<p>চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের একটি সারবাহী জাহাজে সাতজন নিহতের মরদেহ এবং একজন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও কোস্ট গার্ড। নিহতদের মধ্যে গোলাম কিবরিয়া (৬৫) ও সবুজ শেখ (২৬) দুজনের বাড়ি ফরিদপুরে। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগনে। আহত জুয়েল রানার (৩৫) বাড়িও ফরিদপুর জেলায়।</p> <p>নৌযানটিতে থাকা ৮ জনের মধ্যে ৭ জনই হত্যাকাণ্ডের শিকার বলে খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত জুয়েল চার বছর ধরে ওই জাহাজে কাজ করেন। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার বকারটিলা গ্রামের সেকান্দার খালাসির ছেলে।</p> <p>জানা গেছে, নিহত গোলাম কিবরিয়া জাহাজটির মাস্টার ছিলেন এবং তার ভাগনে নিহত সবুজ শেখ লস্কর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা ফরিদপুর সদরের গেরদা ইাউনিয়নের জোয়ারের মোড় এলাকার বাসিন্দা। গোলাম কিবরিয়া সদরের জোয়ারের মোড়ের মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে। কিবরিয়া এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। সবুজ ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে চতুর্থ এবং অবিবাহিত ছিলেন। মামা-ভাগনের নিহতের খবর বাড়িতে পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। সবুজের মা রাজিয়া বেগম বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাবেক হুইপ সামশুলসহ পরিবারের ৬ সদস্যের ব্যাংক ও সম্পদের হিসাব চায় দুদক" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/24/1735015602-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাবেক হুইপ সামশুলসহ পরিবারের ৬ সদস্যের ব্যাংক ও সম্পদের হিসাব চায় দুদক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/24/1460766" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নিহতদের পারিবার সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস আগে গোলাম কিবরিয়া ও সবুজ শেখ বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে বের হন। গতকাল সোমবার বিকেলে তারা পরিবারের সদস্যরা তাদের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।  </p> <p>নিহত সবুজ শেখের বড় ভাই ফারুক শেখ বলেন, ‘জানি না কিভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমাদের লোকজন মরদেহের খোঁজ নিতে চাঁদপুরে পৌঁছেছে। এর আগে নভেম্বর মাসের শেষের দিকে কিবরিয়া মামার সঙ্গে জাহাজের কাজে যোগ দিয়েছিল সবুজ। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে নিহত ৬ জনের পরিচয় জেনেছি। বাকি একজন আমার ভাই হতে পারে।’</p> <p>জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আহত জুয়েল রানাকে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে নাক, কান ও গলা বিভাগে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। জুয়েল রানার শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় সেখানে টিউব যুক্ত করা হলেও তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। তিনি কোনো কথা বলতে পারছে না।</p>