<p>গত বছরের ১৭ জুলাইয়ের ঘটনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে। তখন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন ক্যাম্পাস ত্যাগ করার সময় ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগীদের আক্রমণের শিকার হন। আক্রমণে তাঁর হাতের আঙুল ও কবজির হাড় ভেঙে যায়। তিনি আক্রমণকারীদের বিচার চাওয়ার পাশাপাশি তৎকালীন ঢাবি প্রশাসনেরও বিচার চাইছেন।</p> <p>গত বছরের ১৫ জুলাই ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এর সঙ্গে ১৭ জুলাই ক্যাম্পাস ত্যাগের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় তৎকালীন ঢাবি প্রশাসন ও সিন্ডিকেট সদস্যদের বিচার চাইছেন আহত শিক্ষার্থীরাসহ শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা। আহত জাকির বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরো দুজন বন্ধুকে মারধর করা হয়েছে। প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের বিচার হওয়া উচিত।’ রেজিস্ট্রার ভবনের সূত্র থেকে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই সিন্ডিকেটের যে সভায় হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় সেই সভায় ১৪ জন সদস্য ছিলেন। তাঁরা হলেন অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগম, অধ্যাপক মো. আব্দুস ছামাদ, অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান, অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মিসেস মাহিন মোহিদ, সিনেট সদস্য এস এম বাহালুল মজনুন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অধ্যাপক হারুন-অর রশীদ খান ও অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমদ।</p> <p>আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, ১৫ জুলাই বহিরাগত নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলায় প্রশাসনের পরোক্ষ ভূমিকা ছিল। ১৭ জুলাই তড়িঘড়ি করে হল বন্ধ ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগের মুহূর্তে ছাত্রলীগ হামলা করে। এসব ঘটনার জন্য তৎকালীন উপাচার্য, তার প্রশাসন ও সিন্ডিকেট সদস্যদের বিচার হওয়া উচিত।</p> <p>১৭ জুলাই হল ত্যাগ করার সময় হাতিরপুল এলাকায় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ। একই দিন আহত হন বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী ইমরান উদ্দিন। এদিকে এসব ঘটনায় ঢাবি প্রশাসনের বিচার চেয়েছেন ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দও। ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়াটা পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতা। সুতরাং এর পুরো দায় অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসনের এবং এর জন্য তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত।  ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, এই ঘটনাগুলোর জন্য তৎকালীন উপাচার্য, তার প্রশাসন, সিন্ডিকেট সদস্যের বিচারের আওতায় আনা উচিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে পতিত স্বৈরাচারের এই দালাল ভিসি ও তাঁর প্রশাসন-সিন্ডিকেট মেম্বারদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের তখন বলেছিল তোমরা এবার নেমে যাও। তাঁর উসকানিতেই ছাত্রলীগ বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করল। আর প্রশাসন চুপ থাকল। তৎকালীন প্রশাসনসহ যেসব শিক্ষক এসবে জড়িত ছিল এবং দায়িত্বে গাফিলতি ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর নির্যাতন ও হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে আমরা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছি। তারা প্রত্যেকটা অভিযোগ, তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p>তারা। আহত জাকির বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরো দুজন বন্ধুকে মারধর করা হয়েছে। প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের বিচার হওয়া উচিত।’ রেজিস্ট্রার ভবনের সূত্র থেকে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই সিন্ডিকেটের যে সভায় হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় সেই সভায় ১৪ জন সদস্য ছিলেন। তাঁরা হলেন অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগম, অধ্যাপক মো. আব্দুস ছামাদ, অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান, অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মিসেস মাহিন মোহিদ, সিনেট সদস্য এস এম বাহালুল মজনুন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অধ্যাপক হারুন-অর রশীদ খান ও অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমদ।</p> <p>আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, ১৫ জুলাই বহিরাগত নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলায় প্রশাসনের পরোক্ষ ভূমিকা ছিল। ১৭ জুলাই তড়িঘড়ি করে হল বন্ধ ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগের মুহূর্তে ছাত্রলীগ হামলা করে। এসব ঘটনার জন্য তৎকালীন উপাচার্য, তার প্রশাসন ও সিন্ডিকেট সদস্যদের বিচার হওয়া উচিত।</p> <p>১৭ জুলাই হল ত্যাগ করার সময় হাতিরপুল এলাকায় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ। একই দিন আহত হন বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী ইমরান উদ্দিন। এদিকে এসব ঘটনায় ঢাবি প্রশাসনের বিচার চেয়েছেন ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দও। ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়াটা পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতা। সুতরাং এর পুরো দায় অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসনের এবং এর জন্য তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত।  ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, এই ঘটনাগুলোর জন্য তৎকালীন উপাচার্য, তার প্রশাসন, সিন্ডিকেট সদস্যের বিচারের আওতায় আনা উচিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে পতিত স্বৈরাচারের এই দালাল ভিসি ও তাঁর প্রশাসন-সিন্ডিকেট মেম্বারদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের তখন বলেছিল তোমরা এবার নেমে যাও। তাঁর উসকানিতেই ছাত্রলীগ বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করল। আর প্রশাসন চুপ থাকল। তৎকালীন প্রশাসনসহ যেসব শিক্ষক এসবে জড়িত ছিল এবং দায়িত্বে গাফিলতি ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর নির্যাতন ও হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে আমরা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছি। তারা প্রত্যেকটা অভিযোগ, তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p> </p>