<p>ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় ছয়জনকে চাপা দেওয়া বাসটির ফিটনেস ছিল না। দুর্ঘটনার আগের দিন ঘষেমেজে বাসটি সড়কে নামানো হয়। এ ছাড়া বাসচালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। গতকাল রবিবার মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাসারা হাইওয়ে থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার আ ক ম আখতারুজ্জামান বসুনিয়া।</p> <p>এ ঘটনায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় করা মামলায় বাসচালক মো. নুরুদ্দিন (৩০) এবং বাসমালিক মো. ডাবলু বেপারীকে (৪৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহত সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের আমেনা আক্তারের বড় ভাই মো. নুরুল আমিন মামলাটি করেছেন।</p> <p>পুলিশ সুপার আখতারুজ্জামান বসুনিয়া জানান, ঘটনার দিন ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার জন্য মাওয়াগামী ৩ নম্বর লেনে অপেক্ষারত ছিল<br /> একটি মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস। ওই সময় বাসটি এসব যানবাহনকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ছয়জন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়।</p> <p>এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চালককে গ্রেপ্তারের পর ডোপ টেস্ট করানো হয়েছে। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং বাসের ফিটনেস ছিল না। এক বছর আগেই ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, গাড়ির ব্রেক ঠিক ছিল। তবে বিআরটিএর বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন।</p> <p>এদিকে বাসচাপায় ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালক নুরুদ্দিন গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে চাপা দেননি, ব্রেক ফেল করায় এমনটা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। অন্যদিকে গ্রেপ্তার বাসমালিক ডাবলুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।</p> <p>গতকাল তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুন্সীগঞ্জের হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহমান আসামি নুরুদ্দিনের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপর আসামি ডাবলুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।</p> <p>পরে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের আদালত আসামি ডাবলুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া বাসচালক নুরুদ্দিনের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।</p> <p> </p>