ঢাকা, সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫
২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫
২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৬
জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা

দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক কোটি হেপাটাইটিস বি রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক কোটি হেপাটাইটিস বি রোগী
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল সেমিনার। ছবি : কালের কণ্ঠ

হেপাটাইটিস কোনো ছোঁয়াচে রোগ না হলেও সহজেই এর বিস্তার বা সংক্রমণ ঘটে। প্রতিষেধকের মাধ্যমে ভাইরাসটি প্রতিরোধ করা গেলেও সংক্রমিতরা পদে পদে বঞ্চনার শিকার হন। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসায় গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় এক কোটি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত।

আর প্রতিবছর হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসে ২৩ হাজার মানুষ মারা যায়। তাই হেপাটাইটিস প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

গতকাল রবিবার বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাব, ফোরাম ফর দ্য স্ট্যাডি অব দ্য লিভার বাংলাদেশ, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন বিএসএমএমইউ এবং বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি।

আলোচনায় অংশ নেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ফোরাম ফর দ্য স্ট্যাডি অব দ্য লিভার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেপাটোলজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবদুর রহিম ও বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মাহমুদুল হক পল্লব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউর ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)। তিনি বলেন, দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৫.৪ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি হেপাটাইটিস বি এবং পাঁচ বছরের নিচে এক শতাংশের (১৬ লাখ ৬০ হাজার) কিছু কম সংখ্যক মানুষ হেপাটইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত।

সি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ০.৮ শতাংশ। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসে ২৩ হাজার মানুষ মারা যায়। হেপাটাইটিস আক্রান্ত রোগীদের কিছু অধিকারসংক্রান্ত বিষয়ে সরকার নয়, বরং প্রতিষ্ঠান ও কর্মীরা বাধা তৈরি করেন। হেপাটাইটিস নির্ণয়ে পরীক্ষা, টিকা গ্রহণ ও প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।

আলোচনায় শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর বলেন, অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালন, অনিয়ন্ত্রিত সুই, সিরিঞ্জ ব্যবহার ও অনিরাপদ দৈহিক সম্পর্কের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ছড়ায়।

নাক-কান ফুটো, সংক্রমিত ব্যক্তির টুথব্রাশ ও শেভিং যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সহজ এই কাজগুলোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন ও প্রতিষেধক গ্রহণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস প্রতিরোধ করা যায়।

আলোচকরা আরো বলেন, হেপাটাইটিস লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। তাই হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। হেপাটাইটিসজনিত কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ১.৩ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করে, যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত এবং সবার প্রচেষ্টায় তা অর্জন সম্ভব। হেপাটাইটিস নির্ণয়ে পরীক্ষা, টিকা নেওয়া এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে হবে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়াতে লেখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫

সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার দিনভর মোহাম্মদপুর ও আদাবরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন জাবেদ, রুবেল, মুরাদ, তাহিদুল, মিরাজ, সাম, মুনসুর, আরিফ, মন্টি পাটোয়ারী, জামিল, সজল, শোয়েব, মাহাফুজ, আরিফ ও রাশেদ।

মন্তব্য

রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী রাজধানীতে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী রাজধানীতে গ্রেপ্তার

রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীকে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের অভিযোগে মামলা আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কাজী কেরামত আলীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও রাজবাড়ীতে একাধিক মামলা রয়েছে।

এর যেকোনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

মন্তব্য

‘গরমে সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘গরমে সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়’

গরমে অধস্তন আদালতের এজলাসে (বিচারকক্ষে) শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এয়ার কন্ডিশনার-এসি) বসাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার। গতকাল রবিবার তিনি এ অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, গরমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের কালো গাউন পরতে হবে।

গরমে কালো গাউন পরা নিয়ে গত ২৫ মার্চ বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞার দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী তাপপ্রবাহের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো। এ নির্দেশনা ৬ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

গতকাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। সুপ্রিম কোর্টের এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ট্রাইব্যুনাল গরমে গাউন পরা শিথিল করবে কি না জানতে চান।

তখন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, এখানে তো এসি আছে, তাই এখানে গাউন পরতে হবে। এসি থাকলে গাউন পরতে সমস্যা কী? তার পরও কেউ যদি গরমে গাউন পরতে অসুবিধা বোধ করেন, আমাদের বললে আমরা সেটি বিবেচনা করব।

চেয়ারম্যান বলেন, নিম্ন আদালতের প্রতিটি কোর্টে যেন এসি থাকে, সেই ব্যবস্থা করা উচিত। সেখানে বিচারপ্রার্থী, আসামি, আইনজীবীসহ অনেক মানুষের উপস্থিতি থাকে।

এসি না থাকলে বিচারকরা কিভাবে বিচার করবেন? গরমে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। আমাদের হাম্বল রিকোয়েস্ট, সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালে এ সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও চিফ প্রসিকিউটরের পরামর্শক ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানও উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ছুটি শেষে খুলেছে সচিবালয় কাটেনি ঈদের আমেজ

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
ছুটি শেষে খুলেছে সচিবালয় কাটেনি ঈদের আমেজ

ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে গতকাল রবিবার খুলেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। কর্মস্থলে ফিরছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি। প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে কর্মদিবস শুরু করেছেন।

অফিসে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি ও গল্প করছেন। 

গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশির ভাগই উপস্থিত, আবার অনেক কক্ষে চেয়ার-টেবিল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। কোলাকুলি করছেন একে অপরের সঙ্গে।

সচিবালয়ে গাড়ি রাখার স্থানগুলো অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। তবে সচিবালয়ের করিডর, লিফটগুলোর সামনে ভিড় ছিল না, আর সচিবালয়ে দর্শনার্থী কক্ষটিও ছিল ফাঁকা। আর গাড়ি রাখার স্থানগুলো অন্যান্য সময়ের মতো গাড়িতে ভরা ছিল না।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার অফিস খুলেছে, তবে অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি উপভোগ করছেন।

ঈদের পরে প্রথম কর্মদিবস মোটামুটি এমনই হয়ে থাকে। খুব একটা কাজ হয় না, আবার অনেকেই ছুটিতে থাকেন। যাঁরা অফিসে এসেছেন তাঁরাও গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে সচিবালয়ের অফিস পুরোদমে শুরু হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

গত সোমবার দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল (শনি, রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার) সাধারণ ছুটি এবং ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সব মিলিয়ে এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা ৯ দিন ছুটি ভোগ করেছেন। ছুটি শেষে গতকাল অফিস শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ