<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা থেকে সিলেটের তামাবিল পর্যন্ত ছয় লেনের সড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশে কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরই কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। সড়কটি দুই লেন থেকে বাড়িয়ে ছয় লেনে উন্নীত করায় যানজট কমার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাও কমবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সড়ক দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলতে পারবে। এ ছাড়া উভয় পথে চলার আলাদা লেন থাকবে বলে দুর্ঘটনাও একেবারে কমে আসবে। সড়কটি মূলত এশিয়ান হাইওয়ের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আন্ডারপাস ও ওভারপাস থাকবে বলে পথচারীরাও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সড়কের ২১ কিলোমিটার অংশ পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ওই অংশ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হয় সড়কটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের নির্মাণকাজ। মাঝখানে বর্ষা মৌসুমের কারণে চার মাস কাজ বন্ধ ছিল। ২০২৮ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে।   </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে জেলার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশের মোট ২৩টি ব্রিজ-কালভার্টের পাইলিং কাজ শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে তিনটি কালভার্টের নির্মাণকাজ।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মারগুব তৌহিদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ওভারটেকিং ও বেশি বাঁক থাকার কারণে এমন হচ্ছে। সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত হলে এসব সমস্যা আর থাকবে না বলে আশা করি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর আক্তার জয়েন্টভেঞ্চার লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে মোট ৩৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশের ৬০ শতাংশ কাজ একই আদলে করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাকি অংশে ৯ শতাংশ শেষ হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা-সিলেট ছয় লেন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক (৩) এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিনুল এহসান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সড়কে আমরা ডিজাইন স্পিড ধরেছি ১০০ কিলোমিটার। পর্যাপ্ত আন্ডারপাস ও ওভারপাস থাকবে পথচারী নিরাপদে পারাপারের জন্য। এ সড়কে বড় গাড়িগুলো তাদের লেনে চলবে, ছোট গাড়ি তাদের লেনে চলবে। বেশি বাঁকের জায়গাগুলোও সোজা করা হচ্ছে, যে কারণে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></p>