লোয়ার কাস্টের; ধোপা, নাপিত। আমি দাস হয়েও দাশ লিখি। অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি, কিন্তু থামিনি। তখন মনে জোর ছিল, শরীরে বল ছিল, অত্যন্ত দুঃসাহসী ছিলাম। আমার স্বরলিপি যখন চালু হয়ে গেল, কলকাতার বিকৃত স্বরলিপি বিক্রি তখন বন্ধ হয়ে গেল। নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে কয়েকটি বই কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলাম। নজরুলের প্রাণপুরুষ জগৎ ঘটক, ধীরেনচন্দ্র মিত্র&mdash;এদের যখন সেগুলো দিয়েছিলাম, তাঁরা পরিষ্কার মন্তব্য করলেন, &lsquo;পশ্চিমবঙ্গে শুদ্ধভাবে নজরুলসংগীত বাজবে না, বাজবে বাংলাদেশে এবং সে জন্য নজরুল ইনস্টিটিউট, সুধীন দাশের ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।&rsquo; এই প্রশংসা আমার স্বরলিপির তৃতীয় খণ্ডের শেষ পৃষ্ঠায় আছে। আজকাল দেয় কি না জানি না, অনেক এডিশন হয়ে গেছে তো।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;লালনসংগীতের স্বরলিপিও তো করেছেন।&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;লালনের স্বরলিপি কিন্তু অনেক পরে করেছি। যখন শিল্পকলায় চাকরি করতাম, সেখানে ক্লাস হতো। আমি, আহাদ ভাই, সোহরাব শিক্ষক। আর কারো নাম মনে করতে পারছি না...আরেকজন শিক্ষক ছিলেন খোদাবক্স সাঁই। তিনি ছেউড়িয়া লালন আশ্রমের লোক। লালনের গানও সেখানে শেখানো হতো। তাঁর কাছে সে গান শুনতাম। ফরিদা পারভীন তখন টেলিভিশনে গাইতে আরম্ভ করেছে। তার গানগুলো চমত্কার লাগত। মনে মনে বাসনা ছিল, নজরুলের গান হারিয়ে যাচ্ছিল, তাই প্রতিরোধ করেছি। লালনের গানও তো আমরা সাঁইজির [খোদাবক্স সাঁই] মুখে এক রকম শুনি, কলকাতায় আরেক রকম শুনি। বুঝলাম, এর মধ্যেও তো বিকৃতি চলছে। তখন থেকেই সংকল্প ছিল, এত সুন্দর বাণী, এত সুন্দর গানের স্বরলিপি করব। সাঁইজিকে বহুভাবে বোঝাতে হয়েছিল, বলতে হয়েছে, আপনার গানগুলো স্বরলিপি করেন, রেকর্ড করে দেন, না হয় আমি রেকর্ড করে নিই। তিনি বলেন, &lsquo;না না, আমাদের তো এ রকম নির্দেশ নেই। আমরা সামনে বসে শিখিয়ে দিই, রেকর্ড-টেকর্ড আমরা বুঝি না, স্বরলিপি বুঝি না।&rsquo; লেগে থাকতে থাকতে শেষ পর্যন্ত ভদ্রলোক আমার প্রতি নরম হলেন। নজরুলের স্বরলিপির বই তাঁকে দেখালাম, এই স্বরলিপিগুলো আমি করেছি। নিজে এ গানগুলো কয়দিন শেখাবেন? যখন আপনি থাকবেন না তখন গানগুলো কে রক্ষা করবে? এভাবে নানা কিছু বোঝানোর পর রাজি হলেন। আমি হারমোনিয়াম আর তবলা নিয়ে বসতাম, তিনি একতারা নিয়ে বসতেন। এভাবে এক-দেড় শ গান রেকর্ড করা হয়েছে। সেগুলো থেকে লালনের স্বরলিপি করলাম। সেটি বেশ সমাদৃত হয়েছিল, এখনো চালু আছে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;আমরা জানি, আপনি অ্যালবাম করেননি; কিন্তু ছাত্রদের আজীবন গান শিখিয়ে গেছেন। &lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;আমাদের সময় অতটা সুযোগও ছিল না, তখন তো ক্যাসেট রেকর্ডারের যুগ ছিল। নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে একটিমাত্র অ্যালবাম বেরিয়েছে আমার। এই ইনস্টিটিউট যখন চালু হলো, তার মূল উদ্দেশ্যই ছিল&mdash;নজরুলসংগীত শুদ্ধভাবে চর্চা এবং প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের পুরো দায়িত্বটি আমাকে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অরগানোগ্রামে দুইজন প্রশিক্ষকের পোস্ট ছিল। কমিটির লোকেরা বলল, পোস্টটি যখন খালি আছে আপনি যাকে বলবেন আমরা তাকে নিয়ে নেব। চিন্তাভাবনা করে দেখলাম, সোহরাব হোসেনের ফেসভ্যালু আছে, তাঁকে দিলেই সুবিধা। তাঁর নাম বললাম। আজকে ঢাকার যারা বড় বড় শিল্পী তাদের দু-একজন বাদ দিয়ে বাকি সবাই আমাদের দুইজনের সেই প্রশিক্ষণের ক্লাসের শিক্ষার্থী ছিল। বললাম তো, অকাল প্রয়াত নীলুফার ইয়াসমিন, ফাতেমা-তুজ জোহরা, শাহীন সামাদ, ফেরদৌস আরাসহ সবাই নজরুল ইনস্টিটিউটে আমার ছাত্রী ছিল। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;[ ২৫ জানুয়ারি ২০১৫, মিরপুর, ঢাকা ]&lt;/p&gt;

আমি দাস হয়েও দাশ লিখি

notdefined

notdefined

প্রাসঙ্গিক

সম্পর্কিত খবর

ওএসডি করে রক্ষার চেষ্টা সওজের প্রকৌশলী তাপসীকে

পথের পাঁচালীর দুর্গা আর নেই

১৯০ উপসহকারী প্রকৌশলী নেবে এমইএস

সিনিয়র স্টাফ নার্স লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

সর্বশেষ সংবাদ

সামরিক আদালতে ইমরান খানপন্থী আরো ৬০ বেসামরিকের সাজা

যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত: বদিউল আলম

ক্ষমা চেয়ে নাম প্রত্যাহারের আবেদন দুই ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’র

‘জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন’

বিএনপিকর্মী হত্যা মামলায় সাবেক এসপি তানভীর আরাফাত কারাগারে

পোড়া সচিবালয়ে মৃত কুকুর, যা বলছেন সারজিস

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধ

সহসমন্বয়ক খালেদ নিখোঁজ হওয়ার কারণ জানালেন বাবা

কালীগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ১

ভারত থেকে আসা চাল খালাস, কমতে পারে দাম

যত্ন নিলে ‘রত্ন’ হবে নাহিদ, বলছেন শন টেইট

ছবি পোস্ট করে কাকে ইঙ্গিত করে লিখলেন বুবলী?

আমলাতন্ত্র ভাঙতে না পারলে মাসুল দিতে হবে জীবন দিয়ে : আরিফ সোহেল

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি সমন্বয়কের

২৫তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের নতুন কমিটি

‘জড়িত কেউ ছাড় পাবে না’

সোনার চুড়ি পরা হলো না স্কুলছাত্রী রিমার

২৫০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পাখির মর্যাদা পেল সাদা মাথার ইগল

হত্যার পর বাড়িতে গিয়ে টাকা চান বন্ধু

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারের দায় আছে : এবি পার্টি

সিলেট সীমান্তে এবার বাংলাদেশি কিশোরকে গুলি করে হত্যা

নির্বাচন নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে অবস্থান ব্যাখ্যা করল সিপিবি

আমলাদের জন্য যে ছড়া লিখলেন আশফাক নিপুন

আবারও বিসিএর নেতৃত্বে মিজান-মতিন

ধর্মীয় সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর নামে বিভাজন আমরা মানি না : জামায়াত আমির

সচিবালয়ে আগুনে সাবেক কোন কোন মন্ত্রীর দপ্তর পুড়ল

অভিনেত্রী আনোয়ারাকে সম্মাননা

বান্দরবানে ১৭ পরিবারের বাড়িঘর পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ দাবি

সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সময় ২ ঘণ্টা কমল

সর্বাধিক পঠিত

ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও আগুন

সচিবালয়ের পোড়া ভবনের আটতলায় মিলল মৃত কুকুর

সচিবালয়ে আগুন, যা বলছে আওয়ামী লীগ

সাবধান করার সময় আর নাই, ৩ উপদেষ্টাকে সারজিসের বার্তা

আকাশ মণ্ডল কেন ইরফান হলেন!

সময় টিভি থেকে অব্যাহতি, যা বললেন কামাল শাহরিয়ার

প্রথমবারের মতো ঢাকায় 'এনআরবি ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৪'

৭০০ ফুট গর্তে আটকে শিশু, উদ্ধার হয়নি ৩ দিনেও

বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন ভারতের

সচিবালয়ে আগুনে সাবেক কোন কোন মন্ত্রীর দপ্তর পুড়ল

‘সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়ায় সচিবালয়ে পরিকল্পিত আগুন’

যেভাবে ধরা পড়ল ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দেওয়া ট্রাকচালক

ওসির কাছে চাঁদা দাবি, অতঃপর...

সচিবালয়ের আগুনে ‘ষড়যন্ত্রের গন্ধ’ পাচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ট্রাকচাপায় নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

সচিবালয়ে আগুন, যা লিখলেন বিএনপি নেতা ইশরাক

সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে

চিকিৎসকের দাঁত ফেলে দিলেন নার্সিং শিক্ষার্থী

রাফসানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন জেফার

জ্বলছে সচিবালয়, চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন

সচিবালয়ের আগুন নেভাতে গিয়ে আহত ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু

হামাস-ইসরায়েলের একে অপরকে দোষারোপ

দেশে ফিরেই মিজানুর রহমান আজহারীর বার্তা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি সমন্বয়কের

ঢাকার দুই কলেজে ছাত্রদলের বিক্ষোভ-ককটেল বিস্ফোরণ, আতঙ্ক

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ায় সময় বাড়ল

অপুর সঙ্গে দেখা করতে লুকিয়ে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন শাকিব!

পুলিশ আসার খবরে পালালেন সাবেক এমপি

প্রশাসনে লুকিয়ে দালালেরা হাসিনার অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিল : সারজিস

জরুরি সেবার নম্বর ক্লোন করে চাওয়া হচ্ছে পিন, পুলিশের সতর্কবার্তা

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন