<p>কক্সবাজারের টেকনাফে গতকাল সোমবার রোহিঙ্গাসহ ১৯ জনকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা অপহরণ করেছে। বন বিভাগের পাহাড়ে কাজ করতে গিয়ে তাঁরা সকাল ১১টার দিকে অপহৃত হন বলে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।</p> <p>অপহৃতদের স্থানীয় একজনের পরিবারের কাছে অপহরণকারীরা এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানা গেছে।</p> <p>কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. নুরুল ইসলাম এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দীন অপহরণের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা বলেন, অপহরণের ঘটনার পর টেকনাফ থানা পুলিশ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা টেকনাফের পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে।</p> <p>বন বিভাগের টেকনাফ রেঞ্জের মুচনি বনবিট কর্মকর্তা রশিদ আহমদ জানান, বাগানের আগাছা পরিষ্কার করতে স্থানীয় ২১ জনকে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। শ্রমিকরা টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন সরকারি বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে আসেন।</p> <p>তাঁদের তথ্য মতে, অস্ত্রধারী ২৮ থেকে ৩০ জন দুর্বৃত্ত শ্রমিকদের ধরে গহিন পাহাড়ে নিয়ে গেছে।</p> <p>টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও স্থানীয় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যত দূর জানি, আমার এলাকার স্থানীয় পাঁচজন গ্রামবাসী এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৪ জন রোহিঙ্গাসহ ১৯ জনকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে থাকা কয়েকটি সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যরা প্রায়ই মুক্তিপণের দাবিতে এমন অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।’ তিনি বলেন, এলাকার মানুষ পাহাড়ের অপহরণকারী দুর্বৃত্তদলের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ।</p> <p> </p>